[[আমি সেই প্রজন্ম, যারা মতিঝিল-এ রাস্তায় দাঁড়িয়ে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে, হাক-ডাক-এ সরগম করে, বিক্রি করেছে কাগজ... শেয়ার নয়... কাগজ!!! শেয়ার বাজার বুঝি না-কি বুঝি-না, এই প্রশ্ন করার কোনো মানে নেই; অন্ততঃ আমার দৃষ্টিতে!!! কারণ, একজন মেকানিক-ই গাড়ী ঠিক করে, সে গাড়ীতে থাপ্পড় দিয়ে-ই বলে দেয়... কোথায় সমস্যা!!! এর জন্য তার কত-টুকু পেশাগত যোগ্যতা আর কত-টুকু অভিজ্ঞতা থেকে অর্জিত, তা আমি পাঠক সম্প্রদায়-এর জন্য-ই রেখে দিলাম~~~]]
১. বাজার-এ সবাই-ই খুজেন, কম দামে ভালো জিনিষ। শেয়ার বাজার-এ-ও এমন-টি-ই দেখা যায়! ক্রেতা সব-সময়-ই কম দামে ভালো শেয়ার কিনতে চায়! কিন্তু, প্রশ্ন হলো... কত টাকা মূল্যের শেয়ার-কে কত টাকায় কিনলে আপনি কম দাম-এ কেনা বলবেন??? ১০ টাকা মূল্য-মান-এর শেয়ার কত টাকায় কেনা যৌক্তিক, এই বিষয়-এ বিনিয়োগকারী-দের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের ধারণা প্রচলিত রয়েছেঃ লাভ হলে ৫০০ টাকায়-ও কেনা যায়, আর লস্ খেলে ১০০ টাকায়-ও কিনার যোগ্য নয়... এটা-ই মূল কথা!!!
২. এক-দল সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি তাদের শিকার হবেন, যদি-না আপনি তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যান। সিন্ডিকেট বিভিন্ন-ভাবে শেয়ার-এর মূল্য নিয়ন্ত্রণ করে, এমন-কি বাজার-এর বিভিন্ন সিন্ডিকেট মিলে বাজার-কে জিম্মি করে-ও রাখে!!! ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে-ও একদল বিনিয়োগকারীর সাথে আছি, আমরা অবশ্য এটাকে সিন্ডিকেট বলি-না, আমরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য একত্রিত হতে বাধ্য হয়েছি বলা চলে।
৩. বিনিয়োগকারী হিসেবে, আমরা চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লাভ করতে! ফলে লস্ করার-ও সমান ঝুঁকি-তে পড়ে যাই!!! ব্যবসায় লাভ করার সমান-ই লস্ করার-ও ঝুঁকি থাকে, কারণ এটা একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক দ্রব্যের বাজার, যেখান-এ চাহিদা ও যোগান পরস্পর প্রত্যক্ষভাবে ক্রিয়াশীল। কাজেই, ঝুঁকির কথা-ও ভাবতে হবে আপনাকে।
৪. পেনিক এবং রিউমার-এ মাথা ঠান্ডা রাখা সত্যি-ই খুব বিরল বিষয়!!! যখন বাজার পড়তে থাকে, তখন বেশিরভাগ বিনিয়োগকারী-ই ভয় পেয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেন, ফলে, তিনি লাভ করতে পারেন-না। কিন্তু, শেয়ার বাজার এক-সময় ঘুরে দাঁড়াবে-ই, আর, আপনি অন্ততঃ, একটা লভ্যাংশ পাবেন বৎসর শেষে; কাজেই কেন বিক্রি করে দেবেন???
৫. শত-ভাগ বিনিয়োগ করার ফলে পুরো টাকাটাই ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়!!! শেয়ার বাজার-এ বিনিয়োগ করুন মোট টাকার একটা অংশঃ ৪ ভাগ করুন টাকা-টাকে; ১ম ভাগ দিয়ে মৌল-ভিত্তিক শেয়ার কিনুন (এটা দীর্ঘ-মেয়াদী বিনিয়োগ), ২য় ভাগ দিয়ে ঝুঁকি নিন (এটা নির্ভর করবে আপনার সাহস এবং বুদ্ধি ও প্রাপ্ত তথ্যের উপর), ৩য় ভাগ দিয়ে আপনি বাজার পর্যালোচনা করে এমন শেয়ার কিনুন যেটা বাড়বে বলে মনে হয় (এটা মধ্য-মেয়াদী বিনিয়োগ এবং কিছু-টা ঝুঁকির), এবং ৪র্থ ভাগ অর্থ আপনার হাতে রাখুন।
৬. প্রথম বিনিয়োগ করার সময় এক-সপ্তাহ বাজার পর্যবেক্ষণ করুন। তবে, সিদ্ধান্ত নিজে নিন, কারণ অর্থ আপনার, হারালে, আপনি-ই হারাবেন!!!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
লেখাটা এমনি এমনি লিখলাম... কারো উপকার হবে কি-না জানি-না...
পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ...