তৌকিরদের যেতে দিন =
গুণী অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকির আহমেদ ও বিপাশা দেশ ছাড়ছে দেখে অনেকে ফেইসবুকে বিলাপ করছেন। আমি এর কোন যৌক্তিক কারন দেখিনা। বুয়েট সূত্রে তৌকির আমার অনুজপ্রতিম বন্ধু। সে কারণেই ছাড়ছেন না লিখে ছাড়ছে লিখেছি। এছাড়াও আনিসুল হক, শাকুর মজিদ, অপি করিম, নির্ঝর ভাই, .. এরাই সবাই সাবেক বুয়েটিয়ান, এবং আমাদের সমসাময়িক।
ইন্টারনেটের কারণে পুরো বিশ্বই আজ একটি বড়ো গ্রাম। তাই, এ যুগে কে কোন দেশে বসবাস করলো তা বড় বিষয় নয়। দেশপ্রেম থাকলে যে কেউ যে কোন অবস্থান হতে দেশের জন্য কাজ করে যেতে পারেন। যেমন, আমি দেশ ছেড়েছি অনেক তরুণ বয়সে। তারপরও দেশ নিয়ে আমি যতটা ভাবি আমার অনেক বন্ধু দেশে বসবাস করেও ততটা ভাবে না, বা পরিবেশের কারণে ভাবতে পারেনা।
আমার চেনাজানা অনেক প্রবাসী বাংলাদেশের জন্য বিদেশে বসে যা করে যাচ্ছেন আমি শতভাগ নিশ্চিত, দেশে বসবাস করলে তারা তা পারতেন না। প্রকৃত দেশপ্রেমী ও গুণীদের মূল্যায়নের সংস্কৃতি দেশে তৈরী হয়নি; হবে কিনা তাও নিশ্চিত করে বলা যায় না। কারণ, স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পরও দেশ আজও সত্যিকারের গণতন্ত্রের মুখ দেখেনি; দুর্ভাগ্য আমাদের! দেশে যা চলছে তা গণতন্ত্রের নাটক; একে গণতন্ত্র বললে গণতন্ত্রের অসম্মান হয়।
আমাদের মতো নগন্য নাগরিকের কথা না হয় বাদই দিলাম। প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয় সাহেব কি আমেরিকায় বসে দেশের জন্য কাজ করছেন না? তাঁর সহোদরা পুতুলও তো কানাডার টরোন্টোতে বসে অনেককিছু করছেন! আমরা সবাই পারলে তৌকির-বিপাশা পারবে না কেন? তাই বলি, যেতে চাইলে ওদের যেতে দিন।
আমার পক্ষ হতে এ পরিবারটির জন্য শুভকামনা।
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪৪