somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিঃ মতভিন্নতা ও বাস্তবতা

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খোদ চট্রগ্রাম শহরে তরুণ-বৃদ্ধ নির্বিশেষে অসংখ্য উপজাতি আর বাঙালি আনন্দ-উল্লাসমুখর পরিবেশে ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, ব্যানারসহ একই কন্ঠে শ্লোগান দিচ্ছে -
‘পাহাড়ী-বাঙালি ভাই ভাই, যুদ্ধ নয় শান্তি চাই’,
‘পাহাড়ী-বাঙালি ভাই ভাই, আমরা সবাই শান্তি চাই’,
‘পাহাড়ী-বাঙালি ভাই ভাই, এক সাথে থাকতে চাই’।

হেমন্তের এক বিকেলে চট্রগ্রাম নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের সমাবেশ শেষে নারী-পুরুষের বর্ণাঢ্য মিছিল লালদীঘি, কোতোয়ালী থানা, নিউ মার্কেট, স্টেশন রোড, এনায়েত বাজার ইত্যাদি এলাকা প্রদিক্ষন করার সময় হাজার হাজার মানুষের কন্ঠে প্রতিধ্বনিত শ্লোগানে শ্লোগানে কম্পিত হচ্ছিল সমগ্র এলাকা।

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে কারো কারো কাছে আপাতদৃষ্টিতে উপরের ঘটনা নিতান্তই কাল্পনিক মনে হতে পারে। কিন্তু যতই কাল্পনিক আর অবিশ্বাস্য মনে হোক না কেন, উপরের ঘটনা পুরোপুরিই সত্য। ঐতিহাসিক পার্বত্য চুক্তি সম্পাদনের কয়েকদিন আগে চট্রগ্রামের তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে আর অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবান স্থানীয় পরিষদের চেয়ারম্যান থোয়াইং প্রু মাস্টার এর উপস্থিতিতে এই সমাবেশ এবং মিছিল হয়েছিল। উপজাতি-বাঙালি নির্বিশেষে দেশের আপামর জনসাধারনের কাছে পার্বত্য চট্রগ্রামে সংঘাতের সমাপ্তি আর শান্তির সম্ভাবনা কতটা কাংখিত ছিল – এই ঘটনা তার একটি ছোট উদাহরণ মাত্র। (আলী, ১৯৯৮, পৃ. 59)।

এর পরে অনেকটা সময় পার হয়েছে। এক-দুই বছর হয়ে এখন দুই দশকের বেশী সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। এই দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে যখন এক পক্ষে অভিযোগের আওয়াজ উঠে যে, ‘পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তির দুই-তৃতীয়াংশ বিষয়ই অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়ে গেছে’, বা ‘সরকার চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে কোন কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেনি’ অথবা ‘একের পর এক চুক্তি বিরোধী ও জুম্ম জাতীয় অস্তিত্ব বিলুপ্তির কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলছে’ - তখন পুরো বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে গ্রহন না করে উপায় থাকে না। সঙ্গত কারণেই এমন অভিযোগের যথার্থতা নিরূপণের প্রচন্ড তাগিদ জেগে উঠে আপনা-আপনিই, নিজের ভিতর থেকেই।

চুক্তির অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্যে অনাকাংখিত বিতর্ক এড়ানোর অভিপ্রায়ে, চুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে উভয় পক্ষের প্রকাশিত বুকলেটকে তথ্যের মূল উৎস হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে, যথাঃ
১। পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সহযোগিতায় আই সি এল ডি এস কর্তৃক প্রকাশিত ‘ পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিঃ শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের দুই দশক’।
২। পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত ‘পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে ২০১৭’।

জেএসএস এবং সরকারের পূর্বোক্ত দুটি প্রকাশনের আলোকে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রসঙ্গে উভয় পক্ষের মতভিন্নতা নিচের টেবিলে দেখানো হলোঃ



পরিসরের স্বল্পতা বিবেচনায় সঙ্গত কারণেই প্রতিটি ধারার ব্যাপারে উভয় পক্ষের বক্তব্যের বিস্তারিত আলোচনা পরিহার করা হচ্ছে। তবে, উভয় পক্ষের দাবীর মতভিন্নতার উপর আলোকপাত না করলে, দাবীর যথার্থতা নির্ণয় করা নিতান্তই দুরূহ বিধায় শুধুমাত্র প্রথম খন্ডের ৪টি ধারা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করার প্রয়াস নেয়া হলো। চুক্তির প্রথম খন্ডে উপজাতি অধ্যুষিত পার্বত্য অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষন, বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও সংশোধন, চুক্তি বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ কমিটি গঠন এবং চুক্তির মেয়াদ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারা বাস্তবায়নের অগ্রগতির একটা সংক্ষিপ্ত চিত্র নিম্নরূপঃ

১ম (ক.১) ধারাঃ “উভয়পক্ষ পার্বত্য চট্রগ্রাম অঞ্চলকে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে বিবেচনা করিয়া এই অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ এবং এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন অর্জন করার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করিয়াছে।“
বাস্তবায়নের অগ্রগতিঃ
সরকারী দাবী মোতাবেক – বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যথাঃ
- ২০১১ সালে বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জাতিসত্বাসমুহের ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশ ও সংরক্ষণের বিষয়াদি নিশ্চিত করা হয়েছে।
- এছাড়াও পার্বত্যাঞ্চলের বৈশিস্ট্য সংরক্ষন এবং সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনার রূপরেখা বর্তমান সরকারের রূপকল্প ভিশন ২০২১ এবং ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তবে, জেএসএস এর দাবী মতে, এই ধারাটি এখনো অবাস্তবায়িত রয়েছে।

২য় (ক.২) ধারাঃ “উভয় পক্ষ এই চুক্তির আওতায় যথাশীঘ্র ইহার বিভিন্ন ধারায় বিবৃত ঐক্যমত্য ও পালনীয় দায়িত্ব অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আইন, বিধানাবলী, রীতিসমুহ প্রণয়ন, পরিবর্তন, সংশোধন ও সংযোজন আইন মোতাবেক করা হইবে বলিয়া স্থিরিকৃত করিয়াছেন।”
বাস্তবায়নের অগ্রগতিঃ
সরকারী দাবী মোতাবেক – বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যথাঃ
- পার্বত্য চুক্তির ধারা অনুযায়ী ১৯৮৯ সালের তিন পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইনকে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে ১৯৯৮ সালে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন এবং পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ আইন প্রনয়ন করা হয়েছে।
- এছাড়াও উপজাতিদের দাবী মেনে নিয়ে পার্বত্য চট্রগ্রাম ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন, ২০০১ এর প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পার্বত্য চট্রগ্রাম ভুমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশন আইন, ২০১৬ সংসদে অনুমোদনের পরে ১৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ গেজেট আকারে জারী করা হয়েছে।
তবে, জেএসএস এর দাবী মতে, এই ধারাটি এখনো অবাস্তবায়িত রয়েছে। কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে যে, আঞ্চলিক পরিষদ আইন ও জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করা হলেও “পার্বত্য চুক্তির সাথে সংগতি বিধানকল্পে পুলিশ এক্ট, বাংলাদেশ পুলিশ রেগুলেশন ও পার্বত্য চট্রগ্রাম রেগুলেশন ইত্যাদিসহ পার্বত্য চট্রগ্রামে প্রযোজ্য অর্ধ-শতাধিক আইন, প্রবিধান বা বিধিমালা সংশোধন করা হয়নি।“

৩য় (ক.৩) ধারাঃ “এই চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ করিবার লক্ষ্যে নিম্নে বর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে একটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হইবেঃ
(ক) আহবায়কঃ প্রধানমন্ত্রী কতৃক মনোনিত একজন সদস্য।
(খ) সদস্যঃ এই চুক্তির আওতায় গঠিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান।
(গ) সদস্যঃ পার্বত্য চট্রগ্রাম জন সংহতি সমিতির সভাপতি।“
বাস্তবায়নের অগ্রগতিঃ
সরকারী দাবী মোতাবেক – বাস্তবায়ন করা হয়েছে। জাতীয় সংসদের মাননীয় উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে আহবায়ক করে ২৫ মে ২০০৯ তারিখে তিন সদস্য বিশিষ্ট চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
তবে, জেএসএস এর দাবী মতে, এই ধারাটি আংশিক বাস্তবায়িত রয়েছে।

৪র্থ (ক.৪) ধারাঃ “এই চুক্তি উভয়পক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত ও সহি করিবার তারিখ হইতে বলবৎ হইবে। বলবৎ হইবার তারিখ হইতে এই চুক্তি অনুযায়ী উভয় পক্ষ হইতে সম্পাদনীয় সকল পদক্ষেপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই চুক্তি বলবৎ থাকিবে।“
বাস্তবায়নের অগ্রগতিঃ
সরকারী দাবী মোতাবেক – বাস্তবায়ন করা হয়েছে। চুক্তির কার্যকারিতার মেয়াদ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্বাক্ষরের তারিখ হতেই এটি কার্যকর হবে। তবে ২০০০ এবং ২০০৭ সালে পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন এবং আঞ্চলিক পরিষদ আইনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ১৩ এপ্রিল তারিখে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের কতিপয় ধারা সং বিধান বিরোধী মর্মে ঘোষিত রায়ের প্রেক্ষিতে সরকার মামলা দু’টি নিস্পত্তির লক্ষ্যে সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে, এই ধারার বাস্তবায়নের ব্যাপারে জেএসএস এর পক্ষ হতে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে গিয়ে উভয় পক্ষের দাবীর মধ্যে মতভিন্নতা লক্ষ্যনীয়, যেখানে নিজেদের দাবীর সপক্ষে ধারা এবং বিষয়ের আলোকে বাস্তবায়নের অগ্রগতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এখানে শুধুমাত্র চুক্তির প্রথম খন্ড যেখানে ৪টি ধারা রয়েছে, তার অগ্রগতির মতভিন্নতার দাবীসমূহের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। অবশিস্ট তিন খণ্ডে আরো ৬৮টি ধারার বাস্তবায়নের অগ্রগতির ব্যাপারেও যথারীতি মতভিন্নতা রয়েছে।

সরকারী দাবী অনুযায়ী চুক্তির ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণ ও ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে,অবশিস্ট ৯টি ধারা অবাস্তবায়িত হলেও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

অপরপক্ষে পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তির ২১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম জনসংহতি সমিতি গত ২৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে ঢাকায় হোটেল সুন্দরবনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। উক্ত সম্মেলনে বিতরনকৃত প্রচারপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, “৭২ টি ধারার মধ্যে মাত্র ২৫টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং মৌলিক বিষয় সমুহসহ দুই-তৃতীয়াংশ ধারা এখনো অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে।“ উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে জেএসএস মোট ৩৮ টি ধারার বাস্তবায়নের ব্যাপারে মতামত প্রকাশ করলেও অবশিষ্ট ৩৪টি ধারার বাস্তবায়নের ব্যাপারে কোন মতামত প্রকাশ করেনি।

এমতাবস্থায়, উভয় পক্ষের দাবীর যথার্থতা নির্ণয়ের দায়িত্ব সচেতন পাঠককুলের হাতেই ন্যস্ত করা শ্রেয়।

পরের অংশ পার্বত্য চট্রগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×