এটি রান্নার অনুষ্ঠান না বলে পর্যটনের অনুষ্ঠান বলা ভাল। বিদেশে এত টেকা খরচ করে অপরিচ্ছন্ন রান্না দেখানোর কি আছে! উনি একজন রন্ধন শিল্পিই নন, একই সাথে খাদক বুঝায় যায়। যত্ব নিয়ে তৈরি করা রেসিপি গুলোতে যুক্ত হচ্ছে ধুলা-বালি, কাকের ইয়ে, ভাসমান কিট আর এক্সট্রা ফ্লেভার।
![]()
কোন কোন চ্যানেলে আবার সম্মানিত অতিথিরা (মিডিয়া ব্যক্তিত্ব) উপস্থিত থাকেন যেখানে তারা তাদের পছন্দমত রেসিপি পরিবেশন করেন। আশ্চর্য্যের বিষয়, রান্নার উপকরণ হিসেবে প্রতিটি খাবারের রেসিপিতে তেল ও চিনির পরিমাণগত যে ব্যবহার দেখানো হয় তাতে মনে হয় এদেশে গ্যাস্ট্রিক, আলসার, ডায়াবেটিস, কিডনিফেইল্যুর, হৃদরোগ মহামারি আকার ধারণ করবে! আমন্ত্রিত অতিথিরা সেই খাবারের চা- চামুচের একচামুচ মুখে দিতে না দিতেই "ওয়াও" শব্দ করে প্রসংশায় ভাসিয়ে দিচ্ছেন
সমুদ্র সৈকতে মাছ ভাজার বদলে হয়ে যাবে কাঁকড়া ভাজা, মাঠে মাংসের কারিতে ভাসবে কাকের ইয়ে!
সামনের দিন গুলোতে আর যেসব স্থানে ইফতার তৈরির অনুষ্ঠানটি হতে পারে:
-মিশরের পিরামিডের ভিতর মমিদের সাথে
-কবরখানায়
-আফ্রিকার জংগলে জংলিদের ডেরায়
-আমাজনের রেইন ফরেস্টে
-হিমালয়ের উপর মুখে মাস্ক পরে
-স্পেন এর বুল ফাইট উৎসবে
-উত্তর গোর্লাধে
-সৌদিআরবের ভূতুরে রাস্তায়
-নরকের দরজা (Door to Hell), তুর্কমেনিস্তানে (আগুণ লাগবে না, এমনিতেই সব সিদ্ধ হয়ে যাবে)
-হাসপাতালের পোস্ট মর্টেম রুমে
আমার মাথায় তো আইডিয়া আরও আসছে, উনাদের মাথায় নিশ্চয় আরও ক্রিয়েটিভ কিছু আছে যা ভাবার বাইরে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




