
ছবিতে যে হুজুর বড়ো দাঁড়িওয়ালা মানুষকে দেখা যাচ্ছে তিনি কিন্তু একজন পাক্কা প্রফেশনাল মানুষ ছিলেন। ছিলেন বুয়েটের প্রফেসর কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে তিনি ধর্মপ্রাণ মুমিনদের শ্রদ্ধার পাত্র হয়েছিলেন। তিনি আর কেউ নন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কামেল পীর যুগশ্রেষ্ঠ বুজুর্গ প্রফেসর হামিদুর রহমান। তাঁর একক প্রচেষ্টায় বুয়েটে এখন নুরানি পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ।
বুয়েটের শিক্ষকগণের সুন্নতী পোশাক ও সুন্নতী দাঁড়ি দেখে স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে। আপনারা এত উচ্চশিক্ষিত হয়েও কীভাবে এ সুন্নতী পোশাক ও দ্বীনদার জীবন গ্রহণ করেছেন? এর উত্তর খুবই সহজ। তারা এখন কুরআন শিখছেন। তাদের ভাষ্য, "আমরা চাই কুরআন শিখার হালতে আমাদের মৃত্যু হোক। তালিবুল ইলম হয়েই আমরা কিয়ামতের ময়দানে উঠতে চাই।"
ব্রিজ বানানো আর সার্কিট ডিজাইন করা তো দুনিয়াবি কাজ, আসল কাজ হলো কবরে মুনকার নাকির প্রশ্নের জবাব দেয়া । প্রফেসর হামিদুর রহমান সাহেব যদি কয়েক বছর আরও জীবিত থাকতেন, তাহলে পুরো বুয়েটই একদিন মাদরাসার মতো পরিবেশে রূপ নিত। কী চমৎকার স্বপ্ন! প্রফেসর হামিদুর রহমান সাহেবের দূরদর্শিতা ছিল অসাধারণ।
এবার আসি আমাদের প্রিয় ব্লগার রাজীব নূর সাহেবের প্রসঙ্গে। তিনি নাকি মনে করেন হুজুররা দেশের সম্পদ নন, বরং আপদ। কী অজ্ঞতা ! তিনি বুঝতেই পারেন না যে একজন হুজুর কত মূল্যবান সম্পদ । তিনি মনে করেন হুজুররা খালি ফতোয়া দিতে পারেন, বিয়ে করতে পারেন, খয়রাত খেতে পারেন : এর বাইরে তাদের কোনো গুণ নেই । রাজীব নূর মনে করেন মাদরাসায় পড়ে কোন লাভ নেই, আখিরাতের চিন্তার চেয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া বেশি জরুরী। কিন্তু তিনি জানেন না যে এখন বুয়েটের প্রফেসররাই প্রমাণ করে দিচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার হয়েও লাভ নেই, হুজুর হওয়াই আসল। তারা কেউ তাবলীগে যাচ্ছেন, চিল্লা দিচ্ছেন, আবার কেউ মাদরাসায় ভর্তি হচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে মেধাবী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা যখন টেকনোলজির পড়া শেষ করে তাফসির পড়া বেছে নিচ্ছেন, তখন বুঝতে হবে আপনি কতটা অজ্ঞতা নিয়ে দিন পার করছেন ।
রাজীব নূর সাহেব আরও বলেছেন যে হুজুরদের দেখলেই তাঁর জামাতি মনে হয়। এটা খুবই দুঃখজনক মন্তব্য। কারণ জামাত তো বাতিল ফেরকা, আর বুয়েটের হুজুররা হলেন প্রকৃত মুমিন। তাদের মধ্যে কোনো মিল নেই। একদল রাজনীতি করে, আরেকদল শুধু দাঁড়ি রাখে আর সুন্নতি টুপি পরে ক্লাস নেয়। পার্থক্য বুঝেন? রাজিব নূর সাহেব এমন সূক্ষ্ম বিষয় বোঝেন না বলেই তিনি সব আলেমদের এক করে ফেলেন। তিনি বুঝতে পারেন না যে মানুষ যখন জ্ঞান-বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করে, উচ্চশিক্ষিত হয়, তখন তারা ইসলামকে বুঝতে শিখে। তাই তো এখন কুরআন সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারার কথা বুয়েটের প্রফেসর এবং ডাক্তারদের। তারা যতই জ্ঞান আহরণ করেন ততই ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। অবশেষে তারাও হুজুর হয়ে যান।
এই যে বুয়েটে রীতিমত ধর্মীয় জ্ঞান চর্চায় বিপ্লব ঘটেছে, এটা তো অসাধারণ একটা ব্যাপার। বাঘা বাঘা প্রফেসররা এখন সুন্নতি দাঁড়ি আর পোশাক পরছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং বই পড়ার পাশাপাশি তারা হাদিসের কিতাব পড়া জরুরি মনে করেন । ল্যাবে এক্সপেরিমেন্ট করার চেয়ে সময়মতো মসজিদে নামাজ পড়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটাই তো প্রকৃত জ্ঞানী মানুষের লক্ষণ। রাজীব নূর সাহেব যদি এই সত্যটা বুঝতেন, তাহলে তিনিও হয়তো দাঁড়ি রেখে ফেলতেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি এখনও বোঝেননি যে দেশের উন্নতির জন্য দরকার বেশি বেশি ধর্মীয় জ্ঞান, বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি নয়।
আল্লাহ তাআলা মারহুম প্রফেসর হামিদুর রহমান সাহেবের কবরে অগণিত রহমত বর্ষণ করুন। তাঁর ঠিকানা জান্নাতুল ফিরদাউস করে দিন। আমীন। কারণ তিনিই আমাদের দেখিয়ে গেছেন কীভাবে একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটিকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা যায়। তাঁর স্বপ্ন ছিল বুয়েট একদিন মাদরাসা হবে। আর সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। আগামীতে হয়তো বুয়েট থেকে পাস করা ইঞ্জিনিয়াররা রাস্তাঘাট বানানোর পাশাপাশি মসজিদের ইমাম হবেন । সফটওয়্যার ডেভেলপ করার পাশাপাশি , ইসলামিক লেকচার দেবেন। আর তখনই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে সত্যিকারের উন্নত দেশ।


সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


