
ইসকনের বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় দাস কে গ্রেফতার করার পর দেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত ঘোলাটে হয়ে যায়। দেশে ও বিদেশে চাপের মুখে পড়তে হয় বর্তমান সরকারকে। এরই মধ্যে চিটাগাং কোর্টে চিন্ময় দাসের হাজিরা কে কেন্দ্র করে একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। একজন আইনজীবী ( সাইফুল) হত্যাকান্ডের শিকার হন। সমগ্র দেশের মানুষ তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সবাই সাইফুলের হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগ করে। কিন্তু হত্যাকান্ডের পর সাথে সাথে থানায় কোন মামলা দায়ের করা হয় নি। তিনদিন পর সাইফুলের স্ত্রী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সাইফুলের বাবা আরো ছয়টি মামলা দায়ের করেন থানায়। কয়েকজন কে আটক করার পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দেয়। এদিকে চিন্ময় দাসের পক্ষের আইনজীবী কেউ না লড়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগ নিউজে আসে। চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আধুনিক সভ্যতার আইনে সবার অধিকার আছে নিজের পক্ষে যুক্তি তর্ক এবং এভিডেন্সের মাধ্যমে নির্দোষ প্রমাণ করার। বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে চিন্ময় দাসের সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার এখতিয়ার রয়েছে। কিন্তু চিন্ময় দাসের আইনজীবী ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এবং চিন্ময় দাসের পক্ষে কেন কোন আইনজীবী শুরুতে দাঁড়তে চাননি তা নিয়ে যাচ্ছেতাই বক্তব্য করেছেন । চিন্ময় দাসের আইনজীবী ড. ইউনূসের উপর ভরসা করলে যে কোন সমস্যার সমাধান পাওয়া যাইতো কিন্তু চিন্ময় দাসের আইনজীবী মূলত ভারতে গিয়ে কথা বলছেন ভিন্ন একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে।
আইনজীবী সাইফুল হত্যাকান্ডের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা সবাই অব্যহতি চেয়েছেন। কারণ হিসাবে তারা উল্লেখ করেছেন, সেদিন আদালত প্রাঙ্গনে সাইফুল হত্যার ঘটনায় পুলিশ হতে সরকারি কর্মকর্তা রা জড়িতে থাকতে পারেন। চিন্ময় দাসের প্রিজন ভ্যানের মধ্যে কিভাবে হ্যান্ড মাইক পৌছালো তাও ক্লিয়ার নয়। আইনজীবীরা বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবী করেছেন।
বর্তমান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার হচ্ছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নামক সংগঠনটি। শেখ হাসিনার পতনের পূর্বে তারা একটি ৯ দফার ডাক দিয়েছিল যেখানে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার দফা ও ছিলো। কিন্তু ছাত্র নেতারা কেউ কেউ উপদেষ্টা পদের দায়িত্ব নেওয়ার পর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার যে স্পিরিট দেখায়েছিলো তা ২১ শে আগস্ট প্রহসনমূলক রায়ের মাধ্যমে নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। এখন সাইফুল হত্যাকান্ডের বিচার সঠিক প্রক্রিয়ায় এগিয়ে নিতে না পারলে আরেকটি ২১শে আগস্টের মামলার রায়ের মতো ঘটলে মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

