
অদ্ভুত একটা জিনিস গত কয়েকদিন হল খেয়াল করছি গরুর হাট নিয়ে। ইচ্ছা করে অনলাইনের ভিডিওগুলোতে বড় বড় গরু কম দাম বলে মানুষকে ব্রেইনওয়াশ করে সেসব হাটের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তারপর হাটে গিয়ে মানুষ বিভ্রান্তির স্বীকার হচ্ছে।
যেখানে হাটে গেলে গরুর দাম আনুমানিক ১০০০-১২০০ টাকা প্রতি কেজিতে (লাইভওয়েট) চাওয়া হচ্ছে, সেখানে ভিডিওগুলো দেখলে মনে হবে ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে ক্রেতা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এই মিথ্যাচারটা সবচেয়ে বেশি দেখলাম গাবতলী এবং হাজারিবাগের হাটে। তারা জানে ১০ জন যদি ভিডিও দেখে আসে তাহলে অন্তত ৫ জন গরু কিনে নিয়ে আসবে।
আবার কিছু ফার্ম পুরা কুরবানির বাজারটাকে গরম করে দিচ্ছে গরুর বংশপরিচয়ের বানোয়াট গল্প বলে। আরে ভাই, কুরবানির পশু কেনার কিছু নিয়ম আছে। কুরআন হাদিসের কোথাও পশুর বংশ নিয়ে কিছু বলা নাই। বয়স, দাঁত এবং সেই পশুর চলাচলের সক্ষমতা দেখে পশু কেনার নিয়ম। কই থেকে আমেরিকার জাত ধরে এনে কোটি টাকা দিয়ে গরু-ছাগল বিক্রি করতেছে। ভাই, যারা এসব গরু কোটি টাকা দিয়ে কিনতেছে তারা লোক দেখানো ছাড়া আর কিছুই করতেছে না। কুরবানির সৎ উদ্দেশ্য থাকলে ১ কোটি দিয়ে ৫০-৬০ টা গরু কিনে নিজের গ্রামে মাংস দিয়ে দিতে পারত।
গতকাল হাটে গিয়েছিলাম। ২ লাখের নিচে গরুর দামই চায় না। ছোট ছোট গরু ২ লাখের উপরে চায়। যে গরু গত বছরেও ৭০-৮০ হাজার ছিল সেই গরু এখন মানুষ বাধ্য হয়ে লাখের উপরে কিনতেছে। এভাবে চলতে থাকলে মধ্যবিত্ত পরিবারের কুরবানি দেওয়ার সক্ষমতা হারিয়ে যাবে। কুরবানি পরিণত হবে বড়লোকদের সৌখিনতা। কালো টাকা দিয়ে কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হবে। এক ঢিলে দুই পাখি মারা শুরু হইছে। একদিকে কালো টাকা সাদা হচ্ছে, অন্যদিকে সমাজে নামডাক বাড়াতেছে। বাঙালি পারে না এমন কিছু নাই ভাই!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




