হাজিরা আমাদের অন্চলের খুব পরিচিত একটা শব্দ।
এই শব্দ সাধারনত এলাকায় যারা সম্মানিত চাকুরিজিবী তাদের বলতে শুনা যায়। এদের সবাই অবশ্য সরকারি চাকুরিজিবী। এদের কাজ হচ্ছে- মাসে ১ দিন কর্মস্হলে গিয়ে হাজিরা দিয়ে বেতন তুলে আনা। সাধারনত এই রকম চাকরি নিতে তাদের ৫-১০ লক্ষ টাকা ঘুস দিতে হয়। এক বার চাকুরি হয়েগেলে সারা জীবন বাসায় বসে বসে বেতন পাওয়া। কেউ কেউ আরেকটু বেশী স্মার্ট । তারা তাদের দ্বায়িত্ব দিয়ে দেয় অন্য কাউকে। সেই লোক কাজ করে, আর মাস শেষে বেতন পাঠিয়ে দেয় আসলে যার চাকরি- তার কাছে। প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে তার (মিডিল ম্যন) এর লাভ কি? উত্তর- ঘুষের, চা নাস্তার টাকাই তার ইনকাম।
আমাদের আত্মীয়দের মাঝে ১ জন আছেন - যিনি নৌপরিবহন এ চাকুরি করেন। তার পোস্টিং- আরিচা ফেরিঘাট। উনি মনে হয় ২য় ক্লাস পর্যন্ত পড়েছেন। সারা মাস উনি গ্রামেই থাকেন। মাস শেষে উনি বেতন তুলেন সাথে ৫০,০০০ টাকা বোনাস। এই ৫০,০০০ হলো- ফেরি, লন্চের যে তেল চুরি হয়, তার ভাগের টাকা।
পর্যালোচনা:
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে- এই ঘুসখোরদের (টপ টু বটম) কোন কারনে রাস্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে বিচার হবে না? একজন ঘুষখোর তো প্রকৃত পক্ষে রাষ্ট্রের আমানতের খেয়ানত করছে। জনগনের জান মাল মাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। এই ঘুষ, অনিয়ম, দুর্নিতির জন্য কত মানুষ প্রান হারায়। দূর্নিতির মাধ্যমে বানানো ব্রিজ, ফ্লাইওভার ভেংগে কত মানুষ মারা যায়। যেসব ঠিকাদারেরা, সরকারী কর্মচারী জড়িত (আমি তাদের কথা বলছি- যারা জড়িত) তাদের বিরুদ্ধে কেনো হত্যা মামলা হয়না? অফিস থেকে খেলার মাঠ, নৌকা থেকে উড়োজাহাজ, ধানেরশিষ থেকে পানের পিক - পুরোটাই আজ অনিয়মের আখড়া।
কেনো অনিয়ম কে নিয়ম মেনে নিয়ে আমাদের চলতে হবে? কেনো কালো কে সাদ আর সাদাকে কালো মেনে নিয়ে অভিশপ্ত জীবন বয়ে বেড়াতে হবে? আপনারা হয়তো বলতে পারেন- সবাই তো একই কাজ করছে, তোমার সমস্যা কোথায়? সমস্যা আসলে আমার না- সমস্যা সবার- যারা দেখেও না দেখার ভান করে - তাদের। তার পরও যদি মনে হয়- আরে বাবা - এই সব প্রোবলেম কোনো সমস্যা না...
আমি বলবো- GOOD LUCK
ছবি: অন্তর্জাল।
বি:দ্র: টাইটেল আর লিখার অসামন্জস্য ইচ্ছে করেই রাখা হয়েছে। (কেউ সামন্জস্য খুজে পেলে লেখক দায়ী না)