মানের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা নাকি ভাষার স্বাধীনতা- কোনটা বেশী গুরুত্বপূর্ন
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়,
ওরা কথায় কথায় শিকল পরায় আমার হাতে-পায়ে।
আব্দুল লতিফ এই গানটি লিখেন পশ্চিম পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্য করে। কারন তখন বাঙ্গালীদের উর্দূ ভাষায় কথা বলতে বলা হয়েছিলো। শুধু ভাষার মধ্যম বদলের জন্য সেইদিন প্রান দেয়- রফিক, জব্বার, শফিউল, সালাম, বরকত সহ অনেকেই। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
মুশতাক আহমেদ ১০ মাস ধরে কাশিমপুর কারাগারে বন্দী ছিলেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি কারাগারে মারা যান। (যদিও দুস্ট লোকের বলে- তার মনের ভাব প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি সরকারের রোষানলে পড়েন এবং নির্যতনের শিকারে মারা যান)
জনগনের চাপের মুখে আরকজন- কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর মুক্তি পেয়েছেন। কিশোরের লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ননা দয়া করে প্রথমআলো থেকে পড়েনেন।
অজ্ঞাত স্থানে ৬৯ ঘণ্টা রেখে কার্টুন নিয়ে প্রশ্ন, মারধর
জতির বিবেক জানতে চায় আজ- মানের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা নাকি ভাষার স্বাধীনতা- কোনটা বেশী গুরুত্বপূর্ন।যদি মানের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা বেশী গুরুত্বপূর্ন হয়, তাহলে বলব- আরে বেকুবের দল- এই রকম আরো ৫০০- ৬০০ জন মুশতাক আহমেদ মারা গেলেও হয়তোবা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন - বাতিল হবেনা।
৫২'তে পাকিস্তানীরা ৫-৬ জনের জীবনের বিনিময়ে বাংলাভাষাকে মুক্তি দিয়েছিলো। আর এইটা ২০২১- আমাদের সরকার ১ জনের মৃত্যুতেই মানের ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা দিবে?
দরকার আরো রক্ত।