somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা গানের নাটক "মহাজনের নাও"

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রায়াত বাউল শাহ আব্দুল করিমের জীবন, সঙ্গীত এবং দর্শন নিয়ে সুবচ নাট্য সংসদের নির্মিত হয় বাংলা গানের নাটক "মহাজনের নাও"।

নাটকটি জুড়েই আছে গান আর ছন্দ কথামালার সমাহার। নাটকটি আগামী ৩রা ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিঃ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী এক্সপ্রিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চয়ান করা হবে।

নাটকটি লিখেছেন শাকুর মজিদ। আর নির্দেশনা এবং পরিকল্পনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক সুদীপ চক্রবর্তী।


নাট্যকারের একটি বিষয় শেষে আবার বলা প্রয়োজন। নাটকের শেষ দৃশ্যে করিমের মৃত্যুসংবাদ শুনে বহু মানুষ নৌকায় পদব্রজে এসে দাঁড়ায়। হাওর তখন উথাল-পাথাল। নাট্যকারের ভাষায়: লাশের মিছিল নিয়া দুপুরের পর/ ধল মসজিদ ঘাটে ভিড়ায় বহর/ শত শত নাও লোক হাজারে হাজার/ ইমাম সাহেব দেখে করে চিৎকার/ ইমাম: ভাইসাব, বলি আপনাদের/ অপেক্ষা করতে হবে কিছু সময়ের বর্ষায় মাঠঘাট ভরে একাকার/ সবাইকে ধরবে না নামাজে কাতার/ একবার উঠানেতে পড়া নয় সোজা/ দুইবার হবে তার নামাজে জানাজা।


একদা বাল্যকালে এই মসজিদ থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া বালক আজ জীবনের শেষে নতুন ইমামের ভাষ্য আমরা শুনলাম। মনোমুগ্ধকর এই যে হাওরে বর্ষাকালে করিমের মৃত্যু, প্লাবিত হাওরের মানুষ সেদিন কোনো এক মুহূর্তের জন্য একচিলতে রংধনু দেখেছিল কি না জানি না, তবে নাটকের শেষ দৃশ্যে হাওরজুড়ে আমরা প্রলম্বিত একটি রংধনু দেখেছিলাম আর সেই রং শাহ আবদুল করিমের বর্ণাঢ্য জীবনেরই সাত রং নিয়ে বহু রং। নতুন শাহ আবদুল করিমের জননীদ্বয় শাকুর মজিদ ও সুদীপ চক্রবর্তীকে অভিনন্দন।


তথ্য সূত্রঃ সবুজের কলতান ব্লগ
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ড: ইউনুস দেশের বড় অংশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২০



ড: ইউনুসের ১ম বদনাম হলো, তিনি 'সুদখোর'; ধর্মীয় কোন লোকজন ইহা পছন্দ করে না; যারা উনার সংস্হা থেকে ঋণ নিয়েছে, তারাও উনাকে সুদের কারণে পছন্দ করে না; ধর্মীয়দের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে তো পানি দিতনা মারার আগে। এখন ভাত পানি খাওয়াইয়া মারে।

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪


আগে তো পানি দিতনা শেষ নিস্বাশের আগে। এখন ভাত পানি খাওয়াইয়া মারে। আর শামীম মোল্লা ভাইয়ের কপালে অবশ্য অত্যাচার ছাড়া কিছু জোটে নাই। “ভাই আমারে আর মাইরেন না বলে অনুনয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনাকে থাকতে দেয়ায়, আপনি ভারতের উপর কতটুকু রেগেছেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৩



"শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নো-ম্যানসল্যান্ডে ঘোরাফিরা করেছে; আশা করছে, যদি কোন বিএসএফ ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত প্রবেশ করার ব্যবস্হা করে;" ইহা ছিলো ১ জন "নতুন মুক্তিযোদ্ধা"... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ এবং ২০২৪ এর হানাদার ও রাজাকারকে সমর্থন করা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০০



১৯৭১ সালের হানাদার আমাদের দেশের সম্পদ তাদের দেশে নিয়েগেছে। ২০২৪ এর হানাদার আমাদের দেশের সম্পদ বিভিন্ন দেশে নিয়েগেছে। কারণ আমাদের দেশই এদের দেশ। ১৯৭১ সালের হানাদার ছিলো ভিনদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা আর আমাদের ক্ষয়ে যাওয়া বিবেক

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬


একটা গল্প প্রচলিত আছে এমন: রমজান মাসে বাংলাদেশে বেড়াতে এলেন উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিক। কোনো এক রোজাদারকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা সারাদিন না খেয়ে থাকেন কেন?
উত্তরে রোজাদার বললেন, আমরা স্র্রষ্টার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×