সেদিন একটু দেরীতে উঠেছিল আকাশে চাঁদ,
তারাগুলো প্রদীপ জ্বালিয়ে অপেক্ষায় বসেছিল তার পথ পানে
সন্ধা রাতের জমে থাকা আধাঁর কাটিয়ে যেন কান্ত লাগছিল তাকে।
কিন্তু তার জ্যোৎস্নায় স্নিগ্ধতার কোন কমতি ছিল না।
একাদশীর রাতে চাদঁটি যখন ভরা যৌবনে,
আজকের মতোই তো ঝলমল করছিল তার অবয়ব
কিন্তু সেদিন নিজেকে উজার করে দেয়ার সুযোগ পায়নি সে।
হঠাৎ কালো মেঘে ঢেকে গিয়েছিল তার আকাশ
মেঘের আড়াল থেকে ফুপিয়ে ফুপিয়ে শুধু কেঁদেছে জ্যোৎস্না
বেদনাশ্রু কষ্ট হয়ে ঝরে পড়েছে মাটিতে।
আবার-----
মেঘ কেটে কেটে জ্যোৎস্না জমাতে গেছে অনেকটা সময়।
আজো তার আলো মেখে নদীর নরম ঢেউ চিকচিক করে,
জ্যোৎস্নার আলিঙ্গনে ঘাসফুলগুলো লজ্জায় তিরতির করে কাঁপে,
কলাপাতা ঘোমটাখুলে নিজেকে মেলে ধরে নগ্ন করে।
চাঁদের এই খেয়ালী নির্লজ্জতায় আজও মুখর হয় জগত
যার নিজের আলো নেই,মুখাপেক্ষী অন্যের, সে আলো দেবে কি?
তাই ডুবে যাক জ্যোৎস্না, মুছে যাক পাপ বন্দনা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:১৭