somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এলোমেলো কথাঃ ঢাকা ইউনিতে দ্বিতীয়বার ভর্তির জন্য অনশন

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কয়েকদিন ধরে অনশন চলছিল শহীদ মিনারে। কারা অনশনে বসেছে একথা শুনলে অনেকেই চোখ কপালে তুলবে(যারা জানেনা) । ছাত্ররা...... যারা এখনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ভর্তি হয়নি। তারা দ্বিতীয়বার ঢাবিতে ভর্তির সুযোগের জন্যে অনশন করছে। তাদের নাই কোনো মিডিয়া কভারেজ, নাই উচ্চমহলের সাপোর্ট। ওখানে থেকে অনেকে অসুস্থ পর্যন্ত হয়ে পড়েছে, দেখার কেউ নাই। আমার কাছে অনশনের এই পুরো ব্যপারটাই মনে হয়েছে আবেগ থেকে এসেছে। কিন্তু তাদের অনেক কিছু আগেই ভাবা উচিৎ ছিলো। মিডিয়া কভারেজ ছাড়া অনশন পালনে লাভ নাই।
আর তাছাড়া ঢাবি একটি সায়ত্বশাষিত(অভ্রতে বানানটা ঠিক মত আসছেনা) প্রতিষ্ঠান। এভাবে অনশন পালনে অদের কিছুই হবেনা। তারা তাদের মতো কাজ করে যাবেই। তাহলে কিভাবে সম্ভব?
একটা অপশন আমার মাথায় ছিল। সেটা হচ্ছে ঢাবির এই আইনের বিরুদ্ধে মামলা করা। জানিনা এতে কতটুকু কাজ করবে তবে এটা জাস্ট আমার একটা মতামত।
আপনাদের খেয়াল আছে কিনা, বোর্ড পরীক্ষায় একটা নিয়ম ছিল যে সাব্জেক্টিভ ও অব্জেক্টিভ দুটোতেই পাশ করতে হবে। তা নাহলে ঐ সাব্জেক্টে ফেইল। পরবর্তীতে এই নিয়মের কারনে ফেইল করা এক মেয়ে মামলা ঠুকে দিয়েছিলো এই আইনের বিরুদ্ধে। কাজ হয়েছিলো। আদালত রায় দিছে সাব্জেক্টিভ ও অব্জেক্টিভ দুটো মিলে পাশ করলেই পাশ। এভাবে যদি ঢাবিরটা করা যায় তাহলেতো ভালোই।
এবার আমার নিজের কথা বলি। আমি নিজেও ১৪ ব্যাচের ছাত্র। আমার মনে হয় ১৪ ব্যাচটা একটা অভিশপ্ত ব্যাচ। যত প্যারা ছিলো আমাদের সাথে। যত ধরনের বিপদ, সব আমাদের সাথে। আবার আমরাই প্রশ্ন ফাসের মতো ব্যাপারের সাথে কলঙ্কিত। সেই রেশ কাটতে না কাটতে সব ইউনি বিশেষ করে ঢাবির এক্সাম আগাইয়া দিল......ভালো কথা। তারপর দিলো ক্যাল্কুলেটর বন্ধ করে। যাইহোক, ব্যাপারটা এটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ব থাকলে ভালো হতো, কিন্তু না। এরপর ঢাকা বলল, দ্বিতীয়বার ভর্তির আবেদন করা যাবে না।
সত্যি কথা বলতে আমি এর পক্ষে বিপক্ষে নাই। ঢাকা তাদের নিজের মতো নিয়ম বানাবে। কিন্তু এইটার মতো স্পর্শকাতর বিষয়টা আরোও আগেই ঘোষনা দিলেই পারতো। অন্তত এক বছর আগে। তাহলে ছাত্রদের এতো সমস্যায় পড়তো না। তারা আগে থেকে মানষিক ভাবে রেডি থাকত। শুধু তাইনা। তারা এই অনশন করার সুযোগ ও যুক্তি কিছুই পেত না।
ছোট ভাই-বোনেরা যারা ৯/১০ এ পড়, তাদের জন্য কঠিন সময় আসতেছে। সম্ভবত আন্যান্য ইউনি গুলাও ২য় বার এক্সাম বন্ধের ঘোষনা দিবে অতি শিগগির। এগুলো এক দুই বছর পর থেকে কার্যকর হবে হয়ত।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×