somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অপারেশন জ্যাকপটঃ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম নৌ কমান্ডো হামলা

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগস্ট ১৯৭১, হানাদার অধিকৃত বাংলাদেশ। ২৫ শে মার্চের অতর্কিত নির্মম গণহত্যার পর পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে বাঙ্গালীরা যে সশস্ত্র প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তাও কিছুটা স্তিমিত। ততদিনে হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আমাদের যুদ্ধের প্রস্তুতি সম্পর্কে মোটামুটি পরিচিত হয়ে উঠেছিলো।

এ সময় সারা দেশজুড়েই মুক্তিযোদ্ধারা ছোট ছোট গেরিলা হামলা চালায়। মূলত জুন-জুলাই মাসে চালানো এ হামলাগুলো ছিল সামরিক দিক দিয়ে কম তাৎপর্যপূর্ণ। পাকিস্তানি দালালদের হত্যা, শত্রুর গাড়ি ধ্বংস, গ্রেনেড নিক্ষেপ এগুলোর মধ্যেই ঘটনাগুলো সীমাবদ্ধ ছিল। এ সময় পর্যন্ত এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর উপর হামলা চালানো হয়নি যা শত্রুর মনোবল ভেঙ্গে দিতে পারে। এমনকি শত্রুপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ বাঙ্গালী নেতৃস্থানীয় দালালেরা তখন পর্যন্ত ছিল অক্ষত। কিন্তু অনেক বাঙ্গালী গেরিলারাই এ সময় পাকবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে শহীদ হয়েছিলেন। তখন পর্যন্ত সামরিক ও রণকৌশলের দিক হতে শত্রুপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রসমূহ- অফিসারস মেস, অস্ত্র ও রসদ গুদাম, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী কেন্দ্র, রেলওয়ে, বন্দর এ সবের উপর কোন সুপরিকল্পিত হামলা হয়নি।

পাকিস্তানি হানাদার সরকার এ সময় ব্যাস্ত ছিল ভয়াবহ মিথ্যা প্রচারণায়। বহিঃ বিেশ্ব প্রচার করা হচ্ছিলো পরিস্থিতি স্বাভাবিক। পূর্ব পাকিস্তানে তথাকথিত “স্বাধীন বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠায় কোন মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে না এবং ভারতীয় এজেন্টদের গোলমাল সৃষ্টির প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে বাংলাদেশ প্রশ্ন প্রায় মৃতপ্রায় হয়ে পড়ে এবং দেশের মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধাদেরও মনোবল কিছুটা ভেঙ্গে পড়ে। কারন যুদ্ধে জয়লাভের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থনও অনেক দরকার ছিল।

মূলত এ প্রেক্ষাপটেই মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দরকার হয়ে পড়েছিলো এমন একটি ভয়াবহ পরিকল্পিত হামলার যার সম্ভাব্যতা শত্রুর কল্পনার বাইরে ছিল।

২৩ শে মে, ১৯৭১। ঐতিহাসিক পলাশী স্মৃতিসৌধের পাশে ভগিরথী নদীর তীরে এ উদ্দেশ্য নিয়েই একটি ট্রেনিং ক্যাম্প চালু করা হয় যার সাঙ্কেতিক নাম ছিল C-2-P। এ ট্রেনিং ক্যাম্প এর উদ্দেশ্য ছিল প্রশিক্ষিত ও পরীক্ষিত গেরিলাদের দিয়ে নৌ পথ, বিশেষত সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরে হামলা করা এবং অস্ত্রবাহী শত্রু জাহাজ ধ্বংস করা।

কমান্ডো হামলার লক্ষ্যস্থল হিসেবে চট্টগ্রাম, খুলনা, মংলা বন্দর, নারায়ণগঞ্জ এবং চাঁদপুর নদীবন্দরকে হামলার লক্ষ্যস্থল হিসেবে বাছাই করা হয় এবং হামলা পরিচালনার জন্য ১৬০ জনকে কঠোর কমান্ডো প্রশিক্ষনের জন্য এবং হামলা পরিচালনার জন্য নির্বাচিত করা হয় (চট্টগ্রাম বন্দর ৬০ জন, মংলা ৬০ জন, খুলনা ২০ এবং নারায়ণগঞ্জ ২০ জন)। এদের প্রশিক্ষনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ভারতীয় নৌ বাহিনীর অফিসার এবং ফ্রান্সের সাবমেরিন প্রশিক্ষন থেকে পালিয়ে আসা পাকিস্তান নৌ বাহিনীর ৮ জন প্রশিক্ষিত বাঙ্গালী কমান্ডো-

১. কমান্ডো মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ্‌ (বীর প্রতীক)।
২. কমান্ডো সৈয়দ মোশারফ হোসেন।
৩. কমান্ডো আমিনুল্লাহ শেখ (বীর বিক্রম)।
৪. কমান্ডো মোঃ বদিউল আলম (বীর উত্তম)।
৫. কমান্ডো আবদুল ওয়াহিদ চৌধুরী (বীর উত্তম)।
৬. কমান্ডো মোঃ আহসান উল্লাহ্‌ (বীর প্রতীক)।
৭. কমান্ডো শহীদ আবদুর রাকিব মিয়া (বীর বিক্রম)।
৮.কমান্ডো আবিদুর রহমান (বীর বিক্রম)।

১৯৭১ এর ৭ ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ এ ৮ জন প্রশিক্ষিত সাবমেরিনার ও কমান্ডোকে দারুন উজ্জীবিত করেছিল। ২৫ শে মার্চ এর গণহত্যার খবর এর পরেই তারা মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের সংকল্প করেন। ফ্রান্সে পি. এন. এস ম্যানগ্রো সাবমেরিন এ প্রশিক্ষনরত পাকিস্তান নৌ বাহিনীর ১৩ জন বাঙ্গালী অফিসারদের মধ্যে এ ৮ জনই মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের জন্য প্রথম ফ্রান্স হতে দুঃসাহসিক ভাবে পালিয়ে চলে আসেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নৌ কমান্ডো হিসেবে নেতৃত্ব দেন।





১০ আগস্ট ১৯৭১। দীর্ঘ তিন মাসের অত্যন্ত কঠোর এ কমান্ডো অপারেশন শেষে গেরিলারা প্রবেশ করেন হানাদার অধিকৃত বাংলাদেশে। শুরু হয়ে যায় “অপারেশন জ্যাকপট”। এই অপারেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষবস্তু চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ৬০ জন নৌ কমান্ডোকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। এ তিনটি গ্রুপেরই সার্বিক কমান্ডে ছিলেন কমান্ডো আবদুল ওয়াহিদ চৌধুরী। তার অধীনে তিনটি গ্রুপের গ্রুপ লিডার নিযুক্ত হয়েছিলেন-

১. ডাঃ মোহাম্মদ শাহ আলম। (২০ জন কমান্ডো)
২. মোহাম্মদ মজাহার উল্লাহ্‌।(২০ জন কমান্ডো)
৩. আব্দুর রশিদ।(২০ জন কমান্ডো)

আগস্টের এই অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত কমান্ডো হামলার তারিখ ও সময় এর গোপনীয়তা রক্ষা করবার জন্য এক বিশেষ সংকেত প্রদান পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়েছিলো। কলকাতা বেতারের একটি নির্দিষ্ট ফ্রিকোয়েন্সিতে, নির্দিষ্ট সময়ের অনুষ্ঠানে- “আমার পুতুল আজকে যাবে শ্বশুরবাড়ি” এবং “আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান”এই দুইটি গান প্রচারের ব্যাবস্থা নেয়া হয়।প্রথম গানটির অর্থ – “সতর্ক হও... ৪৮ ঘণ্টা পড়ে অপারেশন।“ এবং দ্বিতীয় গানটির অর্থ- “প্রস্তুতি নাও...২৪ ঘণ্টা পড়ে নির্দিষ্ট সময়ে অপারেশন করতে হবে।“ এই সংকেত দলের সকল কমান্ডোকে না জানিয়ে শুধুমাত্র দলনেতাকে জানানোর ব্যাবস্থা করা হয় যাতে অন্যান্য কমান্ডোরা ধরা পড়লেও অপারেশনের সময় ও স্থান প্রকাশ না হয়ে পড়ে।





প্রতিটি জাহাজ ধ্বংসের জন্য তিন জনের একটি কমান্ডো গ্রুপ একত্রে অপারেশনে অংশগ্রহন করতেন। প্রতিজন কমান্ডোর কাছে ছিল লিমপেট মাইন, একজোড়া ফিনস, একটি গামছা ও একটি কমান্ডো ছুরি। জাহাজের সামনে, পেছনে ও মাঝামাঝি অংশে ৬ ফুট পানির নিচে চুম্বকযুক্ত মাইন লাগানো হতো। প্রতিটি মাইনের সাথে লাগানো থাকতো একটি ৪৫ মিনিটের “সলিউবল ফ্ল্যাগ” যাতে কমান্ডোরা বিস্ফোরণের পূর্বে নিরাপদে সাঁতরে চলে যেতে পারেন। পানিতে ফ্ল্যাগ এর সেইফটি পিন খুলে দিলে ফ্ল্যাগটি ৪৫ মিনিটে গলে যেতো এবং ডেটোনেটর কে আঘাত করার ফলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হতো।

১৩ ই আগস্ট ১৯৭১, চট্টগ্রাম। রেডিও চালু করবার পরেই গ্রুপ লিডার এর কানে ভেসে এলো সেই বহুল প্রতীক্ষিত গান- “আমার পুতুল আজকে যাবে শ্বশুরবাড়ি”। এটি ছিল প্রথম সংকেত। ১৪ আগস্ট ১৯৭১... ইথার তরঙ্গে ভেসে এলো দ্বিতীয় সংকেত “আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম গান”। এটি ছিল অপারেশন জ্যাকপট শুরুর চূড়ান্ত নির্দেশ।

চট্টগ্রাম বন্দরে সে সময় নোঙ্গর করা ছিল এম.ভি. আব্বাস (১,০৪১ টন সামরিক সরঞ্জাম সহ)। এছাড়াও ছিল ওরিয়েন্ট বার্জ ৬ (৬,২৭৬ টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ) যা ট্রেনে করে ঢাকা নিয়ে যাবার কথা ছিল। এছাড়াও ১৪ আগস্টেই ১৩ নং জেটিতে এম.ভি.হরমুজ ১,৯১০ টন সমরসম্ভার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করেছিলো।

১৫ আগস্ট, প্রথম প্রহর, ১:৪০ মিনিট। প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে বন্দরনগরী কেঁপে উঠে। কারও কোন ধারনাই ছিল না যে কি হচ্ছে। ১:৪৫ এ দ্বিতীয় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। এরপর একটির পর একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণে চট্টগ্রাম নগরী কেঁপে উঠে। হানাদারদের মনে ঘটনার আকস্মিকতায় ভয়াবহ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সশস্ত্র হানাদাররা এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সবচেয়ে সফল এ নৌ কমান্ডো অপারেশন এ চত্তগ্রামে মোট ৩২ টি “লিমপেট মাইন” ব্যাবহার করা হয়েছিলো এবং ১০ টি জাহাজ সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছিলো- যার মধ্যে এম.ভি. আব্বাস এবং এম.ভি.হরমুজও ছিল এবং ওরিয়েন্ট বার্জ ৬ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিলো।একই দিনে চাঁদপুর, মংলা ও নারায়ণগঞ্জেও সফল কমান্ডো হামলা চালায় মুক্তিযোদ্ধারা। এ নৌ কমান্ডো অপারেশনের পর আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ প্রশ্ন আবার আলোচিত হয় এবং হানাদার সরকারের মিথ্যা প্রচারনা ধূলিসাৎ হয়।

১৫ আগস্টের ঐ অপারেশনগুলোতেই প্রায় ২৬টি জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং আরো অনেক নৌযান ক্ষতিগ্রস্থ হয়।আগস্ট মাসের এসব অপারেশন ছাড়াও আগস্ট-নভেম্বর মাসব্যাপী আরো অনেকগুলো নৌ-কমান্ডো অপারেশন পরিচালনা করা হয়। এসব অপারেশনে পাকিস্তানি বাহিনীর আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হলঃ
১. প্রায় সর্বমোট ৫০৮০০ টন জাহাজ ধ্বংসপ্রাপ্ত ও নিমজ্জিত।
২. ৬৬০৪০ টন জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত।
৩. বেশ কিছু সংখ্যক পাকিস্তানি নৌযান বাংলাদেশী নৌ-কমান্ডোদের হস্তগত।

নৌ কমান্ড মিশনগুলোর সবগুলোই কিন্তু সাফল্যের মুখ দেখেনি। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের পর পাহারা শক্তিশালী করায় চট্টগ্রামে আর কোন অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি, যার ফলে চারবার হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ধ্বংস করার চেষ্টা করা হলেও তা বিফলে যায় কয়েকটি কমান্ডো দল শত্রুপক্ষের এম্বুশের কবলে পড়ে তাদের নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। দূর্ভাগ্য ও ভুল হিসাবের কারনেও কিছু অভিযান বিফল হয়। শত্রুপক্ষ তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করায় নারায়নগঞ্জ, বগুড়া, ফরিদপুর এবং চট্টগ্রাম এর তেলের ডিপোগুলো স্যাবোটাজ করা সম্ভব হয়নি। যদিও পরবর্তীকালে মুক্তিবাহিনী হেলিকপ্টার এবং টুইন অট্টার বিমানের সাহায্যে ১৯৭১ সালের ২ ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম এবং নারায়নগঞ্জের তেল ডিপো দুটো ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনা সম্পর্কে ১৬ আগস্ট ১৯৭১ পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর তদন্ত কমিশন রিপোর্টে লেখা হয়েছিলো ঃ
“পরিস্থিতি পর্যালোচনার প্রেক্ষাপটে ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের ব্যাপারে জাহাজের কোন ব্যাক্তিকেই দায়ী করা চলে না।কারন পূর্ব থেকে কিছুই টের পাওয়া যায় নি এবং গেরিলারা যে এ ধরনের অভিযান চালাতে পারে বা চালাবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারে নি। অবশ্য নদীর দিকটা ভালো করে দেখাশোনার জন্য ব্যাবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।দিন রাত্রির কোন সময়েই কোন নৌকা ইত্যাদিকে আর জাহাজের ত্রিসীমানায় ঘেষতে দেয়া হচ্ছে না।“

নৌ কমান্ডোদের এই দুঃসাহসী অপারেশন স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে একটি অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলো।এই সফল অপারেশন সম্পর্কে- “অপারেশন জ্যাকপট” এর অন্যতম পরিকল্পনাকারী মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম এর বক্তব্য প্রণিধানযোগ্য-

“অপারেশন জ্যাকপট এর সাফল্য এ কথা প্রমান করেছিলো যে, যথাযত শিক্ষা এবং নেতৃত্ব দিতে পারলে আমাদের ছেলেরাও অবিশ্বাস্য কাজ করতে পারে। তাদের মধ্যে আন্তরিকতার কোন অভাব ছিলো না, তারা বুদ্ধিমান, কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হবে দ্রুত তা বুঝে নিতেও সক্ষম। তাদের মানসিক উৎকর্ষ ছিল নিঃসন্দেহে নিরক্ষর পাকিস্তানী সৈন্যদের চাইতে উত্তম। শিক্ষিত এক বিরাট গেরিলা বাহিনী আমরা পেয়েছিলাম, এটা আমাদের সৌভাগ্য।“

তথ্যসূত্র ঃ
১. “লক্ষ প্রানের বিনিময়ে”- মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম।
২. “বাংলাদেশের গেরিলা যুদ্ধ”- মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম।
৩. দি ডেইলি স্টার – “নেভাল কম্যান্ডোস ইন অপারেশন জ্যাকপট”।
৪. অপারেশন জ্যাকপট- উইকিপিডিয়া
৫. “নেভাল কম্যান্ডোস ইন দ্যা লিবারেশন ওয়ার”- কম্যান্ডো মোঃ খলিলুর রহমান/ দি ডেইলি স্টার।




সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×