অলোকানন্দার তীর ঘেসে
যে পথ গেছে আঁকা বাঁকা
সে পথেই তার যাওয়া আসা
এই নদীর জলে ছায়া রেখে
নিত্যদিনের অবুঝ খেলা।
কপালে পোড়া দাগ ছিল তার
বুকে গোপন গভীর ক্ষত
ঢেউয়ের নীচে আড়াল ছিল
শিকল বাঁধা পায়ের চিহ্ন
দেখলে তাকে চিনতে পারো।
চেনা সহজ মায়াবতীর চোখের মায়া
অশ্রুভেজা আঁচল বেয়ে পথে ছড়ায়
অন্ধ পথিক হাত বাড়িয়ে স্বপ্ন জড়ায়
চেনা গন্ধে ধূপদানী ভার বুকের ভেতর
জ্বলতে থাকে সেই সে মায়ায়।
মায়াবতীর চুপকথা সব আকাশ পারে
মিটিমিটি জ্বলতে থাকা তারা
হাসতে থাকে আলো হয়ে
উল্কা হয়ে খসে পড়ে মাটির পরে
চমকে দেখে রূপকথা তার থেমে গেছে।
কোমল হাতে অন্ধকারে
যাদু ছিল স্বপ্ন বোনার
সূচ সুতোয় পাতায় ফুলে
রঙের খেলা, সুখের ছবি
ভুলের বেলা পাথর চাপা সবই।
মায়াবতীর কথার সাথে
ভালবাসা জড়িয়ে থাকে
মায়াবতীর বুকের ভাঁজে
রক্তগোলাপ লুকিয়ে থাকে
আকাশ ভরা তারারা সব
মালা হয়ে জড়িয়ে থাকে
সূর্য কেবল অনেক দূরে
আলো হয়ে জ্বলতে থাকে
মায়াবতীর রূপকথা আজ
চুপকথা হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে ;
থাক্ না তেমন রূপকথা সব
নিজের মত, আপন হয়ে
মায়াবতীর মনের মত
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন হয়ে
কাজলরেখায় আগের মত
সেই অনেক দিন আগের মত ।
(ছবি গুগল থেকে নেওয়া)
*** এক মায়াবতীকে কাছে থেকে দেখে এ কবিতা; তাকে উৎসর্গ)