হ ভাই, পুতিন খুব খারাপ, রাশিয়া খুব খারাপ… কিন্তু ওদের খারাপি দেখার সময় কিছু কিছু জিনিষ একটু হিসাবের মইধ্যে রাইখেন……
ইউক্রেনের দনেতস্ক বেসিন ও লুহান্স এ বেশ কয়েক বছর ধরে ঐ জায়গায় ঐসব রুশ ভাষাভাষী সাধারণ নাগরিকদের ওপর লাগাতার হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইউক্রেন সরকার… মাত্র লাখ বিশেক জনসংখ্যার অঞ্চলগুলোতে ৩০/৩৫ হাজার মানুষ মারা যাওয়ার খবর পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ছাপে নি… কোনও খবর দেয় নি… অথচ রাশিয়ার অভিযানে মৃত্যুর খবর ফলাও করে ছেপে চলেছে… কেন এ পক্ষপাতদুষ্টতা?
ঐ দুটি অঞ্চল ইউক্রেন সরকারের এসব অত্যাচারের ফলে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীন হতে চাচ্ছিল… ২০১৪ সালে সেখানকার মিলশিয়ারা স্বাধীনতা ঘোষণা করে… তখন মিনস্ক চুক্তি হয় তাদের স্বায়ত্তশাসন দেয়ার কথা বলে… কিন্তু ইউক্রেন বিগত ৭ বছর ধরে এই চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে… অবশেষে রাশিয়া তাদের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলো… এখন ইউক্রেনের বারবার চুক্তি লঙ্ঘনের ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলো কোনও কথা বলেনি, টুঁ শব্দটিও করেনি? কেন?
সবচেয়ে বড় কথা যে ন্যাটো জোট তৈরি হয়েছিলো, সেটা সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এবং ওয়ারশো জোট ভেঙ্গে যাওয়ার পর কেন এতোগুলো বছর ধরে টিকিয়ে রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো? ওয়ারশো জোট ভেঙ্গে দেয় ন্যাটো আর সম্প্রসারিত হবেনা এমন প্রতিশ্রুতিতে… সেই সোভিয়েত ইউনিয়ন তো আর নাই…… ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেছে…… তবুও কেন সেই প্রতিশ্রুতি পশ্চিমা ন্যাটো রক্ষা করেনি … কেন?
বছরের পর বছর ধরে ন্যাটো ইউক্রেনের সাথে আঁতাত করে রাশিয়ার প্রতি একটা প্রচ্ছন্ন হুমকি তৈরি করেই যাচ্ছিলো… রাশিয়াকে বেকায়দায় ফেলাই ছিল যার উদ্দেশ্য… ইউক্রেনকে ঘিরে তারা অর্থাৎ ন্যাটোর দেশগুলো যা করেছে তার সবই ছিল উস্কানিমূলক… রাশিয়ার প্রতি এরকম উস্কানিমূলক কাজ পশ্চিমারা করেই যাবে, শত্রুতামূলক কাজ তারা করেই যাবে আর রাশিয়া কোনও পদক্ষেপ নিবে না এটা কেমন করে হয়?
উস্কানি দিবে যুদ্ধ বাঁধানোর জন্য আর যুদ্ধ বাঁধালেই যতো দোষ!! হিপক্রেসি আর কাকে বলে?
হ্যাঁ, রাশিয়া বা চীন কেউই ধোয়া তুলসীপাতা নয়… ইন ফ্যাক্ট, ক্ষমতাশালী দেশগুলো কেউই অতো সাধু নয়… কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো পৃথিবীতে যতো অশান্তি লাগাতারভাবে তৈরি করেই যাচ্ছে করেই যাচ্ছে, সে তুলনায় রাশিয়া বা চীন অমন কিছুই করেনি বা করেনা… তবুও সমস্ত দোষ হয়ে যায় রাশিয়া আর চীনের… এন্ড দ্য ক্রেডিট গোজ টুঁ ওয়েস্টার্ন ইম্পেরিয়ালিস্ট কান্ট্রিজ অ্যান্ড ওয়েস্টার্ন মিডিয়া!!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৯