somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি-( ৪র্থ পর্ব)

১৫ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Creation of Spaces & the Earth according to Al-Quran & Science)- 4th articulation
[মানুষ মাত্রই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, সুতরাং আমার এই চিন্তা-ভাবনার মাঝে অক্ষমতা হেতু অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তি ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই দয়াময় আল্লাহতায়ালার কাছে সব সময় এই প্রার্থণা জানাই, তিনি যেন তার এই অধম বান্দাকে সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য ক্ষমা করেন।]
৩য় পর্বের পরের অংশ-

সৃষ্টিকালীন ৫ম দিন / ইয়াওম (৫ম পর্ব বা নির্দিষ্ট সময়)
আল-কোরআন (Al-Quran)-
সূরা হিজর-(15.Al-Hijr // Rock City) -আয়াত নং-১৯ ও ২১
(১৫ : ১৯) অর্থ- আমরা পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছি এবং ওতে পর্বতমালা সৃষ্টি করেছি, এবং পৃথিবীতে প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছি সুপরিমিতভাবে।
(15 : 19) And We have stretched the earth and put therein anchors, and caused to grow therein everything proportionately.
(১৫ : ২১) অর্থ- আমাদের নিকটে আছে প্রত্যেক বস্তুর ভান্ডার এবং আমরা তা পরিজ্ঞাত পরিমাণেই সরবরাহ করে থাকি।
(15 : 21) And there is nothing of which there are not treasures with Us, and We do not send it down but with a known measure
সূরা আম্বিয়া- (21.Al-Anbiya // The Prophets) -আয়াত নং-৩০
(২১ : ৩০) অর্থ- যারা কুফ্‌রী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে; তবুও কি ওরা বিশ্বাস করবে না?
(21 : 30) Did the infidels not consider that the spaces and earth were closed up through and though, then We opened them out ? And We made every made living thing from water. Will they then believe?
সূরা আযযারিয়াত- (51.Adh-Dhariyat // The Winnowing Winds) -আয়াত নং-৪৭
(৫১ : ৪৭) অর্থ- আমরা আকাশ নির্মাণ করেছি ক্ষমতাবলে এবং আমরা অবশ্যই মহাসমপ্রসারণকারী।
(51 : 47) And We have made the space with power, and undoubtedly We are Makers of the vast expantion.

বিজ্ঞান-
{(কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)-মৌল কণা এবং প্রাকৃতিক বল-অধ্যায়-৫- দুটি ইলেকট্রনের অন্তর্বর্তী বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল মহাকর্ষীয় বলের চাইতে মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন, মিলিয়ন (একের পিঠে বিয়াল্লিশটি শুন্য) গুণ শক্তিশালী। বৈদ্যুতিক আধান কিন্তু দু-রকমের, পরা এবং অপরা। দুটি পরা আধানের অন্তর্বর্তী বল বিকর্ষণকারী। কিন্তু একটি পরা এবং একটি অপরা আধানের অন্তর্বর্তী বল আকর্ষণকারী। সূর্য কিংবা পৃথিবীর মতো একটি বৃহৎ বস্তুপিন্ডে প্রায় সম সংখ্যক পরা এবং অপরা আধান রয়েছে। সুতরাং একক বস্তুপিন্ডগুলির অন্তর্বর্তী আকর্ষণকারী এবং বিকর্ষণকারী বলগুলি পরস্পরকে প্রায় বাতিল করে দেয়, ফলে অবশিষ্ট বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল থাকে সামান্যই। কিন্তু অণু পরমাণুর মতো ক্ষুদ্র মাত্রার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বলের প্রাধান্য থাকে। অপরা আধান বিশিষ্ট ইলেকট্রন এবং পরা আধান বিশিষ্ট কেন্দ্রকের অন্তর্বর্তী আকর্ষণই ইলেকট্রনকে পরমাণুর কেন্দ্রককে প্রদক্ষিণ করায়। ব্যাপারটা পৃথিবী যে রকম মহাকর্ষীয় বলের কারণে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে সেই রকম। }
{(কৃষ্ণগহ্বর ও শিশু-মহাবিশ্ব এবং অন্যান্য রচনা)-অধ্যায়-৮- ১৯২৯ সালের আগে কেউই ভাবতে পারেনি যে কালের সাথে মহাবিশ্ব পরিবর্তিত হচ্ছে। সে সময় এডুইন হাবল আবিষ্কার করলেন:-দূরের ছায়াপথগুলি আমাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মহাবিশ্ব প্রসারমান। অধ্যায়-১৩-(মহাবিশ্বের ভবিষ্যৎ)- অদীপ্ত পদার্থের ক্রান্তিক ঘনত্বের সাথে সম্পর্কীত বিষয়ে প্রথম প্রার্থী হিসেবে মহাবিশ্বের আদিম স্তর থেকে পড়ে থাকা অবশিষ্ট একটি মৌলকণা হিসেবে -নিউট্রিনো- সম্পর্কে অনেক সাক্ষ্য-প্রমাণ আছে। আগে ভাবা হত নিউট্রিনোর নিজের কোন ভর নেই, কিন্তু আধুনিক পর্যবেক্ষণে জানা যায় - নিউট্রিনোর একটি ক্ষুদ্র ভর থাকতে পারে। }

আলোচনা-
চতুর্খ দিনের সমাপ্তির সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি ( নিয়ন্ত্রিত তাপ শক্তি+শক্তিশালী কেন্দ্রকীয় বল+বৈদ্যুতিক শক্তি ) একটি নির্দিষ্ট সময়কাল (৫ম-দিন) ব্যাপী প্রয়োগের ফলে চৌম্বক শক্তির উদ্ভব ঘটে। অতঃপর আকর্ষণ ক্রিয়ার প্রভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ মৌলিক কণিকা বা পরমাণু সমূহ পরস্পর মিলিত হতে থাকে। (১৫:১৯ ও ২১)নং আয়াত অনুসারে পরমাণুসমূহ বিভিন্ন পরিবর্তন বা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিলিত হওয়ায় ভূমন্ডল অর্থাৎ পৃথিবীর বিভিন্ন স্তর সৃষ্টির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থসমূহ (১৫:২১) আল্লহতায়লার ইচ্ছানুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণে সৃষ্টি হতে থাকে (১৫:১৯)। [ এ পর্যন্ত ১১১টি ভিন্ন ভিন্ন ধর্মবিশিষ্ট মৌলিক পদার্থ আবিষকৃত হয়েছে। ] অপরদিকে (২১:৩০) ও (৫১:৪৭) নং আয়াত থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ পরমাণু নিয়োজিত করবার পরও বিদ্যমান অবশিষ্ট ও অতিরিক্ত পরমাণুসমূহ বিকর্ষণ ক্রিয়ার প্রভাবে পৃথিবী থেকে (২১:৩০) পৃথক হয়ে যায়। এই বিকর্ষীত অতিরিক্ত পরমাণুসমূহ অতঃপর দ্বিতীয় দিনে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অপেক্ষাকৃত ভারী ভরবাহী মৌলকণিকা-কার্ক নিয়োজিত করবার পরও বিদ্যমান অবশিষ্ট-কার্ক ও অপেক্ষকৃত হালকা (প্রায় ভরশুন্য) ভরবাহী মৌল কণিকা নিউট্রিনো সহ আকাশমন্ডলীর অসংখ্য স্তরসমূহ সৃষ্টির উদ্দেশে (৫১:৪৭) সমপ্রসারিত হতে থাকে।

সৃষ্টিকালীন ৬ষ্ঠ দিন / ইয়াওম (৬ষ্ঠ পর্ব বা নির্দিষ্ট সময়)
আল-কোরআন (Al-Quran)-
সূরা মুমিনূন- (23.Al-Mumenoon // The Believers) -আয়াত নং-১৭
(২৩ : ১৭) অর্থ- আমি তো তোমাদের ঊর্ধ্বে সৃষ্টি করেছি সাতটি পদ্ধতি বা পথ এবং আমি সৃষ্টি বিষয়ে অসতর্ক নই।
{ তরায়িকুন:=(অর্থ)-পথ, দল, পদ্ধতি - (কোরআনের অভিধান) - ২৪০পৃষ্ঠা - মুনির উদ্দীন আহমদ }
(23 : 17) And assuredly, We made seven ways/systems above you, and We are not heedless/incautious of creation.
সূরা ফুরকান- (25.Al-Furqan // The Criterion) -আয়াত নং-২
(২৫ : ০২) অর্থ- তিনি (আল্লাহ্) সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেককে পরিমিত করেছেন যথাযথ অনুপাতে।
(25 : 02) He for Whom is the kingdom of spaces and earth and He has not taken a son for Himself and He has no Partner in His Kingdom, and after creating every thing, He has ordained it on a right estimate.
সূরা মুমিন- (40.Al-Ghafir // The Believer) -আয়াত নং-৬৪
(৪০ : ৬৪) অর্থ- আল্লাহই তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন বাসোপযোগী এবং আকাশকে করেছেন ছাদ এবং তোমাদের আকৃতি গঠন করেছেন, অতৎপর সে আকৃতিকে সুন্দর করেছেন এবং ভাল ভাল জিনিস থেকে তোমাদেরকে রিযিক দান করেছেন; সে আল্লাহতায়ালাই হচ্ছেন তোমাদের মালিক, কত মহান বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহতায়ালা।
(40 : 64) Allah is He who made the earth for you a resting place and the space as a roof and shaped you, then made your shapes nice and provided you with good things This is Allah your Lord. So blessed is Allah, the Lord of the entire world.
সূরা-হা-মীম-আস সিজদা- (41.Fussilat // Explained In Detail) -আয়াত - ১১ ও ১২
(৪১ : ১১) অর্থ- অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন যা ছিল ধুম্রপুঞ্জ বিশেষ। অনন্তর তিনি তাকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা এলাম অনুগত হয়ে।
(41 : 11) Then He turned towards the space and it was a smoke. Then He said to it and to the earth, 'come both of you willingly or unwillingly. They both submitted,' we have come willingly.'
(৪১ : ১২) অর্থ- অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দুই দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন; এবং আমরা ( সম্মান সূচক ) নিকটবর্তী আকাশকে সজ্জিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং করলাম সুরক্ষিত। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
(41 : 12) Then He completed them as seven spaces in two days and He sent to each space the commands of its own function. And We adorned the lower space with the row of lamps (galaxy/ constellation) and for protection. This is the decree of the Honourable. The All Knowing.
সূরা তালাক- (65.At-Talaq // Divorce) -আয়াত নং-১২
(৬৫ : ১২) অর্থ- আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন সপ্ত-আকাশমন্ডলী এবং পৃথিবীও এর অনুরূপভাবে। আকাশ ও পৃথিবীর সর্বস্তরে নেমে আসে তাঁর আদেশ।
(65 : 12) Allah is, it is He, who created seven spaces, and of the earth their like; the commandment comes down in their midst, so that you may know that Allah can do everything, and the knowledge of Allah encompasses everything.
সূরা নূহ- (71.Nooh // Nooh) -আয়াত নং-১৫, ১৬
(৭১ : ১৫) অর্থ- তোমরা কি লক্ষ্য কর নাই আল্লাহ্ কিভাবে সপ্ত-আকাশমন্ডলীতে (বহু) স্তরসমূহ সৃষ্টি করেছেন ?
(71 : 15) Do you not see that Allah has made the layers of seven spaces?
(৭১ : ১৬) অর্থ- যেথায় চন্দ্রকে স্থাপন করেছি আলোকরূপে এবং সূর্যকে স্থাপন করেছি প্রদীপরূপে।
(71 : 16) And He illuminated therein the moon and has made the sun as a lamp.
সূরা নাবা- (78.An-Naba // The Tidings) -আয়াত নং-১২
(৭৮ : ১২) অর্থ- আর নির্মান করেছি তোমাদের ঊর্ধ্বদেশে সুস্থিত সপ্ত-স্তর।
(78 : 12) And We have built over you seven strong layers (firmaments).
সূরা ক্বাফ- -আয়াত নং-৩৮
(৫০ : ৩৮) অর্থ- আমি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং ওদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছি ছয় দিনে; আমাকে ক্লান্তি স্পর্শ করেনি।
(50 : 38) Surely, We created the spaces and the earth and what ever is in between in six days and weariness came not to Us.

বিজ্ঞান-
{(কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস)-আমরা শুধু স্থানের তিনটি এবং কালের একটি মাত্রা দেখতে পাই, কারণ অন্য মাত্রাগুলি বক্র হয়ে অত্যন্ত ক্ষুদ্র আয়তনের স্থানে রয়েছে। স্থান-কালের ব্যাপারটি - অত্যন্ত ক্ষুদ্র মাত্রায় দেখলে দশ মাত্রিক এবং অত্যন্ত বঙ্কিম, কিন্তু বৃহত্তর মাত্রায় বক্রতা কিংবা অতিরিক্ত মাত্রা দেখতে পাওয়া যায় না। মহাবিশ্বে এমনতর অন্যান্য অনেক অঞ্চল কিংবা এমন একাধিক মহাবিশ্ব (তার অর্থ যাই হোক না কেন) থাকার যথেষ্টই সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে সমস্ত মাত্রাই কুঞ্চনের ফলে ক্ষুদ্র কিংবা যেখানে চারটি মাত্রাই প্রায় সমতল। কিন্তু সেই সমস্ত অঞ্চলে বিভিন্ন সংখ্যক কার্যকর মাত্রাগুলি পর্যবেক্ষণ করার মত বুদ্ধিমান জীব থাকবে না।}

আলোচনা-
পঞ্চম দিনের সমাপ্তির সাথে সাথে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি ( নিয়ন্ত্রিত তাপশক্তি + কেন্দ্রকীয় বল + চৌম্বকশক্তি ) একটি নির্দিষ্ট সময়কাল (৬ষ্ঠ দিন) ব্যাপী প্রয়োগের ফলে অভিকর্ষ বলের উদ্ভব ঘটে। (৪১:১১, ১২) ও (৭৮:১২) নং আয়াত থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, এই অভিকর্ষ বলের প্রভাবে বিভিন্ন ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পঞ্চম দিনে সমপ্রসারিত (৪১:১১) - 'ধুম্রপুঞ্জ’- অর্থাৎ -পৃথিবী (ভিত্তি) সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অপেক্ষাকৃত ভারী ভরবাহী মৌলকণা-কার্ক নিয়োজিত করবার পরও বিদ্যমান অবশিষ্ট পরমাণু + কার্ক + নিউট্রিনো- দ্বারা ভরপুর আসমানের অন্তহীন দূরত্বকে ষষ্ঠ দিনে আল্লাহর আদেশে (৪১:১২) -( দুই দিনে- অর্থাৎ -৫ম + ৬ষ্ঠ দিনে পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন সাধনের মাধ্যমে) সাতটি বিরাটকায় অংশে (৭৮:১২) বিভক্ত করা হয়। অতঃপর (৭১:১৫), (৪০:৬৪), (২৩:১৭) ও (৪০:১২) নং আয়াত থেকে এই ইংগিত পাওয়া যা যে, সপ্ত-আকাশমন্ডলী সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ থেকে অসংখ্য স্তর সৃষ্টি করে সাতটি বিরাটকায় আসমানী অঞ্চলের মধ্যে অসংখ্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ স্তর বিন্যাস দ্বারা (৭১:১৫) স্তরে স্তরে সজ্জিত করা হয়। প্রতিটি আসমানী অঞ্চলকে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এক একটি ছাদ (৪০:৬৪) অর্থাৎ ডাইমেনশন বা মাত্রাগত পৃথককারী সীমানা দ্বারা এক একটি সুনির্দিষ্ট ও সুনিয়ন্ত্রিত (২৩:১৭) পদ্ধতিতে { যেমন নিম্নতম অর্থাৎ প্রথম আসমানে সৌরমন্ডলীয় পদ্ধতি রয়েছে} পরিচালিত অংশ হিসেবে (৪০:১২) সুরক্ষিত রাখা হয়। অনুরূপভাবে (২৫:২) ও (৬৫:১২) নং আয়াত থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, একই সময়ে ভূ-মন্ডলের স্তর-সমূহ সৃষ্টির উদ্দেশে বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মৌলিক পদার্থ সমূহ (২৫:২) আনুপাতিক হারে মিলিত হওয়ায় অসংখ্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ যৌগিক পদার্থসমূহ গঠিত হয় এবং অভিকর্ষ বলের প্রভাবে নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এক একটি স্তর গঠণ কোরে আকাশমন্ডলীর মত (৬৫:১২) স্তরে স্তরে সজ্জিত হয়ে নির্দিষ্ট আকৃতিতে পৃথিবী-রূপে একটি সীমাবদ্ধ গন্ডির মধ্যে সংঘবদ্ধ হয়। (৫০:৩৮) নং আয়াত অনুসারে এভাবে মহান আল্লাহতায়ালা সর্বমোট ছয় দিনে অর্থাৎ সৃষ্টিকালীন ছয়টি সময়ে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় (৫০:৩৮) সব কিছু সৃষ্টির পর সপ্ত-আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে স্ব-স্ব রূপে সংগঠিত করেছেন। অতঃপর অসংখ্য স্তর বিশিষ্ট সাত আসমানের প্রত্যেকটির জন্য (১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম আসমানের জন্য) নির্দিষ্ট মাত্রা বা ডাইমেনশনের সীমানা নির্ধারিত কোরে দিয়েছেন। (ক্রমশ চলবে......)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৩:৪৮
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×