
খুবই সাদামাটা ভাবে সমাপ্তি ঘটলো প্রধান উপদেষ্টার সাথে বড়ো রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াতের বৈঠক। সাবসিডারি হিসাবে বিনা আমন্ত্রণে ড. ইউনূসের সাথে দেখা করতে গিয়েছিল এনসিপি ! আগামীকাল বাকি দলগুলোর সাথে সাক্ষাৎ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ! তারপর আবার সর্বদলীয় সংলাপ হতে পারে। এত এত ড্রামা হচ্ছে বাংলাদেশে যে ঘরের মা-ঝি রা হিন্দি সিরিয়াল না দেখে বাড়ির পুরুষদের সাথে বসে নিউজ চ্যানেলে ড্রামা উপভোগ করছে। প্রধান উপদেষ্টার সাথে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর কি আলাপ হয়েছে ?
বিএনপি : ছাত্র উপদেষ্টা দুইজন ও রোহিঙ্গা রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ খলিলুর কে অপসারণ, সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, ডিসেম্বরে নির্বাচন ইত্যাদি বিষয়ে লিখিত দিয়েছে তারা ।
জামায়াতে ইসলামী : তারা সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ চায়। নির্বাচন আগামী বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়ে গেলেই জামায়াতের নিকট গ্রহণযোগ্য হবে।
এনসিপি : যেহেতু বিএনপি-জামায়াত সহ সবাই এনসিপিকে আওয়ামী লীগের স্থানে প্রতিস্থাপিত করতে চায় তাই তাদের বক্তব্য কিছুটা আলাদ হবে এটাই স্বাভাবিক। এনসিপি বিগত সরকারের আমলের সকল প্রকার নির্বাচন বাতিল, জুলাই সনদ, গণপরিষদ ও স্থানীয় নির্বাচন আগে চায়।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে ড. ইউনূসের প্রতি সবার পূর্ণ সমর্থন আছে। নির্বাচন আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে হবে। কোনো নতুন কিছু কি সংলাপ থেকে উঠে এসেছে ? সবাই যার যার পুরাতন দাবী জাস্ট ফরমাল ওয়েতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করেছে। ড.ইউনূস কি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কিছু চেয়েছেন ? কোনো মেসেজ দিয়েছেন তাদের ? কয়েকদিনের মধ্যে এসব কিছুই ক্লিয়ার হবে।
অতিসাধারণ একটা ঘটনাকে কেন বড়ো করে জাতির সামনে তুলে ধরা হলো ? সোশ্যাল মিডিয়ার আম্লিক ও জামায়াত পন্থী ইনফ্লুয়েন্সার রা একটা সাধারণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে বিদ্বেষ ছড়িয়েছেন তা নজীরবিহীন ! যে আওয়ামী লীগ সেনাবাহিনীকে দেখতে পারে না তারা চায় এখন সেনাবাহিনী ড. ইউনূস থেকে ক্ষমতা নিয়ে নিক ! অন্যদিকে বাংলাদেশ কে অন্ধকার যুগে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টাকারী জামায়াত পন্থী ইউটিউবার রা গুজব ছড়িয়ে বেড়িয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নাকি পদত্যাগ করবেন আর শেখ হাসিনা দেশে ঢুকবে। যারা এসব বদ কনটেন্ট ক্রিয়েটর দের ফলো করেন সবার মাথায় জ্যাম লেগে যাওয়ার যোগাড় ! অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত পন্থী সাপোর্টাররা এসব বদ ইনফ্লুয়েঞ্জাদের অনুসরণ করে নিজেদের মগজ কে দূষিত করছেন।
বিএনপি-জামায়াতের দুইজন নেতা শামসুজ্জামান দুদু ও আবদুল্লাহ তাহের তাদের কর্মীদের আশ্বস্ত করেছেন আওয়ামী লীগ আর ফিরে আসবে না। কিন্তু কর্মীরা যখন পিনাকি-ইলিয়াসের ভিডিওতে আওয়ামী লীগের ফিরে আসার ব্লু-প্রিন্ট দেখতে পায় তখন নিজেদের নেতাদের তারা নিজেরাই গালি দেয়। তাদের কাছে পিনাকি-ইলিয়াস কে বেশি বুদ্ধিমান মনে হয়। তারা তখন ভেবে কূল পায় না কাদের অনুসরণ করা উচিত হবে। এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছে তাদের !
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




