somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনেক কিছু বলতে মানা

১২ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাবধানে কথা বলো! দরজা দিয়ে বের হতে হতে স্ত্রীর উদ্বিগ্ন গলা শুনি। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে ভাবি, সাবধানেই বলা উচিত। যারা প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছে, তাদের দুরবস্থা জানি। যারা সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নজরদারিতে আছে, তাদের ভোগান্তি জানি। তবুও কেন চড়া গলায় বলে ফেলি এত কিছু!
সাবধানে থাকার আসল উপায় হচ্ছে, কথা-ই না বলা। মাঝেমধ্যে তা-ই করি। পঞ্চম সংশোধনী মামলার লিভ টু আপিল খারিজ হওয়ার দিন ফোন আসে কিছু চ্যানেল থেকে। এই লিভ খারিজ হওয়ার কোনো কারণ আমি বুঝতে পারি না। হাইকোর্টের বিচারক কেন চতুর্থ সংশোধনীর পক্ষে কিছুটা হলেও সাফাই গাইলেন রায়ে, তাও বুঝতে অক্ষম আমি। আরও নানা অসংগতিপূর্ণ (কিন্তু সামরিক শাসনের বিরোধিতা, অসাম্প্রদায়িকতা ইত্যাদি কিছু ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রশংসনীয়) এ রায়কে বাইবেলের মর্যাদা দিয়ে লেখালেখি শুরু হয়ে গেছে চারদিকে। অথচ আমার মনে নানা প্রশ্ন। এত প্রশ্ন প্রকাশ্যে করে টিকে থাকা যাবে না দেশে। সব চ্যানেলকে যাব না বলে দিয়ে বসে থাকি বাসায়। দেখি, অন্যরা কী বলেন।
অন্যরা বলেন। কিন্তু আমার মনের প্রশ্ন অনেকাংশে নেই সেখানে। হয়তো সবাই সাবধানী হয়ে গেছেন আজকাল। হয়তো এ দেশে সত্যিই অনেক কিছু বলতে মানা। কিছু বিষয়ে আদালত অবমাননার খড়্গ আছে, কিছু বিষয়ে মানহানি মামলা খাওয়ার ভয় আছে। এগুলো সব দেশে আছে, বাংলাদেশে আছে আরও বেশি। কিছু বিষয়ে টেলিফোনে হুমকি শোনার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। পাকিস্তান, জিম্বাবুয়ে ও কলম্বিয়ার মতো দেশে এমন হুমকি থাকবেই। কিন্তু গণতন্ত্রের দেশ বাংলাদেশেও তা আছে—আছে ভয়ংকরভাবে।
বাংলাদেশে আরও আছে অতি ‘প্রগতিশীল’ বা ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ নাগরিক সমাজের আক্রমণ। পশ্চাত্পদ বা সাম্প্রদায়িক শক্তি ভয়ংকর একপেশে ও নির্মম। কখনো কখনো শারীরিকভাবে আক্রমণ বা জীবনের ওপর হামলাকে উত্সাহিত করে বসে এরা। এরা এক আমলে সোচ্চার থাকে, আরেক আমলের অনাচার নীরব থেকে সমর্থন করে।
প্রতিক্রিয়াশীল ও পশ্চাত্পদ গোষ্ঠী অযৌক্তিক বা অসহিষ্ণু হবে, কিংবা অন্যদের প্রতি আক্রমণাত্মক হবে, এটি স্বাভাবিক। কিন্তু বেদনাদায়ক হচ্ছে, অতি প্রগতিশীলদের আচরণ। এরা বাকস্বাধীনতার কথা বলে, মুক্তচিন্তার কথা বলে, অন্য পক্ষদের ঝেড়ে বিষ নামিয়ে ফেলে। কিন্তু এদের কোনো সমালোচনা করলে, এমনকি এদের মতো ভাষায় কথা না বললেই বিপদ। হয় তাদের মতো ভাষায় কথা বলতে হবে, না হয় প্রতিক্রিয়াশীল বা পশ্চাত্পদ হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে। মাঝামাঝি কিছু নেই।
এই অতি প্রগতিশীলেরাও বিশেষ সময়ে, বিশেষ কারও পক্ষে সোচ্চার থাকেন, অন্য সময় নিশ্চুপ। পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে এরা আদিবাসী নামে অভিহিত করে, তাদের অধিকার রক্ষায় দিনরাত সোচ্চার থাকে। থাকাই উচিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সেখানে বাঙালি কেউ হত্যাকাণ্ডের শিকার হলে, বাঙালির গ্রাম পুড়লে এরা নীরব থাকে। তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকে, কিন্তু ভারত বা ইসরাইলে সংখ্যালঘুরা চরম বর্বরতার শিকার হলে সে প্রসঙ্গে নীরব থাকে। এরা বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে যুদ্ধাপরাধের বিচার আর সুশাসনের আন্দোলনে দেশ গরম করে ফেলে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদের সুর নরম হয়, সুশাসনের রূপকল্প বাক্সবন্দী হয়ে যায়।
এদের ভাষায় কথা বললে টিক্কা খানের শপথ পরিচালনাকারী বিচারক, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় বিভিন্ন বাহিনীর সর্বোচ্চ পদধারী ব্যক্তি কিংবা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী রাজার সাতখুন মাফ হয়ে যায়। অন্য ভাষায় কথা বললে, সেক্টর কমান্ডার বা বীর উত্তম পর্যন্ত হয়ে যান রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধী।
এদের চটালে জীবন শেষ। সুশীল আর কুশীলদের সম্মিলিত আক্রমণে জান শেষ হয়ে যাবে তখন।

২.
এ দেশে কী বলা যাবে, কী যাবে না, তা নির্ধারিত হয় অন্যদের সিদ্ধান্তে। রাষ্ট্র নয়, নাগরিকই এখানে প্রতিপক্ষ অন্য নাগরিকের। সাম্প্রতিক একটি উদাহরণ দিই। একজন বড় সম্পাদক ফোন করতেন মাঝেমধ্যে। অন্তত একটি লেখা দিতেই হবে তাঁকে। তিনি বলেন, ‘যা খুশি লিখেন, যা আপনার ইচ্ছা হয়।’
আগের দিন টিভিতে দেখেছি, বিএনপি আমলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাবরের দুর্ভোগ। পুলিশের সাহায্য নিয়ে বিধ্বস্ত শরীরে হাঁফাতে হাঁফাতে চলছেন তিনি আদালতে। আদালত তবুও বারবার রিমান্ডে দিয়ে চলেছেন তাঁকে। বাবরের যা অবস্থা, তাঁর আর টেকার কথা নয় বেশি দিন। আমি সম্পাদককে বলি, বাবরের রিমান্ড নিয়ে লিখব। আঁতকে ওঠেন তিনি— এটা লিখবেন! লোকজন কী ভাববে? বোঝানোর চেষ্টা করি তাঁকে। বাবর অপরাধী হলে তাঁর অবশ্যই সমুচিত শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু প্রায় মুমূর্ষু একজন মানুষকে এতবার রিমান্ডে নেওয়া সংবিধানের লঙ্ঘন। তা ছাড়া রিমান্ডের বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আছে, সেটা পালন করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখাও আদালতের কর্তব্য। তিনি আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। কিন্তু অন্যরা কী ভাববে এ নিয়ে বিব্রত তিনি। ‘অন্যদের’ চটানোর সাহস নেই তাঁর। আমাকে আর লিখতে অনুরোধ করাও বন্ধ করে দেন এরপর। সেই পত্রিকায় আমার আর লেখা হয়নি।
অতএব, এ ধরনের পত্রিকায় বাবরের বিষয়ে বলতে মানা। অতি প্রগতিশীলেরা রুষ্ট হন—এ রকম আরও কিছু বিষয়ে লিখতে মানা। বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে সত্যিকারের ইতিহাস চর্চা মানা। শেখ হাসিনার মামলা কেন প্রত্যাহার হলো, সজীব ওয়াজেদ জয় কেন ক্ষমতাবান—এসব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে মানা। ১৯৭৩ সালের যুদ্ধাপরাধ আইনটির আরও সংস্কার প্রয়োজন—এটি লিখতে মানা। ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে মেরেই চলেছে, তা বলতে মানা।
মানা আছে অন্য পক্ষেও। মনে আছে, টিভিতে একবার বলেছিলাম, ‘তারেক রহমানকে দেখে শহীদ জিয়ার সন্তান মনে হয় না, মনে হয়, মামুনের বন্ধু।’ বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত একজন সাংবাদিক ফোন করে জানান, বিএনপির লোকজন দারুণ খেপেছেন এতে। এসব কী বলি আমি! মনে মনে আরেকটা লিস্ট করি। তারেক রহমান বিএনপির এবং দেশের কী কী ক্ষতি করেছেন, তা কোথাও কোথাও বলতে মানা। খালেদা জিয়া কীভাবে জিয়ার রাজনীতি, আদর্শ ও ব্যক্তিত্ব থেকে বিচ্যুত্ হয়েছেন, তা লিখতে মানা। বিএনপির আমলে কেন ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন, তা নিয়ে অনুসন্ধান করা মানা, জামায়াতের বর্বরতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা মানা। বিএনপি এখন ক্ষমতায় নেই। এখন হয়তো আপাতত বলা বা লেখা যাবে অ-বিএনপি পত্রিকা বা টিভিতে। কিন্তু ক্ষমতায় এলেই এসব লেখালেখির মাসুল দিতে হবে। জেলখানায় পচতে হবে কিংবা দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।
মানা মানে যে সরাসরি মানা, সব সময় তা নয়। তবে এসব নিয়ে লিখলে বা বললে নানা রকম বিপদ হতে পারে। সবচেয়ে বড় ভয়, ভুল বোঝাবুঝির শিকার হওয়ার। আওয়ামী লীগের স্তাবক না হলে বিএনপি কিংবা রাজাকারের লেবেল দিয়ে দেওয়া হবে এক পক্ষ থেকে। বিএনপির স্তাবক না হলে ভারতের দালাল বলে গালি দেবে অন্য পক্ষ।
অতি প্রগতিশীল বা অতি প্রতিক্রিয়াশীলদের থেকে রক্ষা নেই। মাঝামাঝি কিছুতে বিশ্বাস নেই তাদের।
৩.
এই হানাহানিতে নানাভাবে উত্সাহ জোগায় গণমাধ্যমও। একদল পত্রিকা ‘অগ্রসর চিন্তার’। কিন্তু অন্য কিছু যারা বলে, তাদের সম্ভবত পছন্দ করে না এরাও। নিজেদের প্রতিবেদনে আওয়ামী লীগবিরোধী লেখক-শিক্ষাবিদদের তারা উল্লেখ করে ‘বিএনপি-জামায়াতপন্থী’ হিসেবে, বিএনপিবিরোধীদের উল্লেখ করে ‘বিশিষ্ট’ বুদ্ধিজীবী বা লেখক হিসেবে। এই বিশিষ্টরা আওয়ামী লীগের এ আমলেও বিভিন্ন ব্যাংক, করপোরেশন বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পেয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। তবু তাঁরা নিরপেক্ষ বা বিশিষ্ট, আর বাকিরা ‘বিএনপিপন্থী’। এদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ বিশেষণ ‘মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি’, সাদা দলের পরিচয় ‘বিএনপি-জামায়াত ঘরানার শিক্ষক’।
অন্যদিকে বিএনপির সমর্থক কিছু পত্রিকায় ঠিক উল্টো চিত্র। সেখানে বিএনপিবিরোধী কাউকে ঘাদানি, নাস্তিক, মুরতাদ ইত্যাদি নামে অভিহিত করা মামুলি বিষয় মাত্র। তাদের সাংবাদিকতায় ঘাদানি মানে আওয়ামী লীগ, নাস্তিক মানে আওয়ামী লীগ, মুরতাদ মানেও আওয়ামী লীগ। বিএনপির পক্ষে কথা বলা মানে স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলা, অন্যকিছু বলা মানে ভারতের দালালি করা।
পিছিয়ে নেই আমাদের চ্যানেলগুলোও। যেকোনো সংবাদ প্রচারে নিজেদের দর্শনের বিশেষজ্ঞ খুঁজে পেতে এদের তুলনা নেই। তাদের দুয়ার বন্ধ অন্যদের জন্য—যা তারা বলতে চায় না, তা অন্যদের বলার সুযোগও দিতে চায় না।

৪.
এ দেশে বলতে মানা এমন বহু কিছু। কিন্তু সাধারণ মানুষ শুনতে চায় সব। দ্রব্যমূল্য বা দুর্নীতি আওয়ামী লীগের আমলে বাড়লে এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কষ্ট পাওয়া থেকে বিরত থাকে না। বিএনপি আমলে দাম বাড়লে বিসমিল্লাহ বললে এদের কষ্ট দূর হয় না। বঙ্গবন্ধু বা জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার হলে এরা নিজেদের পরিজনদের হত্যার কষ্ট ভুলে যায় না। নদীতে পানি কম থাকলে ভারতের স্বার্থ ভেবে খুশি থাকে না, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পাকিস্তানকে ভাই ভাবা শুরু করে না। সবার চলাচল থামিয়ে দিয়ে মন্ত্রীর গাড়ি রাস্তায় চললে, কোন দলের তিনি—এটা ভেবে শাপ-শাপান্ত করা থেকে বিরত থাকে না।
মুশকিল হচ্ছে, ‘বলতে মানা’ কথা বলার সুযোগ নেই তাদের। মিডিয়ায় কথা বলি আমরা শিক্ষিত আর সম্পদশালীরা। জনগণের রায় কী, তাও অবলীলায় সার্টিফাই করি আমরা। জরিপ, গবেষণা আর তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে জনগণ কারা কারা, তাও নির্ধারণ করি আমরাই।
ব্যতিক্রম যে নেই, তা নয়। কিন্তু বলতে মানা কথাগুলো সবারই বলা উচিত ছিল। সেটি হয়নি বলেই এত দুর্ভোগ বাংলাদেশের।
আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

link : Click This Link
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×