অনেকবছর আগের কথা। আমি তখন দেশের একটি সরকারি অফিসে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। কয়েকটি প্রকল্পের মধ্যে আমার তত্ত্বাবধানে এক স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছিল। এ কারণে আমি মাঝেমাঝেই ব্রিজের সাইট ভিজিটে যেতাম। সন্ধ্যা বা রাতেও গিয়েছি কয়েকবার।
নির্মাণাধীন ব্রিজের কাছেই কিছু কাঁচাপাকা ঘর ছিল। সেখানে নেকাব-বোরকা পরিহিত নানা বয়সী মহিলাদের নিয়মিত আনাগোনা দেখতাম। ধরে নিয়েছিলাম ওটা মেয়েদের মাদ্রাসা বা তেমন কিছু হবে। এ দৃশ্য দেখে মনে ধর্মভীতি জাগ্রত হতো। তাই, কোনদিন কারো কাছে তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইনি। তাছাড়া আমি যে শহরের কথা বলছি সেখানে বেশিরভাগ মানুষই ধর্মপ্রাণ। এ দৃশ্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমার সাবেক সহকর্মী ইলিয়াস সাহেবকে সাথে নিয়ে রাস্তার পাশে রুমাল বিছিয়ে কতবারই না মাগরেবের নামাজ আদায় করেছি!
এক সন্ধ্যায় দেখি এক পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে রেখে ওই ঘরগুলোর একটিতে ঢুকলেন। আমার মাথায় তখন ভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিলো। লোকাল একজনের কাছে জানতে চাইলাম ওই মক্তব বা মাদ্রাসায় কোন সমস্যা হয়েছে কিনা। তিনি হেসে উত্তর দিলেন, 'স্যার, ওটা মাদ্রাসা-মক্তব না, এই শহরের বড়ো বড়ো মাদক চোরাকারবারিরা ওখানে রাতে জড়ো হয়। মেয়েরা বোরকার আড়ালে মাদক আনানেয়া করে। পুলিশের এসআই নজরুল (সম্ভবত ওই পুলিশের নাম নজরুল) এসে প্রতি রাতে ওখান থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে যায়।' আমি তো শুনে থ!
মনে রাখা জরুরি, হিজাব, নেকাব, দাড়ি, টুপি দেখে মুসলমান চেনার দিন আর নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২১ রাত ২:১৬