চাইলে আমেরিকাও বাংলাদেশ থেকে শিখতে পারে =
আমেরিকা অনেক শক্তিশালী এবং উন্নত দেশ তা অন্য সবার মতো আমিও মানি। তারপরও, বুক ফুলিয়ে বলতে পারি, কিছু বিষয়ে আমেরিকা চাইলে বাংলাদেশ হতেও শিক্ষা নিতে পারে; যেমন, জাতীয় নির্বাচন।
আমেরিকায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর কয়েকদিন গত হলেও তারা এখনো বিশ্ববাসীর কাছে নির্বাচনের ফলাফল জানাতে পারছে না, যে কাজটা বাংলাদেশ অনেক সময় ভোটের দিন সূর্যোদয়ের আগেই সম্পন্ন করে ফেলে।
ভোট বিষয়ে মানুষের মনের গভীরের চিন্তা-ভাবনা আগাম বুঝতে বাংলাদেশ হয়তোবা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) প্রয়োগও করে থাকে। যাঁরা এআই কি জিনিস জানেন না তাঁদের জন্য সংক্ষেপে বলি, এআই হলো মানুষের বুদ্ধিমত্তা মেশিনে ঢুকিয়ে দিয়ে তা ব্যবহারের একটি আধুনিক কৌশল।
তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর একটি হয়েও বাংলাদেশ যেভাবে বিদ্যুৎগতিতে নির্বাচনের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে ফেলে তা থেকে আমেরিকা চাইলে শিক্ষাগ্রহণ করতে পারে। জ্ঞানার্জনে দোষ নেই; বড়ো দেশও চাইলে ছোট দেশ হতে অনেককিছু শিখতে পারে।
আমেরিকার তুলনায় প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। তারপরও, বুদ্ধির জোরেই বাংলাদেশ নির্বাচনের কাজটি চোখের পলকে সম্পন্ন করে ফেলে বলে আমার ধারণা। এসব কারণেই হয়তো অনেকে মন্তব্য করে থাকেন, আমেরিকান সাদাদের মাথা মোটা।
ভগবান চাহে তো এমন দিন হয়তো আসবে যেদিন বাঙালি জাতি দেখবে, বাংলাদেশ হতে দলে দলে সরকারি কর্মকর্তারা যেভাবে খাল কাটা, মাটিভরাট, ইত্যাদি, হাতেকলমে শিখতে আমেরিকায় যায়, ঠিক তেমনি, আমেরিকা হতেও দফায় দফায় সরকারি কর্মকর্তারা ভোট গণনা শিখতে আমাদের সোনার বাংলায় আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪২