জুলাই অভ্যুত্থান কে নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থার ব্যর্থতা হিসাবে দেখেছে ভারত। এর মধ্যে ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে করা মন্তব্য ভারত ভালো ভাবে নেয়নি। সীমান্তে চলছে বিএসএফের উসকানি মূলক কার্যক্রম! গদি মিডিয়া ফুল ফোর্স নিয়ে বাংলাদেশের ইন্টেরিম সরকার কে জঙ্গী সরকার প্রমাণে উঠে পড়ে লেগেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের জন্য নাম্বার ওয়ান সমস্যা শেখ হাসিনা ভারতে আরামসে দিন কাটাচ্ছেন। ফোন কল ফাঁস, ভিডিও কনফারেন্স করে বাংলাদেশের বিক্ষুব্ধ জনতাকে বারবার উসকানি দিচ্ছেন। বাংলাদেশ ভারতের কাছে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের জন্য ভারত কে চিঠি দিয়েছে। গত বুধবার জাতিসংঘ তাদের তদন্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশের নিকট। এই তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই হত্যার সাথে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া ভারত থেকে কিভাবে শেখ হাসিনা কে বাংলাদেশে ফিরত এনে বিচারের মুখোমুখি করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
নরেন্দ্র মোদি যখন আমেরিকা সফরে তখন আমাদের প্রধান উপদেষ্টা দুবাই সফরে। নরেন্দ্র মোদির সফর মূলত আমেরিকা-ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য রাখা হয়েছিলো। তেরোই ফেব্রুয়ারী নরেন্দ্র মোদি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্কের সাথে দেখা করার কথা ছিলো । গুঞ্জন ও ফিসফাস ছিলো বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের সাথে কথা বলবে মোদি। যার বিয়ে তার খবর নাই পাড়া পড়শীর ঘুম নেই ! কিন্তু ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতের পূর্বে ইলন মাস্কের সাথে বৈঠক করেছেন নরেন্দ মোদি। বর্তমানে ইলন মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ একটা পদে (Department of Government Efficiency (DOGE) আছেন। ফলে ট্রাম্পের আগে তাঁর সঙ্গে মোদীর বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিন ইলন তাঁর তিন সন্তানকে নিয়ে মোদীর সঙ্গে বৈঠকে যান মাস্ক।
তেরো তারিখ রাত নয়টায় দুবাইয়ে ইলন মাস্ক ফোন দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে কথা বলেছেন। এরপর ডোনাল্ড ট্রাম্প কে ফোন ধরিয়ে দেন মাস্ক। মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে কথা হয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বিষয়টি কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রধান উপদেষ্টার সাথে দুবাই সফর কালে ফোনে কথা বলা বিস্ময়কর মনে হয়েছে নেটিজেনদের কাছে । মোদির সাথে বাংলাদেশ নিয়ে ট্রাম্পের কি কথা হয়েছে কে জানে! ট্রাম্প নিশ্চয়ই মুহাম্মদ ইউনূস কে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা দিতে ফোন দেন নাই। আর একই দিন বর্তমানে কাইজ্যা চলা দুই প্রতিবেশি দেশের প্রধানের সাথে ট্রাম্পের সাক্ষাত ও কথা বলা দেখে বোঝাই যাচ্ছে আমেরিকা এই দুই দেশের মধ্যকার ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রতিটি ঘটনা নিয়ে ওয়াকিবহাল আছে।
মুহাম্মদ ইউনূস কে দুবাই সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো জানুয়ারির তেরো তারিখ। মোদির সাথে ট্রাম্পের সাক্ষাত কখন ফিক্সড করা হয়েছিলো তা জানতে পারলে ভালো হতো। এইটা কি প্রি-প্লান শো ছিলো কিনা তাও হয়তো ভবিষ্যতে জানা যাবে। তবে ভারত- বাংলাদেশের চলমান ঝামেলায় মোদি ট্রাম্পকে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে মনে করেছে। অথচ পররাষ্ট্র পর্যায়ে ওমানে ভারত-বাংলাদেশ বৈঠক আছে সামনে। আবার এপ্রিলে বিমসটেক সম্মেলনে মোদি-ইউনূস বৈঠকের সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু মোদিজীর যেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নালিশ করতে

সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৫০