somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এমজেডএফ
পেশা ব্যবসা ও চাকরি। জ্ঞানভিত্তিক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী। নির্জনে ও নীরবে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করতে ভালোবাসি। বই পড়তে, ভ্রমণ করতে, একলা চলতে এবং জটিল চরিত্রের মানুষ থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। –এম. জেড. ফারুক

বিশ্বমানের বিশেষায়িত হাসপাতাল এখন বাংলাদেশের চট্টগ্রামে

১৬ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৫:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে উদ্বোধন হলো চট্টগ্রামের বহুল প্রত্যাশিত বহুমুখী বিশেষায়িত চিকিৎসা কেন্দ্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেড। হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন বিশ্বের খ্যাতনামা কার্ডিয়াক সার্জন, ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ডা. দেবী শেঠী। বন্দরনগর চট্টগ্রােমের পাহাড়তলীতে ৩৭৫ শয্যার এই হাসপাতালটি ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। বেসরকারি পর্যায়ে চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় হাসপাতাল এটি।

যেভাবে স্বপ্নের শুরু

চট্টগ্রামের লোকেরা পেশাগত দিক দিয়ে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী। এখানে হাজার কোটি টাকার ব্যবসায়ীও আছে অনেক। উল্লেখ্য, হৃদরোগ ধনী লোকদের একটু বেশি হয়। তাই চিকিৎসার জন্য এসব ধনী লোকদের একমাত্র ভরসা ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্স। চিকিৎসার পর আবার প্রতি বছর চেকআপ করার জন্যও ভারতে যেতে হয়। চিকিৎসা, যাতায়াত, ভিসা-পাসপোর্ট ইত্যাদি বিরন্বনার কারণে আজ থেকে দশ বছর পূর্বে চট্টগ্রামের হৃদরোগে আক্রান্ত এসব ব্যবসায়ীদের মনে একটি ভাবনার উদ্বেক হয়। সেটি হলো - ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াকের মত একটি হাসপাতাল কি নিজেদের অর্থায়নে বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করা যায় না! তারপর তাঁরা এই ব্যাপারটি নিয়ে দেশের বিশেষজ্ঞ ও প্রবীণ ডাক্তারদের সাথে আলাপ করলেন। সেই ডাক্তারদের মধ্যে ছিলেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রবিউল হোসেন যিনি চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অন্যতম উদ্যোক্তা। এরপর ডাক্তার, উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী, বিদেশের মেডিকেল প্রযুক্তি বিষয়ক পরামর্শক নিয়ে গঠন করা হলো কমিটি। সিদ্ধান্ত হলো - একটি বহুমূখী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হবে, তবে হৃদরোগ বিভাগটিকে অগ্রগণ্য হিসাবে বিবেচনা করা হবে। এই বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নের জন্য ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াকের প্রতিষ্ঠাতা ডা. দেবী শেঠীর সাথে যোগাযোগ করা হলো। তিনিও কথা দিলেন তাঁর প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠানের ষ্টাফরা হৃদরোগ বিভাগের দায়িত্ব নেবেন। এরপর ২০০৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার যাত্রা শুরু হয়।

স্বপ্ন এখন হাতের মুঠোয়

দশ বছর আগের কল্পনার সেই হাসপাতালটি আজ (১৫ জুন ২০১৯) শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাস্তবে ধরা দিল। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দানবীর ব্যক্তিদের অর্থায়নে ও চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্টের উদ্যোগে ৭ একর জায়গা নিয়ে এই হাসপাতালটি নির্মিত হয়েছে। হাসপাতাল, নার্সেস এবং টেকনিশিয়ান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং আনুষঙ্গিক সেবা নিয়ে পাঁচটি ভবনে এই হাসপাতালের অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক প্রকৌশল পরামর্শকারী সংস্থা কেএমডি-এর স্থাপত্যজনিত ডিজাইন, ড্রয়িং এবং অস্ট্রিয়াভিত্তিক বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ভেমেড-এর পরিকল্পনা, প্রযুক্তি ও প্রকৌশল সহযোগিতা অনুযায়ী এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা হয়েছে।


দেশের সার্বিক চিকিৎসার মান উন্নয়নে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল প্রশিক্ষিত নার্স ও টেকনিশিয়ান তৈরির লক্ষ্যে আবাসন সুবিধাসহ একটি নার্স ও কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র নির্মাণ করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে শুধু সিংগাপুর কিংবা থাইল্যান্ডের হাসপাতালের মতো মানই নয়, ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা হয়েছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল হোসেন বলেন, মূল তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে এই হাসপাতাল করা হয়। এগুলো হলো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ, রোগীদের নিরাপত্তা এবং কর্মীদের নিরাপত্তা। প্রকৌশল, তথ্যপ্রযুক্তি এবং বায়োমেডিকেল বিষয়ে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান, রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিস্থাপন ও হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্ট্রিয়াভিত্তিক ভেমেডের প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইম্পেরিয়াল কর্তৃপক্ষ।

ইম্পেরিয়াল-নারায়ণা কার্ডিয়াক বিভাগ

ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসা থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম ডা. দেবী শেঠীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে। এই বিভাগের নাম দেয়া হয়েছে ইম্পেরিয়াল-নারায়ণা কার্ডিয়াক বিভাগ। ইতোমধ্যে ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা কার্ডিয়াক হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের একটি টিম চট্টগ্রামে পৌঁছে গেছেন। ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মভূষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক দেবী শেঠী ‘কর্ণাটক রত্ন’ পুরস্কারও পেয়েছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে নানা পুরস্কারে ভূষিত এই চিকিৎসক ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদযন্ত্রে সার্জারি করেছেন। মাত্র নয়দিন বয়সী এক শিশুর হৃদপিণ্ডে অস্ত্রোপচার করে তিনি আলোচিত হন। গরিব এবং দুস্থদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েও প্রখ্যাত এই চিকিৎসক ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছেন। ভারতের নারায়ণা ইনস্টিটিউট অব কার্ডিয়াক সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী প্রসাদ শেঠী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় বলেছেন, চিকিৎসার জন্য প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশি পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে যাচ্ছেন। যা সবদিক থেকে ক্ষতি। কিন্তু আমি এদেশে এসেছি একটি মিশন নিয়ে, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশে থেকে বিদেশে রোগী যাওয়া বন্ধ করা। আমি চাই না বাংলাদেশিরা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাক।


উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতি বছর হৃদরোগের চিকিৎসা করাতে দেবী শেঠীর হাসপাতালে যান। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের কষ্ট লাঘবে চট্টগ্রামেই যাতে হৃদরোগের বিশ্বমানের চিকিৎসা হয় সেজন্য ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা. দেবী শেঠীকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেন। দেবী শেঠীর সাথে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়। এই হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের যাবতীয় দায়দায়িত্ব ডা. দেবী শেঠীর ওপর অর্পণ করা হয়। তিনি ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা কার্ডিয়াক সেন্টারের প্রধান সার্জন ছাড়াও নার্স এবং আয়া থেকে শুরু করে পুরো টিমই চট্টগ্রামে পাঠান। জানা গেছে, এখানে কার্ডিয়াক বিভাগের যাবতীয় পরীক্ষা নিরীক্ষাও ব্যাঙ্গালুরুর নারায়ণা কার্ডিয়াক সেন্টারের মতোই পরিচালিত হবে। হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যাঙ্গালুরুর চিকিৎসাই পাওয়া যাবে ইম্পেরিয়ালে।

যেসব সেবা ও সুযোগ-সুবিধা থাকবে

এই হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টভিত্তিক অ্যাম্বুলেন্স এবং মুমূর্ষু রোগীকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে স্থানান্তরের জন্য হেলিপ্যাডের ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে কাজ করার জন্য ২০০ নার্সকে চার মাস ধরে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ৫২ জন পরিচ্ছন্নকর্মীকেও হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভারতের বিখ্যাত নারায়ণ হাসপাতাল এবং ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল যৌথভাবে কার্ডিয়াক সেন্টার পরিচালনা করবে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে ৬৫ জন কনসালটেন্ট ৬৫টি কক্ষে পরামর্শ প্রদান করবেন। ইউরোপিয়ান কনসালটেন্ট নকশানুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ অগ্নিঝুঁকি মুক্ত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত সহনশীল সরঞ্জাম নিয়ে নির্মিত হয়েছে।


ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ডিরেক্টর মোহাম্মদ রিয়াজ হোসেন বলেন, সাত একর জমির মধ্যে ৫টি ভবন নিয়ে মোট ৬ লাখ ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গায় এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাসপাতালের নার্সেস এবং টেকনিশিয়ান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যে কোনো ধরনের ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ, রোগীদের নিরাপত্তা এবং কর্মীদের নিরাপত্তা-এই তিনটি জিনিসকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালটি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে রয়েছে উন্নতমানের সার্বক্ষণিক ইমার্জেন্সি সেবা এবং কার্ডিয়াক, ট্রান্সপ্ল্যান্ট, নিউরো, অর্থোপেডিক ও গাইনি অবস্ ইত্যাদি সম্বলিত ১৪টি মডিউলার অপারেশান থিয়েটার; আছে ১৬টি নার্স স্টেশন ও ৬২টি কনস্যালটেন্ট রুম সম্বলিত বহির্বিভাগ এবং আধুনিক গুণগত মানসম্পন্ন ৬৪টি ক্রিটিকাল কেয়ার বেড; নবজাতকদের জন্য ৪৪ শয্যাবিশিষ্ট নিওনেটাল ইউনিট এবং ৮টি পেডিয়াট্রিক আই সি ইউ। রোগী ও তার সাথে আগত স্বজনদের জন্য হাসপাতাল পরিধির মাঝে থাকার সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল রোগীদের জন্য ১০ শতাংশ শয্যা সংরক্ষিত আছে। হাসপাতালে ৮৮টি সিঙ্গেল, ৭৬টি ডাবল কেবিন, ৮টি পেডিয়াট্রিক আই সি ইউ, রোগীর স্বজনদের থাকার জন্য ৪০টি রুম এবং ২৭১ জন থাকার ডরমেটরি রয়েছে।

যেভাবে ছড়াবে স্বপ্নের ডালপালা

ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের কমিশনিং কনসালটেন্ট এড লি হ্যানসন বলেন, যেসব রোগী বিদেশ যেতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁদের এখানে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই হাসপাতাল করা হয়েছে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের বোর্ড চেয়ারম্যান ও চিটাগাং আই ইনফারমারি এন্ড ট্রেনিং কমপ্লেঙ (সিইআইটিসি) এর ম্যানেজিং ট্রাস্ট্রি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেছেন, শুধু চট্টগ্রামেরই নয়, দেশের চিকিৎসা সেবায় ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল আগামী অন্তত ১৫ বছর এগিয়ে থাকবে। প্রায় ৯০০ কোটি টাকার এই হাসপাতালে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশ্বের সর্বাধুনিক সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। চট্টগ্রামের এই হাসপাতালে শুধু ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর চিকিৎসাই নয়, ইউরোপ এবং সিঙ্গাপুরের সমমানের স্বাস্থ্যসেবাও মিলবে। ট্রাস্ট পরিচালিত এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে দেশের মানুষের আর্থিক বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। দেশের শীর্ষ হাসপাতালগুলোর চেয়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমে এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

কৃতজ্ঞতা ও প্রত্যাশা

দশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ ও চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের প্রতি রইলো অভিনন্দন। জেনে খুশি হলাম যে, ব্যবসার জন্য নয়, চট্টগ্রামের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েই কিছু মহৎ হৃদয়ের মানুষ এই হাসপাতালটি গড়ে তুলেছেন। যারা লাভের চিন্তা না করেই এই হাসপাতালের জন্য টাকা দিয়েছেন তাদের প্রতি রইলো সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা। এখানে উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় প্রতি বছরই হাজার হাজার মানুষ জমিজমা বিক্রি করে প্রতিবেশি দেশ ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশে ছুটতেন। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি মানুষকে নানাভাবে হয়রানির শিকারও হতে হয়। মানুষের এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে এবং চট্টগ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই হাসপাতাল বাংলাদেশ ও বিশেষ করে চট্টগ্রামের অসুস্থ মানুষ এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক চাপ থেকে মুক্তি দেবে। গত ১০ বছর ধরে নিরলস চেষ্টার ফসল আজকের ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল। এটি নীরবে-নিবৃতে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সেবায় একটি বিপ্লব সাধন করেছে। আশা করি এখানকার মানুষ আজ থেকে সেই বিপ্লবের সুফল পাবে।


তথ্য ও ছবির সূত্র:
http://www.ommahealthcare.com/imperial-hospital.html
দৈনিক আজাদী ১৫-০৬-২০১৯, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত
দৈনিক প্রথম আলো, ১৫-০৬-২০১৯
দৈনিক জনকন্ঠ, ১৫-০৬-২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
১৭টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×