
ভাই-বোনদের মধ্যে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়া বিবাদ, মামলা বা জেল খাটানো বাংলাদেশের প্রায় সব পরিবারে হয়ে থাকে। ভাই বোন দের মধ্যে যারা তুলনামূলক ভাবে দূর্বল ও নিরীহ তাদের উপর দিয়ে বিপদটা বেশি যায়। ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার সোলায়মান সাহেবের বর্তমান অবস্থা যেন তারই জ্বলন্ত উদাহরণ ! নিরীহ সোলায়মান সাহেবের সম্পত্তির প্রতি বাকি তিন ভাইয়ের লোভ। কারণ সম্পত্তির ভাগা পাওয়ার মতো দাবীদার সোলায়মান সাহেবের নেই। কিন্তু নিরীহ সোলায়মান সাহেব এখনো জীবিত আছেন তারা মনে হয় সেটা ভুলেই গেছে। উহাদের তর সইছে না। সোলায়মান সাহেবের ভাইয়েরা মিলে ষড়যন্ত্র শুরু করলেন। জুলাই আন্দোলন কে তারা ব্যবহার করতে চাইলেন নিজেদের স্বার্থে। সোলায়মান সাহেব জুলাই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন বলে থানায় মামলা দায়ের করা হলো। সেই মামলায় আসামী হিসাবে দেখানো হলো শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের সহ প্রায় ২১০ জনকে। অথচ জুলাই আন্দোলনের সময় সোলায়মান সাহেব উনার নিজ এলাকায় দোকানদারি করছিলেন। এভাবে জুলাই হত্যাকান্ড কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠে নেমেছে কিছু লোক যারা নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থে এমনটা করছেন।
সোলায়মান সাহেব কে এখন তিনি যে মৃত নন তা প্রমাণের জন্য যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা থানায় দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। নিজের জীবন হুমকির মুখে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। উহাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। পুলিশ কেন এমন মামলা নিল তার গ্রহণযোগ্য কোনো উত্তর পাওয়া যায় নি। শুধু তাই নয় জুলাই আন্দোলন নিয়ে প্রতারণা হচ্ছে প্রতিনিয়ত যেখানে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে ছেলেকে জুলাই আন্দোলনে শহীদ দেখিয়ে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ আছে। অথচ ছেলে ছিলো একজন সাধারণ ডেলিভারি ম্যান। থানা থেকে অস্ত্র লুট করতে গিয়ে পায়ে গুলি খেয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যায় ছেলেটি। কিন্তু তার পিতা ছেলের মৃত্যুকে পুজি করে মানুষজন কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে। নোয়াখালীর চাটখিলে যারা বৈবিছার আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিলো তারাই প্রতিবাদ করেছে এই অনিয়মের বিরুদ্ধে। এরকম শত শত ভুয়া মামলা মেরিট বিবেচনা না করে দেয়া হচ্ছে কেবল আর্থিক ফায়দা লাভের জন্য।
বাংলাদেশে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী হয়, মৃত দেখিয়ে জমি-জমা আত্নসাৎ করার চেষ্টা হয়। জুলাই আন্দোলনের সময় বিএনপি নেতা মরহুম রফিকুল ইসলাম কে গ্রেফতার করতে পুলিশ উহার বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারে তিনি মারা গেছেন অনেকদিন আগেই। এদেশে মামলা বাণিজ্য এক শৈল্পিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্ত রা। এদের সাথে পুলিশ প্রশাসন জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
ভুয়া মামলা বাণিজ্যের সাথে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট। সোলাইমান সাহেবের ঘটনায় পুলিশের দ্রুত আর কে কে জড়িত এই ষড়যন্ত্রের সাথে তা খুজে বের করা জরুরি। এ ধরণের নিউজের অপেক্ষায় থাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি দল। মুহূর্তে তারা নেমে পড়ে এ ধরণের নিউজ ভাইরাল করে জনগণের মধ্যে ডাউট ক্রিয়েট করতে !
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





