কিশোয়ার চৌধুরী- নামটার সাথে যারা পরিচিতো নন- ভালো করে নামটা মনে গেঁথেনিন; কারন ইনি সেই রমনী - যে কিনা বিশ্ব দরবারে পানতা ভাতের সাথে আলু ভর্তাকে নতুন ভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন (অথেনটিক ফিউশন)। আমাদের ঐতিহ্যবাহী পান কি নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। বিশ্বের কাছে আবেদনময়ী করে তুলেছেন- মাছ ভাজা, ফুচকা, চটপটি, সমুসা, দম-আলু আর তেঁতুল চাটনি, খিচুড়ি, বেগুন ভর্তা, খাসির রেজালা আর ঘিয়ে ভাজা পরোটা কে। নেহারির সাথে নান এর যে এক আত্মিক সম্পর্ক- তাও নতুন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই রন্ধনশিল্পী।
পান্তা-‘ইলিশ’ ইলিশের ফিউশন যে শুধুমাত্র- বাংগালীদরে দ্বারাই রান্না সম্ভব - এই সত্যটি হাতেনাতে বুঝিয়ে দিয়েছেন এই বাংগালী গৃহিনী।এছাড়া তার টমেটো এবং পুদিনা পাতা দিয়ে পাস্তা, টমেটো দিয়ে মাছের ঝোল, শিমের ভর্তা, জিরা ভাত, গলদা চিংড়ি ভাজা, শসা দিয়ে মাছ ভাজা বিচারকদের প্রসংসা কুড়িয়েছে।
সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল- দুটো সেশনই ছিলো খুব চ্যলেন্জিং।বিশেষ করে ফাইলাের স্ট্রেসটেস্ট যে কাউ কেই ভিড়মী খাওয়াতে বাধ্য।যারা ফাইনাল দেখেছেন- তারা নিঃসন্দেহে প্রতিযগীতার উত্তাপ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন। সেমিইনালে তাকে রান্না করতে হয় ২০ জন অতিথি আর প্রতিযোগিতার তিন বিচারকের জন্য।
ব্যাক্তিগতভাবে কিশোয়ার চৌধুরী প্রিন্টং ব্যবসার সাথে জড়িত। তার জন্ম ও বেড়ে উঠা অস্ট্রেলিয়ার মেলর্বন শহরে। কিশোয়ার মোনাষ ইউনিভর্সিটি থেকে কমার্সে ব্যচেলর এবং লন্ড ইউনিভ্রসিটি অফ আর্টস থেকে পোস্ট গ্রেজুয়েশন করেন গ্রাফিক ডিজাইনিং এর উপর। দুই সন্তানের এই জননীর তৈরী করা পান আইসক্রিম খেয়ে বিচারক মেলিসা বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য কিশোয়ারের প্রেমপত্র’।
রান্না সব মায়েদের জন্যই সমান আনন্দের। কিন্তু কিশোয়ার হাতে কলমে দেখিয়ে দিয়েছেন- রান্না করার পর কিভাবে তা উপস্হাপন করতে হয়; কিভাবে মানুষের মাঝে আকাংখা জাগাতে হয় তা খাওয়ার জন্য- আর এই খানেই তিনি স্বতন্ত্র- স্বকীয়।
ধন্যবাদ কিশোয়ার চৌধুরী বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে স্বার্থকভাবে উপস্হাপন করার জন্য।
অশেষ শুভকামনা আপনার এবং আপনার পরিবারের জন্য।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০৬