বিনোদনের জন্য খেলার মাঠ নেই,ধীরে ধীরে সব দখল হয়ে যাচ্ছে।সাতারের জায়গা নেই,পুকুর উধাও।
খেলার সময় নেই,দিন রাত শুধু পড়া,কোচিং,ক্লাস টেষ্ট আর মডেল টেষ্ট।বাবা মায়ের একটি কথা,
এখন পড়াশোনা কর,বড় হও,মানুষ হও,তখন খেলাধুলার অনেক সময় ও সুযোগ পাবে।
মনের সাথে যুদ্ধ করে মা বাবার মুখে হাসি ফোটাতে বাচ্চারা ও চালিয়ে যাচ্ছে দিনরাত শুধু লেখাপড়া।
আর সময় পেলে বাসায় টিলিভিশন দেখা,সারাক্ষণ হিন্দি সিরিয়াল।মা এবং বাবাদের কাছে আমার
একটা প্রশ্ন : বাচ্চারা মাঠে খেলবে,পুকুরে সাতার কাটবে কি বড় হয়ে?বড় হয়ে আপনারা কি
মাঠে খেলতে যান?নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন,ফিরে যান অতীতে।
ছোটবেলায় আপনারা কী করেছেন? আপনারা ও বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন।
বাচ্চাদের খুব বেশি বাহিরে নেওয়া হয় না।বাহিরে নাকি বেড়ানোর পরিবেশ নেই।
কিছু শ্রেনীর মানুষ শিশুদের ভুল কাজে ব্যাবহর করছে যেমন::::::
বাচ্চাদের তো ভোট নাই, সরকার গঠন করতে হলে ভোট দরকার।তাই ভোটের রাজনীতিতে বাচ্চারা অপ্রয়োজনিয়।তবে মিছিলের সময় বাচ্চাদের কাজে লাগানো বিষয়টা
বেশ ভালোই বোঝে আমাদের দেশের মানুষ।আর সেই সাথে ওদের দিয়ে বোমা,বা অস্ত্র বহন
করানো কিছু শ্রেনীর মানুষের ধর্ম।কারন তারা মনে করে বাচ্চাদের কেউ সন্দেহ করেনা।
বাচ্চারা সত্যিই জাতির জন্য শেষ্ট বিনিয়োগ।এদের গড়ে ওঠার ওপর নির্ভর করে আগামি দিনের দেশ গঠন।তাই বাচ্চাদের অগ্রাধিকার ভিত্রিতে সুস্থ সুন্দরভাবে,সুশিক্ষায় গড়ে তোলার
দায়িত্ব আমাদের সবার।
আসুন আমারা সহিংস রাজনীতিতে শিশুদের ব্যাবহার বন্ধ করে
শিশুদের কে এই ধরনে কু কর্মের হাত থেকে বিরতো রাখি।