somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এমজেডএফ
পেশা ব্যবসা ও চাকরি। জ্ঞানভিত্তিক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী। নির্জনে ও নীরবে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করতে ভালোবাসি। বই পড়তে, ভ্রমণ করতে, একলা চলতে এবং জটিল চরিত্রের মানুষ থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। –এম. জেড. ফারুক

এশিয়ার ‘উদীয়মান বাঘ’ বাংলাদেশ - পর্ব ২ : বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১৮ ডলার থেকে বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দু'বার নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ — একবার পাকিস্তানের অংশ পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে ১৯৪৭ সালে, এবং অন্যবার ১৯৭১ সালে, বর্তমান স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে। দুবারই এ ভূখণ্ডটি অর্থনৈতিকভাবে ছিল পশ্চাৎপদ। প্রথম স্বাধীনতার প্রাক্কালে ধর্মীয় দাঙ্গা-হাঙ্গামায় বিপর্যস্ত পূর্ব বাংলার মুসলমানেরা হিন্দু অধ্যুষিত ভারতের দিল্লী ও কলকাতা কেন্দ্রিক প্রশাসনের পরিবর্তে ধর্মীয় বিশ্বাসকে প্রাধান্য দিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য পাকিস্তানকে গ্রহণ করেছিল। ধর্মের লেবাস পড়ে ইসলামের বুলি আউরিয়ে তখনকার পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকেরা পূর্ব বাংলাকে শোষণ করে তাদের নিজেদের প্রদেশকে সমৃদ্ধ করতে থাকে। স্বাধীনতার মাত্র ১৮ বছর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বে 'আমাদের বাঁচার দাবি: ছয় দফা' ঘোষণার মাধ্যমে পূর্ব বাংলার আপামর জনসাধারণ প্রথম জানতে ও বুঝতে পারে কীভাবে তাদেরকে শোষণ ও বঞ্চিত করা হয়েছে। এরপর "সোনার বাংলা শশ্মান কেন, আইয়ুব শাহী জবাব চাই" স্লোগান দিয়ে দ্বিতীয় বার স্বাধীনতার জন্য এদেশের মানুষ আন্দোলন শুরু করে। ১৯৭১ সালের নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে স্বাধীন বাংলাদেশ।

পাকিস্তান আমলের ২৩ বছরের ইতিহাসে বিশ্ববাসী পূর্ব পাকিস্তানের শুধু নেতিবাচক খবর দেখে এসেছে। যেমন বন্যা , খরা, সাইক্লোন, মহামারী, অভাব-দুর্যোগ ইত্যাদি। জনসংখ্যার ভারে নুয়ে পড়া এই ছোট দেশটির কোনো প্রাকৃতিক সম্পদ নেই, শুধু আছে অনবরত প্রাকৃতিক বিপর্যয় আর দারিদ্রতার অনমন। তাই সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত এ দেশটির ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহের অন্ত ছিল না অনেকের। সংশয়বাদীদের কেউ কেউ এমনও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, এ দেশটি বেশিদিন টিকবে না। বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা সদ্যপ্রসূত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শুধু হতাশার বাণী শুনিয়েছিলেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাংকের প্রথম রিপোর্ট ছিল খুবই নেতিবাচক। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি জাস্ট ফালেন এবং তার এক সহযোগী লিখেছিলেন, "বাংলাদেশের জিওগ্রাফি ঠিক আছে, কিন্তু অর্থনীতি ঠিক নেই। এই দেশের অর্থনীতি টেকসই করতে দুশো বছর সময় লাগবে।" বিশ্ব ব্যাংকের সেই বহুল উদ্ধৃত রিপোর্টে আরও বলা হয়েছিল, বাংলাদেশের যদি উন্নয়ন সম্ভব হয়, আফ্রিকা-সহ বিশ্বের যে কোন দেশেরই উন্নয়ন সম্ভব।

"বাংলাদেশ শুরু করেছিল মাত্র ১৮ ডলার দিয়ে। পাকিস্তানীরা চলে যাওয়ার আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঢাকা অফিসে রেখে গিয়েছিল ১৮ ডলার।" -বিবিসির সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডঃ মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বৈদেশিক সাহায্য/ঋণের ব্যর্থ প্রচেষ্টা


বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরেই বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন। এই কমিশনের সদস্য ছিলেন সেসময়ের বাংলাদেশের খ্যাতিমান চার তরুণ অর্থনীতিবিদ: অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, রেহমান সোবহান, আনিসুর রহমান এবং মোশাররফ হোসেন। "মুক্তিযুদ্ধে আমরা জিতেছি। এখন দ্বিতীয় যুদ্ধ: পুনর্বাসন ও পুর্নগঠন, অর্থনীতি আবার চালু করা, মানুষের অন্নের সংস্থান করা।" -লক্ষ্য নিয়ে কাজে নামলেন পরিকল্পনা কমিশন।

এরকম এক সময়ে একবার তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ এবং পরিকল্পনা কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন খাদ্য সাহায্য চাইতে। সেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে নুরুল ইসলাম বলেন, "যখন আমরা ওয়াশিংটনে গেলাম, তখন ওরা আমাদের বিরাট লেকচার দিল। বললো, তোমরা পাকিস্তানের সঙ্গে মিটমাট করে নাও। তাজউদ্দিন সাহেব তো রীতিমত শকড। আমরা গেছি সাহায্য চাইতে, ওরা বলে পাকিস্তানের সঙ্গে মিটমাট করে নাও।"
নেতিবাচক রিপোর্ট দেওয়া স্বত্বেও এবার উনারা বিশ্বব্যাংকের কাছে গেলেন। বিশ্বব্যাংক তখন এমন কিছু বিষয় তুলছিল, যা বাংলাদেশকে ভীষণ ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল। এর মধ্যে একটি ছিল, পাকিস্তানকে দেয়া বিশ্বব্যাংকের ঋণের দায়ভাগ নেয়ার প্রশ্ন। অধ্যাপক ইসলাম বলেন, "‌ওরা বলছিল, পাকিস্তানকে যে ঋণ দেয়া হয়েছে, সেটার দায়ভাগ আমাদেরও নিতে হবে। আমরা বললাম, আমরা কেন নেব, ওরা তো আমাদের সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করেছে। তখন ওরা বললো, সেটা তোমাদের ইন্টারন্যাল ব্যাপার। আমাদের টাকা ফেরত দিতে হবে।" শেষ পর্যন্ত ফয়সালা হয়েছিল, বাংলাদেশ কেবল সেই ঋণের অংশই পরিশোধ করবে, যেসব প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ কোনো দেশ বা সংস্থা থেকে বৈদেশিক ঋণ বা সাহায্য তো পায়নি, উল্টো পাকিস্তান আমলের বৈদেশিক ঋণের কিছু দেনা মাথায় নিয়ে ফেরত আসতে হলো। এভাবেই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য পাওয়ার চেষ্টা।


যাই-হোক, ১৯৭২ থেকে ২০২১ এই দীর্ঘ ৫০ বছরে অনেক বাঁধা-বিপত্তি, প্রাকৃতিক বিপর্যয়, রাজনৈতিক পরিবর্তন, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের মত প্রতিকুলতা অতিক্রম করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১৮ ডলার থেকে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই অর্জনের পেছনে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে পরিকল্পনাবিদ, শিল্পদ্যোক্তা, গার্মেন্টস কর্মী, প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দেশের কৃষক-শ্রমিক অনেকের অবদান রয়েছে। ১৯৭২ থেকে ২০২১ সালের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়:

■ বৈদেশিক মুদ্রার মজুত প্রথমবারের মতো মিলিয়ন অতিক্রম করে বিলিয়নে উঠে ১৯৮৮ সালে।
■ মজুত বেড়ে ৩ বিলিয়নে হয় ১৯৯৪ সালে, ৫ বিলিয়নে হয় ২০০৭ সালে।
■ মজুত ২০০৮ সালে ছিল ৬ বিলিয়ন যা দ্রুতগতিতে বেড়ে ২০২১ সালে ৪৮ বিলিয়নে উপনীত হয়েছে।
■ রিজার্ভ ১ বিলিয়নে আসতে সময় লেগেছে, ১৮ বছর, ১ বিলিয়ন থেকে ৫ বিলিয়নে যেতে লেগেছে আরো ১৯ বছর।
■ ২০০৮ সালের ৬ বিলিয়ন থেকে ২০২১ সালে ৪৮ বিলিয়ন হতে সময় লেগেছে মাত্র ১৬ বছর।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি (২০০৮ - ২০২১) এই ষোল বছরে অনেকটা আগের মতই ছিল। অর্থাৎ হরতাল-অবরোধ, রাজনৈতিক দাঙ্গা-হাঙ্গামা, শ্রমিক অসন্তোষ, বন্যা-সাইক্লোন তো ছিলই, নতুনভাবে যোগ হয়েছিল পেট্রোল বোমা, আগুন সন্ত্রাস ও করোনা মহামারী। তারপরেও অপ্রতিরোধ্য গতিতে রিজার্ভ বাড়ার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে:
♦ ক্ষমতায় একই সরকারের ধারাবাহিকতা,
♦ দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়ন করতে পারা,
♦ সার্বিক অবকাঠামোর উন্নয়ন,
♦ বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি,
♦ ব্যবসাবান্ধব পলিসি,
♦ গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্সের অনুকূলে সরকারি সহায়তা
♦ রেমিট্যান্সে প্রণোদনা

কয়েকটি দেশের সাথে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তুলনামূলক চিত্র ২০০০ - ২০২০ সাল




রিজার্ভে মালেয়শিয়া ও ভিয়েতনাম বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে থাকলেও বিগত ১২ বছরে মজুত বৃদ্ধির হার বাংলাদেশের বেশি। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ মালেয়শিয়ার সমপর্যায়ে চলে আসবে।

এক নজরে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশ ও দক্ষিণএশিয়ার দেশসমূহ


বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র অনুযায়ী, দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিয়ে। স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও ডলার এ তিন ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখা হয় দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে। এই অর্থ বিভিন্ন দেশের বন্ড ও বিলে বিনিয়োগ করা হয়। প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচাও করে বাংলাদেশ।

২০২১ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রায় রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় চার লাখ আট হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের অর্ধেকের বেশি। চলতি বছরে বাজেটের আকার ৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকা। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনসহ নিয়ন্ত্রণমুলক নানা বিধিনিষেধে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ব্যাহত হলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চলতি অর্থবছরে ৫২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রক্ষেপণ করেছে।
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুটি খাত হচ্ছে তৈরি পোশাক ও প্রবাসী জনশক্তি। দেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ ভাগের বেশি আসে তৈরি পোশাক থেকে। আর রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। দেশের জিডিপিতে ১২ শতাংশের মতো অবদান রাখে বিদেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স খাতেে ব্যাপারে অন্য পোস্টে বিস্তারিত আলাপ করবো।


সাম্প্রতিককালে শ্রীলংকার বৈদেশিক মুদ্রার নাজুক পরিস্থিতি দেখে অনেকেই বাংলাদেশকে ভয় দেখাচ্ছে। এ দেশের কিছু জ্ঞানপাপী তথ্য-উপাত্ত যাচাই না করে আরো একধাপ এগিয়ে গিয়ে বলছেন, সেদিন বেশি দেরি নেই গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্স খাতে ধস নেমে বাংলাদেশ বুগান্ডা হয়ে যাবে! তবে আপাতত শুধু এটুকুই বলে রাখি, বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে সবচেয়ে বড় এবং মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ার পরও অনেকে বলেছিল গার্মেন্টস ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন শর্ত পূরণ করে এবং অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এখন বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগীতা করে ঠিকে থাকার শক্তি ও সামর্থ অর্জন করেছে। সৌদি আরব, কাতার ও কুয়েত বিভিন্ন অজুহাতে টানা কয়েক বছর বাংলাদেশ থেকে কোনো লোক নেয়নি। তাতে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ধসে পড়েনি। সৌদি আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোকে তেলের বিকল্প খাতে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ পেট্রোডলারের জমজমাট ব্যবসা আর বেশিদিন থাকবে না। সুতরাং সেখানে সস্তা শ্রমিকের চাহিদা আরো অনেক বছর থাকবে। তাছাড়া জনশক্তি রপ্তানির দেশের তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশ।

আন্তর্জাতিক সংঘাত, যুদ্ধবিগ্রহ বা মহামারীর মতো কিছু ঘটলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে সাময়িক বিপর্যয় হতে পারে। তবে দেশ বর্তমানের সঠিক নেতৃত্ব ও দূরদর্শী পরিকল্পনায় চলমান থাকলে আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরে আমাদের গার্মেন্টস ও রেমিটেন্সে ধস নামার কোনো সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং অদূর ভবিষ্যতে নিজেদের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য ও গাড়ি দেশীয় কোম্পানীগুলো প্রস্তুত করবে। এতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। তাছাড়া বাংলাদেশের একাধিক নতুন ব্যবসায়িক সেক্টর (ইস্পাত, জাহাজ নির্মাণ, ঔষধ শিল্প) শিশুকাল পেরিয়ে এখন কৈশোরে পদার্পন করেছে। আগামী দশ বছরের মধ্যে এগুলো পূর্ণ যৌবন লাভ করে গার্মেন্টস ও রেমিট্যান্সের বিকল্প সৈনিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে। দেশের কিছু দুর্নীতিবাজ অর্থপাচারকারীর কালো থাবায় কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এগিয়ে যাবে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত।

তথ্য ও ছবিসূত্র:
মাত্র ১৮ ডলার দিয়ে যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির যাত্রা শুরু - বিবিসি, ১৭ ডিসেম্বর ২০২১
বিশ্ব ব্যাংক, আই এম এফ
প্রথম আলো, ইত্তেফাক, বণিকবার্তা
ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:০২
৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×