somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্বাচন ও নির্বিকার!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আচ্ছা আমরা নির্বাচন নিয়ে অনেক তোরজোড় চালাচ্ছি, সেই নির্বাচনের অনেক আগ থেকেই চলছে বহু প্রকার কানাঘুষা। সত্যিকার অর্থে যে যেই দলের সমর্থন করি সেই দলের বিভিন্ন উন্নয়ন কিংবা আলোচনা-সমালোচনায় ভাসিয়ে দিচ্ছি হাট-বাজারের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে স্যোসাল মিডিয়ার পাতা জুড়ে! মূলত আমরা নীতিগতভাবে এটাই শিখে এসেছি যে, আমরা যাকে একবার বিশ্বাস করি,ভালোবাসাতে শিখি তার গুণগান গাইতে হবে, তার প্রসংশা করতে হবে এমন কিছু আমাদের রক্তের সাথে মিশে যায়!

সত্যিকার অর্থে বর্তমানে চাটুকারিতা এক ধরণের শিল্পে পরিণত হয়ে গেছে! শিল্প এই জন্যই বললাম, কারণ একটা সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে যেমন সমাজ ও সংস্কৃতির প্রয়োজন পড়ে তেমনি শিল্পেরও প্রয়োজন থাকে অনেক। শিল্প বলতে আর্ট! এটা হস্ত শিল্প বা শিল্প কারখানা নয় বরং মানুষের মনের ভাব, কোনো বিষয় বস্তু অথবা চিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা অথবা নিজেকে অন্যের কাছে ইতিবাচকভাবে পরিচয় করানো। বর্তমানে চাটুকারিতা এমন পর্যায়ে গেছে যে,এই সব শিল্পে পরিণত হয়েছে আমাদের!

বলছি না এটা খারাপ কোনো বিষয়। যদি কেউ চাটুকারিতা করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে কিংবা কিছু টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয় তাহলে আমার কাছে এই চাটুকারিতাই সঠিক পথে আয়ের উৎস হিসেবে পরিগণিত হবে।

যাইহোক, নির্বাচন নিয়ে কথা বলা দরকার আমাদের সবার। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে,দেশের মানুষ উন্নত হয়েছে সর্বপরি দেশ যে আরো এগিয়ে যাবে এটাও অদূর ভবিষ্যতে আমরা দেখতে পাবো।

কথা হলো, আমরা সাধারণ জনগণ নিজেদের দাবী গুলো প্রকাশ করতে পারছি না! আমরা সবাই হুজুগে শুধু নির্বাচনী প্রচারণাই চালাচ্ছি কিন্তু আমাদের মৌলিক চাহিদা বা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের চাওয়া পাওয়া গুলোর কথা বলছি না!

নাকি আমরা যাদেরকে এমপি বা সরকার হিসেবে মসনদে বসাবো তারা সব চাহিদা আলাদিনের জাদুর চেরাগের মত মিটিয়ে দিয়েছে অথবা দিবে?
আমরা যাকেই সরকার গঠন করিনা কেন আমাদের অর্থাৎ সাধারণ জনগণের মৌলিক অধিকার নিয়েও কেউ কথা বলছে না! দেশের যা উন্নয়ন হবে মানলাম তার সবই জনগণের জন্যই কিন্তু সামগ্রিক উন্নয়ন আর ব্যক্তি বা গোষ্ঠী কেন্দ্রিক উন্নয়নের মধ্যে পার্থক্য আছে!

যেমন,সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যদি বলি, ঢাকা চিটাগাং হাইওয়ে অনেক আগেই প্রসস্ত করা হয়েছে কিন্তু উত্তরবঙ্গের সাথে এখনো এরকম কোনো পথ তৈরি করতে পারেনি কোনো সরকারই! যদিও বর্তমান সরকার কাজটি হাতে নিয়েছে এবং চলমান আছে। এটা সামগ্রিক উন্নয়নের একটা অংশ। এখন আমি ব্যক্তি হিসেবে চাইবো আমার নিজের উন্নয়ন। সরকার আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে কিন্তু এই শিক্ষিত বেকারের বিরাট একটি অংশ চাকরির অভাবে নিজেদের কাজে লাগাতে পারছে না! তাহলে আমি ব্যক্তির উন্নয়নে সরকারের কাছে দাবী রাখতে পারি নিজের চাকরির বিষয়ে!

কিন্তু আমরা এসব বলছি না, আমরা শুধু সরকারের মেগা প্রজেক্টের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছি আবার বিরোধীদের সমালোচনা অথবা বিরোধীরা কিভাবে ক্ষমতাসীনদের ঘায়েল করবে সেদিকে তীর ছুড়তেই আছে! আবার আমরা সাধারণ জনগণ হিসেবে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন দলের সমন্বয়ে কিংবা সব দলের একত্রিত বন্ধুসূলভ আচরণও দেখতে পাই না!
এটাও কিন্তু সাধারণ মানুষ চায়। একটি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ততোদিন ভালো হবে না যতদিন ক্ষমতাসীন দল কিংবা বিরোধী দলের মধ্যে নিজেদের ঢোল পিটিয়ে বেড়ানোর অভ্যাস থাকবে!

যেদিন দেশের জন্য দল-মত,জাতি-ধর্ম,বর্ণ প্রথা উচ্ছেদ করে সবাই শুধুমাত্র দেশের জন্য কাজ করবে তখনোই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হবে। আমরা সাধারণ জনগণ এটাও আশা করি।

আমাদের মাঝে বীরত্বের আত্ম আলোচনা,ব্যক্তি স্বার্থ,ক্ষমতার অপব্যবহার,অর্থের লোলুপ আকাঙ্খা যতদিন থাকবে ততোদিন আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবকরা সাধারণ জনগণের মনের কথা বুঝবে না!

সাধারণ জনগণ কিন্তু এটাও প্রত্যাশা করেন, সবাই একত্রিত হয়ে অর্থের চেয়ে,স্বার্থের চেয়ে,ক্ষমতার চেয়ে মানুষের মাঝে কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি করতে হবে।

লেখকঃ এম এ মোমেন, সাংবাদিক,সংগঠক।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩২
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×