somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দরিদ্রদের 'ইউনূসফাঁদ!!!!!!!!!!!!!!!????????????????

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইউরোপের দেওযা় কোটি কোটি ডলার গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরানোর অভিযোগ উঠেছে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। নরওযে়র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক প্রামাণ্যচিত্রে এ অভিযোগ তোলা হয়।

বিডিনিউজ টোযে়ন্টিফোর ডটকম এর হাতে আসা নথিপত্রে দেখা গেছে, দারিদ্র্য দূর করার জন্য ভর্তুকি হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংককে ১৯৯৬ সালে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেয় ইউরোপের কযে়কটি দেশ। নরওযে়, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির দেওযা় অর্থ থেকে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণ নামে নিজের অন্য এক প্রতিষ্ঠানে সরিযে় নেন ইউনূস।

ঢাকার নরওযে়র দূতাবাস, নরওযে়র দাতাসংস্থা নোরাড এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এ অর্থ গ্রামীণ ব্যাংকে ফেরত নিতে চেযে়ও পারেনি। ১০ কোটি ডলারের মধ্যে সাত কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণ নামের প্রতিষ্ঠানেই থেকে যায়।

এরপর গ্রামীণ কল্যাণের কাছে ওই অর্থ ঋণ হিসেবে নেয় গ্রামীণ ব্যাংক।

১৯৭৬ সালে গবেষণা কার্যক্রম হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জোবরা গ্রামে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম শুরু করেন মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালযে় শিক্ষকতা করতেন। ১৯৮৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে গ্রামীণ ব্যাংক।

নরওযে়র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে (এনআরকে) 'ক্ষুদ্র ঋণের ফাঁদে' নামে প্রামাণ্যচিত্রটির ওযা়র্ল্ড প্রিমিযা়র হয় মঙ্গলবার।

প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতা টম হেইনমান মঙ্গলবার রাতে টেলিফোনে বিডিনিউজ টোযে়ন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলার জন্য ছয় মাস চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি দেখাই করতে রাজি হননি।"

বুধবার বিডিনিউজ টোযে়ন্টিফোর ডটকম এর পক্ষ থেকেও ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তার এক সহকারী জানিযে়ছেন, মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশে আছেন এবং ১২ ডিসেম্বর ফিরবেন। ওই সহকারী ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার একটি ই-মেইল ঠিকানা দিযে়ছেন।

প্রামাণ্যচিত্রে তিনি ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়টিকে 'ক্রিটিক্যালি' দেখার চেষ্টা করেছেন বলে জানান টম।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য টমকে ২০০৭ সালে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করে ডেনিশ অ্যাসোসিযে়শন অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম।

কোটি কোটি ডলার 'আত্মসাতের' এ ঘটনা প্রকাশ যেন না হয়, সে বিষযে় সতর্ক ছিলেন ইউনূস। এ নিযে় নোরাডের তখনকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে চিঠিও লেখেন তিনি।

১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিল লেখা ওই চিঠিতে ইউনূস বলেন, "আপনার সাহায্য দরকার আমার। ... সরকার এবং সরকারের বাইরের মানুষ বিষয়টি জানতে পারলে আমাদের সত্যিই সমস্যা হবে।"

নোরাড, ঢাকার নরওযে় দূতাবাস এবং বাংলাদেশ সরকারের সংশি−ষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষযে় নীরব ভূমিকা পালন করে।

প্রায় ১৮ কোটি ডলার

গত শতকের ৯০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংক বিপুল পরিমাণ বিদেশি অর্থ পায়। ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের গরিব মানুষদের দারিদ্রসীমার নিচ থেকে তুলে আনাই ছিলো ওই তহবিলের লক্ষ্য। নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জোনাথন মরডাকের তথ্য অনুযাযী়, ওই সময় ভর্তুকি হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার পেযে়ছিলো।

ইউনূসের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ডলার সরানোর যে অভিযোগ ওঠে, তার ব্যাখ্যাও তিনি দিযে়ছিলেন নোরাডকে। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে গ্রামীণ কল্যাণ নামের প্রতিষ্ঠানে অর্থ সরিযে় নেওযা়র কারণ উল্লেখ করে তিনি ১৯৯৮ সালের ৮ জানুযা়রি একটি চিঠি লিখেন। তাতে বলা হয়- "এ অর্থ রিভলবিং ফান্ড হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় থেকে গেলে ক্রমশ বাড়তে থাকা কর হারের কারণে ভবিষ্যতে আমাদের বিপুল পরিমাণ কর পরিশোধ করতে হবে।"

রিভলবিং ফান্ড থেকে কোনো অর্থ ব্যযে়র পর তার বিনিমযে় পাওযা় অর্থ আবার একই কাজে ব্যবহার করা যায়। এই তহবিলের ক্ষেত্রে অর্থবছর বিবেচ্য হয় না।

ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতাদের সবারই এক গল্প

'ক্ষুদ্র ঋণের ফাঁদে' প্রামাণ্যচিত্রটির নির্মাতারা গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সংশি−ষ্ট গ্রামগুলোতে গেছেন বেশ কযে়কবার। জোবরা গ্রামে তাদের সঙ্গে দেখা হয়, গ্রামীণ ব্যাংক থেকে প্রথম ঋণ নেওযা় সুফিযা়র মেযে়র সঙ্গে। যশোরের 'হিলারি পল−ীতে' তাদের দেখা হয় গরিব মানুষদের সঙ্গে, ক্ষুদ্র ঋণের কারণে তাদের ঋণের বোঝাই বেডে়ছে বলে দেখতে পান নির্মতারা।

ওই পল্লীতে গিযে় ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতি তার সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন সাবেক মার্কিন ফার্স্টলেডি ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।

ঋণগ্রহীতাদের প্রায় সবার মুখেই একই কথা শুনেছেন প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতারা। তারা জানান, প্রত্যেকেই একাধিক ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিযে়ছেন। সেই ঋণ পরিশোধ করতে গিযে় সবারই প্রাণান্ত অবস্থা। কেউ বাডি় বিক্রি করে দিযে়ছে ঋণ শোধের জন্য। আবার ঋণের সাপ্তাহিক কিস্তি শোধ করতে না পারায় কারো ঘরের টিন খুলে নিযে় গেছে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান।

প্রামাণ্যচিত্রটিতে শীর্ষস্থানীয় কযে়কজন সমাজ বিজ্ঞানী ও গবেষকের সাক্ষাৎকার রযে়ছে। এরা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুদ্র ঋণের 'বৃহৎ সাফল্য' নিযে় প্রশ্ন তুলে আসছেন। ডেভিড রডম্যান, জোনাথন মারডক, টমাস ডিক্টার এবং মিলফোর্ড বেটম্যানের মতো সমাজবিজ্ঞানীদের সবার একটাই কথা, ক্ষুদ্র ঋণ চালু হওযা়র পরবর্তী ৩৫ বছরে এখনো এমন কোনো প্রমাণ নেই, যাতে মনে হতে পারে ক্ষুদ্র ঋণ গরিব মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×