"জীবন গিয়েছে চলে আমাদের কুড়ি- কুড়ি বছরের পার"
কুড়ি বছর পর দেশে ফেরার পথে বারবার জীবনানন্দ দাসের কবিতার লাইনটা মনে পড়ছে শতদল হোসেনের। তার বয়স এখন তিন কুড়ি বছর, কুড়ি বছর আগে ২০২১ সালে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। জার্মানিতে কিছুদিন কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত থিতু হয়েছেন আমেরিকায়। ভেবেছিলেন আর কখনো দেশে ফিরবেন না। কিন্তু ফিরছেন; আসলে দেশ নিয়ে কিছুদিন ধরে এক তীব্র কৌতুহল জেগেছে তাঁর, এই কৌতুহল নিরশনে তিনি ছুটে চলেছেন বাংলাদেশের পথে। কৌতুহল জেগেছে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতির কথা শুনে; গত কয়েক বছর যাবত এমন একটা দিনও যায়নি যেদিন বাংলাদেশের কোনো নতুন ক্ষেত্রে উন্নতির কথা শোনেননি!! কখনো শুনেছেন চিকিৎসা ক্ষেত্রে কোন যুগান্তকারী আবিষ্কারের গল্প, কখনো শুনেছেন ফেলে দেওয়া জিনিস থেকে বিদ্যুৎ আবিষ্কারের গল্প...
শতদল হোসেন শুনেছেন বাংলাদেশ যে পদ্ধতিতে সমুদ্র থেকে ভূমি পুনরুদ্ধার করছে তা শেখার জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশে যান, এতদিন এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডস ছিল এক নাম্বারে, এখন বাংলাদেশ! বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক এলাকা ডুবে যাওয়ার কথা ছিল, সেটা তো হয়ইনি বরং ভূমি পুনরুদ্ধারের ফলে মূল ভূখণ্ডের এলাকা আরো বেড়ে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ আজ সারা পৃথিবীর রোল মডেল; কিন্তু কীভাবে...
বাংলাদেশের আকাশ তরী এয়ারলাইন্সের সুপরিসর বিমানে বসে শতদলের মনে পড়লো কুড়ি বছর আগে তিনি যখন দেশ ছেড়ে যাচ্ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের এয়ারলাইন্সের বিমানে চেপে, তখন সহযাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যগামী শ্রমিক, হতমান এবং মলিন মুখ। এরা প্রায় সকলেই ছিলেন অশিক্ষিত; নিজের এম্বারকেশন কার্ডও লিখতে পারছিলেন না, তাদের অবস্থা দেখে শতদল দুঃখ পেয়েছিলেন। অথচ আজ তার বাংলাদেশী সহযাত্রীদের সকলেই খুব আত্মপ্রত্যয়ী, কে জানে কোন জাদুতে বাংলাদেশ বদলে গেল!! চোখ বুজে এসব ভাবছেন, এমন সময় শুনলেন তাঁর ডান পাশে বসা বিদেশি সহযাত্রী তাঁরও ডানপাশে বসা বাংলাদেশী যাত্রীর সাথে বাংলায় আলাপ জুড়েছেন, লক্ষ্য করে বুঝলেন বিদেশির হাতঘড়িতে লাগানো ট্র্যান্সলেটরে তার কথা বাংলায় অনূদিত হয়ে আসছে।
- কেমন আছেন! খুব ভাল লাগছে, বাংলাদেশে যেতে পারছি শেষ পর্যন্ত! কয়েকবার চেষ্টার পরে বাংলাদেশের ভিসা পেলাম!
- ভালো আছি। আশাকরি আপনার বাংলাদেশ ভ্রমণ আনন্দদায়ক হবে!!
সহাস্যে উত্তর দিলেন বাংলাদেশি যাত্রী।
নিউইয়র্ক থেকে ঢাকা, তেরো ঘন্টার এই ডাইরেক্ট ফ্লাইটে বাংলাদেশীর পাশাপাশি প্রচুর বিদেশীও দেখা যাচ্ছে। শতদল শুনেছেন, যে বিপুল সংখ্যক বিদেশি বাংলাদেশে যান তাদের কেউ যান বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য, কেউ যান চিকিৎসার জন্য, কেউ আবার যান পর্যটনের জন্য। কৌতুহল হলো পাশের সহযাত্রী কেন যাচ্ছেন তা জানার। তিনি পাশের সহযাত্রীর সাথে আলাপ জুড়লেন,
- বাংলাদেশে প্রথমবার যাচ্ছেন?
উচ্ছ্বসিত সহযাত্রী বললেন,
- হ্যাঁ, প্রথমবার! আমি আবার বাংলাদেশী খাবারের বিরাট ভক্ত। বলতে পারেন বাংলাদেশের নানারকম খাবার খেতেই বাংলাদেশে যাচ্ছি। সারা আমেরিকায় বাংলাদেশী বিরিয়ানির যত ব্র্যান্ড আছে সবগুলোর স্বাদ আমি জানি, অতুলনীয়! অন্যদেশের বিরিয়ানিও খেয়ে দেখেছি, বাংলাদেশী বিরিয়ানির মতো কিছুই না। আর কাবাব...
কথা শেষ না করেই হাসলেন সহযাত্রী। তারপর বললেন,
- পনের দিনের ভ্রমণ- প্যাকেজ নিয়েছি, খাদ্য- ভ্রমণ। প্রথমে যাবো পুরান ঢাকায়, বিরিয়ানি খেতে। শুনেছি সেখানে ৪০০ বছর আগের মতো করে সব সাজানো হয়েছে। রাতে ত্রিমাত্রিক ছবি আর শব্দ দিয়ে পুরান ঢাকার ইতিহাস দেখানো হবে, এর সাথে থাকবে হরেক রকমের বিরিয়ানি, নানারকম পরটা কাবাব... নদীপথে ভ্রমণের পরিকল্পনা আছে, সে সময় নদীর টাটকা মাছের তৈরি খাবার খাবার ইচ্ছা। শুনেছি বাংলাদেশের নদীর মাছের স্বাদ দারুন হয়, স্বাদ নেবো এবার।
খাদ্য- ভ্রমণ কথাটা হোসেন সাহেব প্রথমে বুঝতে পারেননি, তারপর মনে পড়লো, ফুড ট্যুরিজম। তিনি শুনেছিলেন বটে, ফুড ট্যুরিজমে বাংলাদেশ সেরা। আজ সারা পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশে ছুটে যাচ্ছে ভ্রমণের পাশাপাশি নানারকম খাবারের স্বাদ নিতে। পিৎজা বললে যেমন মানুষের মনে পড়ে ইটালি, সুশি বললে জাপান, হ্যাম বার্গার বললে আমেরিকা, তেমনি বিরিয়ানি বললেই মনে পড়ে বাংলাদেশের কথা। এই সুনাম এনে দিয়েছেন বাংলাদেশের কজন বিরিয়ানি গবেষক এবং বিরিয়ানি প্রস্তুতকারক মিলে। পৃথিবীর নানা দেশে বাংলাদেশী খাবারের বিপুল চাহিদা। বাংলাদেশী রন্ধন শিল্পীরা অনেক দেশে বাংলাদেশী খাবারের দোকান খুলেছেন আর রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বাংলাদেশী খাবার রান্নার ইনস্টিটিউট ও করেছেন, যেমনটা একসময় টমি মিয়া বিদেশী রান্না শেখাবার জন্য বাংলাদেশে ইনস্টিটিউট করেছিলেন।
নদীর মাছের কথা মনে হতে শতদল সাহেবের মনে পড়ল, তিনি দেশে থাকতেই মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের স্থান পৃথিবীতে ষষ্ঠ ছিল। শুনেছেন, এখন নাকি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে বাংলাদেশের নদী আর সমুদ্রে মাছের উৎপাদন অনেক বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও বিল- হাওর- বাওর থেকে আহরিত মাছের পরিমাণ নাকি এতটাই বেশি যে, বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে এখন পৃথিবীতে এক নাম্বার স্থান দখল করেছে! নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশের মাছ বিদেশে রপ্তানি হয়। দেশের সমস্ত নদীগুলোকে নাকি দখলমুক্ত হয়েছে, সেগুলোকে খনন করে নাব্যতা বাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে। নদীপথে গ্রামের সবুজ শ্যামলীমার মাঝে ভ্রমণ এবং নদীর সুস্বাদু মাছ ভক্ষণ, এটা এখন বিদেশিদের জন্য খুবই আকর্ষণীয় বিষয়।
ঢাকার চারপাশ ঘিরে যে চারটি নদী আছে সেগুলো ছিল মুমূর্ষু, অথচ এখন নাকি সেগুলোর টলটলে জলে আকাশ দেখা যায়! ফুরফুরে হাওয়া খেতে খেতে এই নদীগুলো দিয়ে এখন মানুষ ঢাকার এক জায়গায় থেকে অন্যত্র যাতায়াত করে, মালমালও পরিবহন হয় এই নদীপথে। ঢাকার ভেতরের খালগুলোও নাকি এখন দখলমুক্ত! সেগুলো উদ্ধার করে এখন নাকি শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে চলা নৌপথ তৈরি করা হয়েছে, সেই নৌ পথের দু'পাশে নাকি সবুজের বেষ্টনী, পার্ক!! এখন ঢাকাবাসীরা নাকি ভাবতেই পারেনা একসময় এই ঢাকায় জলাবদ্ধতা হত! শতদল হোসেন আশ্চর্য হয়ে ভাবেন, নদী- নালা- খাল দখলমুক্ত করে তাকে মানুষের কল্যাণে লাগাবার এই কঠিন কাজটা সম্পাদন কে করল...
চিন্তা জাল ছিন্ন হলো, শুনতে পেলেন এক আসন পরের দেশি ভাই হাসিমুখে প্রশ্ন করছেন,
- ভাই, কত দিন পর দেশে যাচ্ছেন?
- তা অনেক দিন পর! কুড়ি বছর...
- সেকি! কুড়ি বছর! তাহলে তো দেশে আপনার মানিয়ে নিতে খুব অসুবিধা হবে।
- না, না! অসুবিধা হবে কেন!! জীবনের বেশিরভাগটাই ঢাকায় কাটিয়েছি তো, ঢাকা আমার হাতের তালুর মতো চেনা!!
- কিন্তু সেই আগের ঢাকা তো আর নেই। গত দশ বছরে ঢাকা আমূল বদলে গেছে! এখন স্মার্ট বাংলাদেশের এক সুপরিকল্পিত, নিরাপদ স্মার্ট শহর ঢাকা। এই শহর সকলের জন্য নিরাপদ, কিন্তু আবার আইন ভংগকারীর জন্য মহাবিপদ। রাস্তায় চলার কিছু আইন কানুন নির্ধারণ করে দেয়া আছে, ছোট বা বড় যেটাই হোক, আইন ভাঙলে তার জন্য শাস্তি পেতেই হবে, কোন ছাড় নেই! আইনের শাসন আছে বলে ঢাকা এখন এক সুশৃংখল সুন্দর নগরী, আগের মতো রাস্তায় চিপসের প্যাকেট ফেলতে যাবেন না যেন!
- কেন, আমি যদি নির্জন রাস্তায় চিপসের প্যাকেট ফেলি, কে দেখবে আমাকে? শাস্তি দেবার জন্য পাবেই কোথায়?
- দেখার জন্য স্মার্ট চোখের ব্যবস্থা আছে! তাছাড়া এয়ারপোর্টে নামার পরই আপনাকে একটা মেশিনের মাঝে দিয়ে যেতে হবে। সেই মেশিন আপনার চেহারা আর সমস্ত তথ্য ধারণ করে কেন্দ্রীয় তথ্যশালায় সেই তথ্য পাঠিয়ে দেবে। আপনি আইন ভাঙলেই স্মার্ট চোখে তা ধরা পড়বে, আপনার ছবি তুলে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রীয় তথ্যশালায় পাঠাবে আর তথ্য মিলিয়ে আপনাকে সনাক্ত করতে এক মিনিটও লাগবেনা! পালাবেন কোথায়?
একটু ইতস্তত করে শতদল প্রশ্ন করলেন,
- ঘুষে কোন কাজ হয়না?
- ঘুষ!! ঘুষ কে খাবে? ওদের টাকার কোন দরকার হয়না!
মাথাটা কেমন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছিল। "স্মার্ট শহর", এই কথাটাই শতদল হোসেনের কানে বাজতে লাগলো, একথা অবশ্য তিনি আগেও শুনেছেন। হঠাৎ তার মনে হল তার সহযাত্রী নিজেও বেশ স্মার্ট, কেমন সাবলীল ভাবে কথা বলছে! এনার পেশা জানার জন্য প্রশ্ন করলেন,
- আপনি কি ছাত্র?
- জ্বী না ভাই, আমি একজন নাপিত। আমেরিকায় অবশ্য আমাদেরকে হেয়ার ড্রেসার বলা হয়।
স্মিতমুখে জবাব দিলেন সহযাত্রী। শতদল হোসেন খুব অবাক হলেন, তিনি জানতেন যে মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার আর কিছু দেশে বাংলাদেশীরা শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন, এদের কাছে কেউ কখনো তাদের পেশা সম্পর্কে জানতে চাইলে বলতে সংকোচ বোধ করেন, কিন্তু তার এই সহযাত্রী কত অনায়াসে বলেন ফেললেন যে তিনি একজন নাপিত। সহযাত্রী যেন শতদল হোসেনের মনের কথা বুঝতে পারলেন, একটু হেসে বললেন,
- আপনি কি অবাক হচ্ছেন আমি নাপিত শুনে? এই পেশায় কাজ করতে আমেরিকা যাবার কথা আগে কেউ কখনো ভাবতেই পারতো না। একসময় আমাদের দেশ থেকে অপেক্ষাকৃত শিক্ষিতরাই আমেরিকায় যেতেন। কিন্ত আমেরিকায় এখন আমার মত নাপিত, কলের মিস্ত্রি, গাড়ির মিস্ত্রি, নার্স,বাবুর্চি এরকম পেশায় অনেকেই কাজ করছেন।
- ওহ্! আপনারা তাহলে দেশের জন্য মানবসম্পদ!!
- তা বলা যায়। আমাদের মতো পেশাজীবীরা দেশের জন্য বেশ ভালো উপার্জন করছি। তবে দেশের অর্থনীতি এখন আর আমাদের রেমিটেন্স নির্ভর নয়। এখন দেশে পর্যটন, চিকিৎসা সেবা এবং শিক্ষার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ যাচ্ছেন, ফলে বিপুল আয় হচ্ছে। আর শুধু তো আমেরিকা তো না, আমাদের দেশের মানুষ ইউরোপ আর আফ্রিকায় কাজ করছেন। আমার বাবা আর পরিবারের অন্য সদস্যরা এখন আফ্রিকায় থাকেন, এখন অবশ্য তাঁরাও দেশে যাচ্ছেন, পারিবারিক মিলনমেলা হবে।
- কী করেন তারা আফ্রিকায়?
- কৃষিকাজ, একে বলা হয় কন্ট্রাক্ট ফার্মিং। প্রথমে শুরু হয়েছিল দক্ষিণ সুদান দিয়ে, এখন আরো কয়েকটি দেশে বাংলাদেশীরা কৃষিকাজ করছেন।একসময় বাংলাদেশের ভূমিহীন কৃষকেরা অন্যের জমিতে চাষ করতেন, যাকে বলা হতো বর্গা চাষ। এই বর্গা চাষের কাজটিই তারা করছেন, আফ্রিকায়। এসব দেশে হাজার হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি অনাবাদি পড়ে ছিল, আমাদের দেশ থেকে কৃষিকাজে দক্ষ মানুষেরা সেই জমি আবাদ করে ফসল ফলাচ্ছেন, বিনিময়ে উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক তারা পাচ্ছেন।
- কী আশ্চর্য! কিন্তু এভাবে জনসংখ্যাকে মানব সম্পদের রূপান্তরিত করাটা কিভাবে সম্ভব হলো?
- সহজেই। মানবসম্পদ আমাদের দেশে ছিলই, শুধু তা আগে কাজে লাগানো হয়নি। দেশে আমরা সবাই নিজের কাজে দক্ষ ছিলাম কিন্তু দক্ষতাকে কেউ কাজে লাগাবার কথা ভাবেনি। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, দেশে গাড়ির গ্যারেজের মেকানিকরা গাড়ির সমস্যা কত সহজে ধরে ফেলে সমাধান করে ফেলে, অথচ এরা গাড়ি সম্পর্কেও বিন্দুমাত্র লেখাপড়া দূরে থাক, এদের কোনরকম শিক্ষাই ছিল না। আমাদের সকলেরই এই অবস্থা ছিল। আমাদেরকে প্রথমে সহজ পদ্ধতিতে লেখাপড়া শেখানো হলো, তারপর নিজের বিষয়ে কিছু ট্রেনিং দেয়া হল, তারপরেই আমরা বিভিন্ন দেশে নিজেদের পেশায় কাজ করার জন্য যেতে লাগলাম। আমাদের কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে খুব সুনাম আছে...
- আমার খুব আশ্চর্য লাগছে। এভাবে আমাদের দেশের হতমান মানুষদেরকে মানবসম্পদে পরিণত করা হয়েছে!! দারুন ব্রিলিয়ান্ট আইডিয়া! আমি অবশ্য শুনেছি শিক্ষা ক্ষেত্রে তুমুল অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে।
সহযাত্রী হাসলেন। তারপর বললেন,
- আশ্চর্য হবার আরো অনেক কিছু বাকি আছে। দেশে নেমে প্রতি পদে আশ্চর্য হতে থাকবেন...
COME BACK, মা হাসান!!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:১৩