
বাংলাদেশের সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। কিভাবে আগুন লেগেছে, কারা আগুন লাগালো এসব নিয়ে নানা মুনির নানা মত দেখা যাচ্ছে। সারাদিন অনলাইন - অফলাইনে মানুষের সাথে কথা বলে এবং মন্তব্য পড়ে মোটামুটি তিন ধরণের মতবাদ খুঁজে পেলাম। সেগুলো হলো :
১- ভারতের দালাল আওয়ামী লীগ এবং তার দোসর আমলারা আগুন লাগিয়েছে। শতকরা ৫০ ভাগ লোক এই ধারণা পোষণ করেন। হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ফেইসবুকে এসে কি সব বলেছেন তারপর আগুন লেগেছে সচিবালয়ে। যেসব মন্ত্রণালয়ে আগুন লেগেছে সেগুলোর দায়িত্ব ছিলো একসময় সজীব ওয়াজেদ জয়, জুনায়েদ হাসান পলক এবং নাজমুল হাসান পাপনের মতো লোকদের হাতে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ করাপশনের নথি পত্র থাকতে পারে যাতে তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণে এভিডেন্স হিসাবে ব্যবহার করা যাইতো।
২- এডমিন ক্যাডার অথবা তাদের দোসরেরা এই কাজ করেছে। শতকরা ৩০ ভাগ লোক এমনটাই বিশ্বাস করেন। কয়েকদিন ধরে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের বিরুদ্ধে এডমিন ক্যাডারদের ঝামেলা চলছে। আমলারা বিশাল মিটিং করেছেন। তারা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের সাথে একমত নন। আন্তঃক্যাডার বিবাদে জড়িয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
৩- সরকার বিশেষত ছাত্র উপদেষ্টাদের অপকর্ম ঢাকতে এবং সংস্কারের দোহাই দিয়ে দেরিতে নির্বাচন করার উদ্দেশ্য থেকে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং পল্লী ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আর এসব মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলাম। এই মতবাদ আওয়ামী লীগ এবং তার মতানুসারী মধ্যে বেশি চর্চিত হচ্ছে। তারা আরো অভিযোগ করেছে অনেক সমন্বয়ক নাকি রাতে সচিবালয়ে তদবীর বাণিজ্য করেন। এসব ধরা পড়ার ভয় ছিলো তাই সব নথি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় কার লাভ কার ক্ষতি বুঝতে আরো সময় লাগবে । তবে এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আওয়াজ উঠেছে আরো জোরালো ভাবে। সরকারের উপর যে চাপ বাড়ছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

