somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উন্নয়নকর্মীর স্মৃতি- ১: শ্যামনগরে লাইব্রেরি স্থাপন

২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সেটা ছিল ২০১৮ সালের কথা। তখন আমি সাতক্ষীরার আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করতাম রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল (আরআই)’র একটা প্রকল্পের ম্যানেজার হিসাবে। আমি বরাবরই বিশ্বাস করি, উন্নয়নের মূল প্রথিত রয়েছে শিক্ষায়, দানে নয়। তাই প্রত্যন্ত আদিবাসী গ্রামে যদি একটা লাইব্রেরি করা যায় তাহলে তাদের হয়তো কোন উপকারে লাগতেও পারে। এটা আদিবাসী ছেলেমেয়েদের পাঠাভ্যাস তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। যদি প্রকল্পে লাইব্রেরি করার জন্য আলাদা করে কোন বাজেট বরাদ্দ ছিল না তবু প্রস্তাবনা দিতেই প্রতিষ্ঠান রাজি হয়ে গেলেন সেসময় রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম ভাই। তিনি খুব সৌখিন এবং শিক্ষানুরাগী মানুষ। বললেন প্রস্তুতি নিন, আমরা করে ফেলি।

একটা বিশাল বুকলিস্ট করে বাংলা একাডেমি, পাঠক সমাবেশ, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র, বাতিঘর, আজিজ সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন বইয়ের দোকানে ছুটলাম সহকর্মীরা। প্রকল্পের টাকায় একগাদা বই, বুক শেলফ, কিছু চেয়ার আর পড়ার টেবিল কিনে পাঠিয়ে দিলাম সুন্দরবন আদিবাসী মুন্ডা সংস্থা (সামস) এর অফিসে। সামসের অফিস হলো সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর কদমতলা গ্রামের গ্যারেজবাজারের পাশেই। সামসের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর কৃষ্ণপদ মুন্ডা তার অফিসের একটা রুম আমাদের ছেড়ে দিলেন লাইব্রেরি করতে। আমাদের ঢাকা আর শ্যামনগরে ফিল্ড অফিসের সকল সহকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে দাঁড় হয়ে গিয়েছিল একটা লাইব্রেরি।

আরআই ফিল্ড অফিসের দীপঙ্কর সাহা আর সামসের দীপঙ্কর বিশ্বাসও কাজ করেছিল বেশ। যে রুমটি সামস ছেড়ে দিয়েছিল লাইব্রেরির জন্য সেখানে মূলতঃ ওরা দু’জন অফিস করতো। লাইব্রেরি হওয়ার খুশিতে ওরা নিজেদের বসবার জায়গা ছেড়ে দিয়ে অন্য জায়গাতে নিজেদের অ্যাকোমোডেট করে নিয়েছিল।

আমার দু’টো কবিতার বই ”লাল স্বপ্ন” এবং ”আমি জাতিস্মর” আমি ডোনেট করেছিলাম লাইব্র্রেরিটির জন্য। আদিবাসী ছেলেমেয়েরা এসে বই পড়তো। ওরা ফিল্ড থেকে ছবি পাঠাতো বিভিন্ন সময়। দেখে মনটা ভরে যেত। আমি নিজে যখন ফিল্ড ভিজেটে যেতাম তখন সেখানে বসতাম। বইগুলো দেখতাম, কোনটা বের করে পড়তাম। একটা শিহরণ তৈরি হতো। প্রফুল্ল হয়ে যেতো মনটা।
জানিনা এখনো আছে কি না সেই লাইব্রেরি। চলছে কিনা সে খবরও পাই না আজকাল আর।

[দ্র: ছবিটি সামস অফিসের কর্মীদের নিকট আমার লেখা বই হস্তান্তর করার সময়ে তোলা। দিন তারিখ মনে নাই]

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মে, ২০২১ বিকাল ৫:০১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×