কি বাঙালি কি বিহারি মানুষ পোড়াতে ইতিহাসের রেফারেন্সের দরকার হয় না। শাহবাগে মানুষকে জীবন্ত পুঁড়িয়ে মারতে লাগে না কোন বাক্য ব্যয়, গান পাউডার হলেই তো হয়। পাঁচতারা হোটেলের সামনে বিশেষ মুহুর্তে মানুষ পুঁড়িয়ে মারা ইতিহাস কি আমরা অর্জন করিনি? করেছি তো। বাঙালি বীরপুঙ্গদেরকে সাবাস জানানোর ভাষা নেই!
তাজরীনে মানুষ পুঁড়িয়ে কি নজির স্থাপন করিনি আমরা, হ্যাঁ করেছি। আদি পাপের দায় দেবার তো দরকার হয় না। রাষ্ট্রকে মানুষ পুঁড়িয়ে মারার মেশিন যখন বানিয়েছি তখন ইতিহাসে মানুষের আদিপাপ খোঁজার চেষ্ঠাটা ভাড়ামি ছাড়া কিছু না।
পোঁড়ালে কে কি করবে আমাদের। আইনের কি করার আছে চেয়ে দেখা ছাড়া। আমাদের মত বীরপুঙ্গদের সহিংস মিছিল থামাবার কার আছে সাহস। এখানে যুক্তি খোঁজার মত বোকামি করা কি দরকার, দেখানো প্রয়োজন আমরা কত সাহসী। দেশপ্রেম কত বেশী আমাদের!আমরাই সাচ্চা দেশপ্রেমিক। ছিটকিনি লাগিয়ে আদিপাপের প্রায়শ্চিত করতে হবে নাম অজানা আদিপাপের পাপীদেরকে।
আমাদের দেশপ্রেমের নজিরগুলোকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে সারা পৃথিবীতে। কাঁটাতারে ঝুলে থাকা দেশপ্রেম। শহুরে দরদীদের দেশপ্রেম। ঠিক যেমন দেশপ্রেম আমরা নিজ স্বদেশী সীমান্তে নিহত পরিবারগুলোকে দেখাই। পত্রিকার পাতায় শিরোনামের যে উত্তেজনা আমার শরীরের জন্য ক্ষতিকর তা এড়িয়ে যাবার মাঝেই তো স্বদেশীর প্রতি আমার দেশপ্রেমের প্রকাশ। এই শহুরে দেশপ্রেমের বিজয়টা আবারো প্রমান করতেই তো হবে আরো অনেক লাশ ফেলে। কি বা আসে যায় স্বদেশী আর বিদেশি!