somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম কি দাসপ্রথাকে আদৌ সমর্থন করে? (১ম- পর্ব)

০২ রা অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার জানামতে বর্তমানে পৃথিবীর কোথাও রাষ্ট্রীয়ভাবে দাসপ্রথার প্রচলন নেই। আল- কোরআনে যেহেতু দাসপ্রথা বিলুপ্তির লক্ষ্যে দাস মুক্তির কথা বলা হয়েছে, তাই ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় নুতন কোরে দাসপ্রথা চালু করার কোনই অবকাশ নেই। এ পৃথিবীর কোন প্রান্তে কখনো যদি কোন মানবগোষ্ঠী দ্বারা পুনরায় দাসপ্রথা চালু করা হয়, তাহলে এর বিরোধীতা করার সাথে সাথে সেখান থেকে প্রথমত দাস-দাসীদের ক্রয় কোরে হলেও তাদেরকে মুক্ত করা শুরু করতে হবে এবং একইসাথে দাসপ্রথা বন্ধের জন্য সেই জনগোষ্ঠীর শাসকশ্রেণী বা কর্তাব্যক্তিদের বোঝাতে হবে। তারা রাজি না হলে তাদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা মুসলমানদের ইমানী দায়িত্ব বলে আমি বিশ্বাস করি। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও সেই অত্যাচারীদের হাত থেকে অসহায় দাস-দাসীদের মুক্ত করতে হবে

কিন্তু কাম-লালসার অনুসারী কোন ধনকুবের মুসলমান যদি একান্ত ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপন অভিরুচি ও খেয়ালের বশবর্তী হয়ে কোন অন্ধগলি হতে দু-চারজন সুন্দরী নারী ক্রয় করে এনে আপন গৃহে দাসী বানিয়ে রেখে খাওয়া ও পড়ার ব্যবস্থা করে এবং বিয়ে না করেই তাদের সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলে- তাহলে ইসলামী আইন অনুসারে সেই ব্যক্তিটি কি দাসপ্রথার ধারকবাহক ও ব্যভিচার করার অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হবে না?

আল-কোরআনে, সূরা নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(৪:১৮) অর্থ- আর তওবা তাদের জন্য নয়, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে যে পর্যন্ত না তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু এসে উপস্থিত হয়- কেবল তখনই সে বলতে থাকে, "আমি অবশ্যই এখন তওবা করছি"। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।

কোন মুসলমান হঠাৎ কোন কবিরা গুণাহ কোরে ফেলার পর যদি তার ভুল বুঝতে পেরে তওবা করে এবং আর না করে, তাহলে সে মাফ পেতে পারে। কিন্তু জানা স্বত্তেও ইচ্ছাকৃতভাবে একই কবিরা গুণাহ বার বার করতে থাকলে কি সে প্রকৃত ইমানদার থাকতে পারবে? জানা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে কোন কবিরা গুণাহ বার বার করাটা কি কুফরি করা অর্থাৎ সেটাকে কবিরা গুনাহ হিসেবে অস্বীকার করার সামিল নয় কি?

ইসলামে দাসপ্রথাকে নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে তা ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করার জন্য যে ধরনের ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছিল, তা অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ বলেই আমি বিশ্বাস করি। ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে আল-কোরআনে যে সূরাগুলো নাযিল হয় অর্থাৎ মক্কী সূরা এবং মদীনার একেবারে প্রথম দিককার সূরার বক্তব্য অনুসারে বোঝা যায় যে, প্রকৃত অর্থে সে সময় যুদ্ধবন্দীনি/ দাসীদের সাথে তাদের অভিভাবক/ মালিকদের দৈহিক সম্পর্কের বিষয়টি (এখন যাকে ব্যাভিচার হিসেবে গন্য করা হয়) জায়েজ রাখা বা না রাখার বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কোন নির্দেশনা দেয়া হয় নাই। কিন্তু পরবর্তীতে যে সূরা গুলো নাজিল হয়- তার আলোকে কি সকল প্রকার ব্যাভিচার নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়নি? ইসলাম প্রথম থেকেই একদিকে যেমন দাসপ্রথাকে নিরুৎসাহিত করেছে, অপরদিকে তেমনি দাস মুক্তিকে ধর্মীয়ভাবে উৎসাহিত কোরে প্রকৃত অর্থে ক্রীতদাস প্রথা বিলুপ্তির পক্ষেই দিকনির্দেশনা দিয়েছে।

আল-কোরআনে ইসলাম পূর্ব অধিকারভুক্ত ক্রীতদাসী, যুদ্ধবন্দীনি এবং মূলত ইমানদার সধবা নারীদের মধ্যে যারা ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী ও আনুগত্যশীল হয়ে পূর্বের অবিশ্বাসী/ আহলে কিতাব সম্প্রদায়ভুক্ত স্বামী এবং পূর্ব ধর্ম/ আপন পক্ষ ত্যাগ কোরে আসে অর্থাৎ হিজরত করে তাদেরকে مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ/ ma malakat aymanuhkum/ মা- মালাকাত আইমানুকুম অর্থাৎ 'ডান হাতের অধিকারভুক্ত' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। জাহেলি যুগে দাসপ্রথার ব্যাপক প্রচলন ছিল। তাই ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে ইসলাম পূর্ব অধিকারভুক্ত দাসীদের সাথে শুধুমাত্র তাদের মালিকদের যৌন সম্পর্কের বিষয়টি সরাসরি নিষিদ্ধ করার ব্যপারে আল-কোরআনে হঠাৎ করে কোন বিধান দেয়া হয় নাই। কারণ হঠাৎ করে এরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে তা তৎকালিন সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ইত্যাদি প্রেক্ষাপটে মোটেই যুক্তিযুক্ত হত না। (কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত সকল প্রকার অবৈধ সম্পর্ক অর্থাৎ ব্যভিচারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল-সূরা বণী ইসরাঈল- (১৭ : ৩২) অর্থ- আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল ও মন্দ পথ।)। বরং দাসমুক্তির নামে কোনরূপ হটকারী সিদ্ধান্ত দেয়া হলে এবং হঠাৎ করে বিপুল সংখ্যক দাস-দাসীকে রাস্তায় বের করে দিলে নব্য ও উদিয়মান রাষ্ট্রের মাঝে ব্যপক বিপর্যয় ঘটে যাওয়াটা মোটেই অস্বাভাবিক ছিলনা। পৃথিবীর ইতিহাসের পাতা ঘাটলে সেই প্রমাণই মেলে। তাই দাসপ্রথাকে নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে তখনকার দাসপ্রথায় অভ্যস্ত সমাজ থেকে ধীরে ধীরে তা বিলুপ্ত করার প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত কার্যকর পদক্ষেপ বলেই আমি বিশ্বাস করি।

তবে ইসলামের পক্ষে যুদ্ধ অর্থাৎ 'জিহাদ/ কিতাল' সংঘটিত হলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে সব সময়ই যুদ্ধবন্দী হতে পারে। সাধারণত অমুসলিমরাই যুদ্ধবন্দী হয়। কিন্তু এই অমুসলিম যুদ্ধবন্দীনিদের সাথে তাদের অভিভাবকরা কি এখনও বিবাহ ছাড়াই যৌন সম্পর্ক করতে পারবে?

আমি বুখারী শরীফের একটি পরিচ্ছেদে (পরিচ্ছেদ: ১৩৮৬, বুখারী শরীফ, ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা-৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন্স বাংলাদেশ) উল্লেখিত বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই-


সাথে বুখারী শরীফের লিংটি দিলাম- দেখে নিতে পারেন-
হাদিছের সাথে সংযোজিত এ ধরনের বক্তব্য সম্পর্কে আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আমি স্বীকার করছি। মুসলিম জ্ঞানী ব্যক্তিবর্গ ও আল্লাহর পরহেজগার বান্দাদের নামে চালানো এসব বক্তব্য আদৌ তাদের কিনা তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা দরকার। আমি বিশ্বাস করি যে, যুদ্ধবন্দী সম্পর্কে ইসলামের বিধান ক্ষেত্র বিশেষে কিয়ামত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

আবারও বলছি- হাদিছ সম্পর্কে আমার কোন খটকা নেই। হাদিছের উপরে খন্ডিতভাবে পরিচ্ছেদে উল্লেখিত বসরি (র) ও আতা (র) এর বক্তব্যের কারনে অনেকেই দ্বন্দে ভোগেন এবং সাধারন পাঠকদের মনে ভুল ধারনার সৃষ্টি হতে পারে। শুধু তাই নয়, অনেকে অজ্ঞতা বশত এ ধরনের বক্তব্যকে হাদিছের উপরে স্থান দিতেও কোমর বেধে নেমে পড়েন। তাই কোন ভিত্তি না থাকলে হাদিছ গ্রন্থে এ ধরনের বক্তব্য সংযোজন না করলেই কি ভাল হয় না?

পরিচ্ছেদে উল্লেখিত বাঁদী/দাসীটি যে মালিকের অধিকারভুক্ত হবার পূর্বে তার আগের স্বামী কর্তৃক কিংবা অন্য কারও দ্বারা অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিল, বিচ্ছিন্নভাবে দেয়া এই বক্তব্যে তো সেটাই প্রতীয়মান হয়। কিন্তু অন্যের দ্বারা গর্ভবতী কোন নারীকে শারীরিকভাবে ভোগের জন্য অপর কোন ব্যক্তিকে অনুমতি দেয়া কি মানবিক কিংবা ধর্মীয় দিক থেকে যুক্তিসঙ্গত ও বৈধ হতে পারে? তাছাড়া এ অবস্থায় এরূপ আচরণ করা জুলুমের নামান্তর নয় কি?

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এ ধরনের ভুল ব্যাখ্যার উপর ভর করে মুসলিম সমাজের মধ্যে সুযোগ-সন্ধানী ও কাম-লিপ্সু স্বভাবের লোকেরা নানা অযুহাতে অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। অনেকে তো খাওয়া-পড়া ও মাসোহারার বিনিময়ে গৃহকর্মে নিয়োজিত নারীদেরকে ইসলাম পূর্ব দাসী/বাদীদের মতন মেনে নিয়ে তাদের সাথে ব্যভিচার করাকে জায়েজ ভাবছে (নাউযুবিল্লাহ)। বিপথগামীদের এরূপ নাজায়েজ আচরণ পরিবার তথা সমাজকে শুধু কলুষিতই করছে না, ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ সাধারণ মুসলিম এবং অন্য ধর্মের অনুসারীদের মনে ইসলাম সম্পর্কে খটকা ও বৈরি মনোভাবেরও জন্ম দিচ্ছে। ভোগলালসা মেটানোর জন্য গৃহকর্মে নিয়োজিত কোন নারীকে ভুল ব্যাখ্যার ছলনায় ক্রীতদাসী/বাঁদী বানিয়ে তার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলার কোন প্রশ্নই আসতে পারেনা। কারণ আল-কোরআনে এ ধরনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোন বক্তব্য বা ইংগিতও নেই, বরং কোন নারীকেই (স্বাধীন যুবতী বা গৃহপরিচারিকা হোক কিংবা 'ডান হাতের অধিকারভুক্ত' হোক) যেন রক্ষিতা রূপে (০৪:২৫) গ্রহণ করা না হয় সে ব্যাপারেই স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

কাকে বিয়ে করা যাবে বা যাবেনা এ বিষয়ে আল-কোরআনের নির্দেশ-
সূরা নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ- ক্রম ৯২)
(৪:২২) অর্থ- যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করোনা। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।
(৪:২৩) অর্থ- তোমাদের (বিবাহের) জন্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তোমাদের মা, তোমাদের মেয়ে, তোমাদের বোন, তোমাদের ফুফু, তোমাদের খালা, ভাইয়ের মেয়ে; বোনের মেয়ে, তোমাদের সেই মায়েরা যারা তোমাদেরকে স্তন্যপান করিয়েছে, তোমাদের দুধ-বোন, তোমাদের স্ত্রীদের মা, তোমরা যাদের সাথে সহবাস করেছ সেই স্ত্রীদের কন্যা- যারা তোমাদের লালন-পালনে আছে। যদি তাদের সাথে সহবাস না করে থাক, তবে এ বিবাহে তোমাদের কোন গোনাহ নেই। তোমাদের ঔরসজাত পুত্রদের স্ত্রী এবং দুই বোনকে একত্রে বিবাহ করা; কিন্তু যা অতীত হয়ে গেছে। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, দয়ালু।
(০৪:২৪) অর্থ- এবং স্বাধীন নারীদের মধ্যকার কোন সধবা (তোমাদের বিবাহের জন্য নিষিদ্ধ); তাদের ছাড়া- যারা (مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ/ ma malakat aymanukum/ মা- মালাকাত আইমানুকুম) তোমাদের ডান হাতের অধিকারভুক্ত রয়েছে, এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী বৈধ করা হয়েছে স্বীয় ধন-দৌলতের বিনিময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য- ব্যভিচারের জন্য নয়। অতএব তাদের মধ্যে যার থেকে তোমরা সুফল পেতে চাও- তাকে তার নির্ধারিত মোহরানা প্রদান কর। তোমাদের কোন দোষ হবে না- নির্ধারণের পর যাতে তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, পরমজ্ঞানী।
(০৪:২৫) অর্থ- আর তোমাদের মধ্যে কেউ ইমানদার সধবাদের বিয়ে করার সামর্থ্য না রাখলে, "তোমাদের ( مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ) ডান হাতের অধিকারভুক্ত" নারীকে (বিয়ে কর); এবং আল্লাহ তোমাদের ঈমান সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞাত রয়েছেন। তোমরা (ইমানদাররা) পরস্পর এক, অতএব, তাদেরকে তাদের অভিভাবকের অনুমতিক্রমে বিয়ে কর এবং নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে মোহরানা প্রদান কর- বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য, ব্যভিচারিণী কিংবা উপ-পতি গ্রহণকারিণী হিসিবে নয়। অতঃপর যখন তারা বিবাহ বন্ধনে এসে যায়, তখন যদি কোন অশ্লীল কাজ করে, তবে তাদেরকে ইমানদার সধবাদের অর্ধেক শাস্তি ভোগ করতে হবে। এ ব্যবস্থা তাদের জন্যে, তোমাদের মধ্যে যারা পাপের ভয় করে। আর যদি ধৈর্য্য ধারণ কর, তবে তা তোমাদের জন্যে উত্তম। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম-করুণাময়।
………………………………....

{(০৪:২৪) নং আয়াত এদেরকে ছাড়া বলতে স্বাধীন (বিশ্বাসী/ অবিশ্বাসী) নারীদের মধ্যকার কোন সধবা নারী ও ৪:২৩ নং আয়াতে উল্লেখিত নারীরা ছাড়া এবং তোমাদের জন্যে সব নারী বলতে এর মধ্যে স্বাধীন বিশ্বাসী অবিবাহিতা, বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা নারী (ইদ্দত পূর্ণ করার পর পবিত্র হলে অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্বা না হলে), ইমান এনেছে এরূপ কোন ইসলাম পূর্ব দাসী, যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে ইমান এনেছে এরূপ কোন অবিবাহিতা, সধবা ও বিধবা (পবিত্র হওয়ার পর অর্থাৎ অন্তঃসত্ত্বা না হলে) এবং (০৫:০৫) ও (৬০:১০) নং আয়াত অনুসারে- অবিশ্বাসীদের পক্ষ ত্যাগ করে আসা/ হিজরত করে আসা ইমানদার সধবা নারীরাও (যারা পূর্বের অবিশ্বাসী/ আহলে কিতাব সম্প্রদায়ভুক্ত স্বামী এবং পূর্ব ধর্ম/ আপন পক্ষ ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছে) অন্তর্ভুক্ত।}

(০৪:২৪) নং আয়াত অনুসারে, বিশ্বাসী হোক বা অবিশ্বাসী হোক স্বাধীন নারীদের মধ্যে কোন সধবাকে বিবাহ করা হারাম

এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে, (০৪:২৫) নং আয়াতে যেসব ইমানদার সধবাদের বিয়ে করার সামর্থ্যের বিষয়ে বলা হয়েছে- তাদের পরিচয় কি?

এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে (৬০:১০), (৬০:১১) ও (০৫:০৫) নং আয়াতের বক্তব্যকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।}
……………………………….....

সূরা আল মুমতাহিনা (মদীনায় অবতীর্ণ- ক্রম ৯১)
(৬০:১০) অর্থ- ওহে যারা বিশ্বাস কর! যখন তোমাদের কাছে মুমিন/ইমানদার নারীরা হিজরত করে আগমন করে, তখন তাদেরকে পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা বুঝতে পার যে তারা বিশ্বাসী, তবে আর তাদেরকে অবিশ্বাসীদের কাছে ফেরত পাঠিও না। এরা অবিশ্বাসীদের জন্যে হালাল নয় এবং অবিশ্বাসীরা এদের জন্যে হালাল নয়। অবিশ্বাসীরা যা ব্যয় করেছে (সেই হিজরত করে আসা মুমিন/ইমানদার নারীদেরকে বিয়ে করার সময় যদি কিছু দিয়ে থাকে), তা তাদের দিয়ে দাও। অতঃপর, তোমরা তাদেরকে বিবাহ করলে তোমাদের অপরাধ হবে না, যদি তোমরা তাদের প্রাপ্য মোহরানা তাদেরকে দিয়ে দাও। তোমরা অবিশ্বাসী নারীদের সাথে দাম্পত্য সম্পর্ক বজায় রেখো না। *তোমরা যা ব্যয় করেছ তা চেয়ে নাও এবং তারাও চেয়ে নিবে যা তারা ব্যয় করেছে। এটা আল্লাহর বিধান; তিনি তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ প্রজ্ঞাময়।
(৬০:১১) অর্থ- তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যদি কেউ হাতছাড়া হয়ে অবিশ্বাসীদের কাছে থেকে যায়, অতঃপর তোমাদের যদি সুযোগ আসে, তখন যাদের স্ত্রীরা হাতছাড়া হয়ে গেছে, তাদেরকে তারা যা ব্যয় করেছিল (অর্থাৎ সেই নারীদেরকে বিয়ে করার সময় যা দিয়েছিল) তার সমপরিমাণ (৬০:১০-*অবিশ্বাসীদের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে) আদায় করে দাও, ভয় কর আল্লাহকে যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী।
(৬০:১২) অর্থ- হে নবী! ঈমানদার নারীরা যখন আপনার কাছে এসে আনুগত্যের শপথ করে যে, তারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না, ব্যভিচার করবে না, তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, জারজ সন্তানকে স্বামীর ঔরস থেকে আপন গর্ভজাত সন্তান বলে মিথ্যা দাবী করবে না এবং ভাল কাজে আপনার অবাধ্যতা করবে না, তখন তাদের আনুগত্য গ্রহণ করুন এবং তাদের জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল অত্যন্ত দয়ালু।
(৬০:১৩) অর্থ- ওহে বিশ্বাসীগণ, তোমরা সেই জাতির সাথে সন্ধি স্থাপন করো না, আল্লাহ যাদের প্রতি রুষ্ট। তারা পরকাল সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছে যেমন কবরস্থ অবিশ্বাসীরা নিরাশ হয়ে গেছে।

সূরা আল মায়েদাহ (মদীনায় অবতীর্ণ- ক্রম ১১২)
(০৫:০৫) অর্থ- আজ তোমাদের জন্য পবিত্র বস্তুসমূহ হালাল করা হল। আহলে কিতাবদের খাদ্য তোমাদের জন্যে হালাল এবং তোমাদের খাদ্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের (বিয়ের) জন্যে হালাল ইমানদার নারীদের মধ্যে যারা সধবা এবং তাদের সধবা নারীরা, যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে, (অর্থাৎ যে বিশ্বাসী নারীরা আহলে কিতাব সম্প্রদায়ভুক্ত স্বামী এবং আপন পক্ষ ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছে) যখন তোমরা তাদেরকে মোহরানা প্রদান করে বিয়ে কর সচ্চরিত্র থাকার জন্যে, লাম্পট্য করার জন্যে কিংবা গুপ্ত প্রেমে লিপ্ত হওয়ার জন্যে নয়। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের বিষয় অবিশ্বাস করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং পরকালে সে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
……………………………………….

{সূরা নিসা এর (০৪:২৫/ অবতীর্ণ ক্রম-৯২) নং আয়াতে যেসব ইমানদার সধবাদের বিয়ে করার সামর্থ্যের বিষয়ে বলা হয়েছে, এর পূর্বেই নাজিলকৃত সূরা আল মুমতাহিনা এর (৬০:১০/অবতীর্ণ ক্রম-৯১) নং আয়াতে তাদের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছিল এবং শর্ত সাপেক্ষে তাদেরকে বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে নাজিলকৃত সূরা আল মায়েদাহ এর (০৫:০৫/অবতীর্ণ ক্রম-১১২) নং আয়াতে পুনরায় এই ইমানদার নারীদের মধ্যে যারা সধবা তাদেরকে মোহরানা দিয়ে বিয়ে করা হালাল উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাদের সাথে কোন প্রকার অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করাকে স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। এই ইমানদার সধবা নারীরা হোল তারাই, যারা ইসলামের জন্য পূর্বের অবিশ্বাসী/ আহলে কিতাব সম্প্রদায়ভুক্ত স্বামী এবং পূর্ব ধর্ম/ আপন পক্ষ ত্যাগ কোরে আসে অর্থাৎ হিজরত করে। ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী ও আনুগত্যশীল এই নারীরা সর্বস্ব ত্যাগ করে আসায় অর্থাৎ হিজরত করার কারণে ডান হাতের অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে গণ্য হবে, তাই (০৪:২৪- নং আয়াত অনুসারে) সধবা হওয়া সত্বেও তাদেরকে বিয়ে করার বৈধতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে বিয়ে করার আগে তারা (৬০:১২) সত্যি সত্যি ইমান এনেছে কিনা তা যাচাই করে দেখতে বলা হয়েছে। মুসলিম পুরুষদের মধ্যে কেউ সেই নারীদের কাউকে বিয়ে করতে চাইলে, পূর্বের অবিশ্বাসী/আহলে কিতাবধারী স্বামী তাকে বিয়ে করার সময় যদি কিছু দিয়ে থাকে এবং দাবি করে, তাহলে আগের (অবিশ্বাসী/আহলে কিতাবধারী) স্বামীকে প্রথমত সেই দাবিকৃত অর্থ/সম্পদের সমপরিমাণ ফিরিয়ে দেবার এবং তারপর মোহরানা আদায় করে তবেই সেই নারীকে বিয়ে করার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সুতরাং তাদের মধ্যে কাউকে বিয়ে করতে হলে যে খরচ হবে তার পরিমাণ কোন ইমানদার ইসলামপূর্ব দাসী/যুদ্ধ-বন্দিনীকে বিয়ে করার খরচের চাইতে স্বভাবতই খানিকটা বেশিই হবে। তথাপি ইসলামের প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্য ও বিশ্বাসের কারণে সর্বস্ব ত্যাগ করে আসা অর্থাৎ হিজরত করে আসা এই ইমানদার সধবা নারীদের মর্যাদা অনেক বেশি হওয়ায় তাদেরকে বিয়ে করার প্রতি সকল ইমানদার মাত্রই দুর্বলতা থাকাই স্বাভাবিক এবং সামর্থবানরা তাদেরকে বিয়ে করে ধন্য হতে চাইবেন। কারণ একজন ইমানদারের কাছে তাকওয়াই হচ্ছে সবচেয়ে বড় সম্পদ। কিন্তু যার তেমন সামর্থ্য নেই তাকে সচ্চরিত্র থাকার জন্য (০৪:২৫ নং আয়াত অনুসারে) *ডান হাতের অধিকারভুক্তদের মধ্য থেকে ইমান এনেছে এমন কোন (مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ) নারীকে তার সম্মতি ও অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে এবং মোহরানা স্বরূপ কিছু দিয়ে বিয়ে কোরে সন্তুষ্ট থাকার উপদেশ দেয়া হয়েছে।}

এরপর (৪:২৬) ও (৪:২৭) নং আয়াতে স্পষ্টভাবে সাবধান কোরে দেয়া হলো যেন বিশ্বাসীরা কাম-লিপ্সুদের ছলনায় ভুলে তাদের পদাঙ্ক অনুসরণের মাধ্যমে অর্থাৎ ব্যভিচারের পথে পা বাড়িয়ে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য থেকে দূরে সরে না যায়।

সূরা নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(৪:২৬) অর্থ- আল্লাহ তোমাদের পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত দ্বারা সব কিছু স্পষ্টরূপে বর্ণনা করে দিতে চান, তোমাদের হেদায়েত দান করতে চান এবং তোমাদের দিকে ফিরতে (ক্ষমা করতে) চান। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, পরমজ্ঞানী।
(৪:২৭) অর্থ- আল্লাহ তোমাদের প্রতি ফিরতে (ক্ষমা করতে) চান; কিন্তু যারা কাম-লালসার অনুসারী, তারা চায় তোমরাও যেন (তাঁর কাছ থেকে) অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়।

সুতরাং এই আয়াত গুলো নাজিলের পর একজন মুসলমানের জন্য এই নির্দেশের বাহিরে বিবাহ বহির্ভূত যে কোন প্রকার যৌন সম্পর্কই ব্যাভিচার নয় কি?

অনেকে মনে করেন, জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশান প্রবর্তিত আন্তর্জাতিক আইন ইসলামী রাষ্ট্রসমূহ মানতে বাধ্য এবং সে কারণেই নাকি ইসলামি সমাজ ব্যবস্থায় আর দাসপ্রথার প্রচলন হবার সুযোগ নেই। এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে আল-কোরআনের আইনের সীমাবদ্ধতাই শুধু নয়, বরং আল্লাহর আইন যে পরোক্ষভাবে মানব রচিত আইনের উপর নির্ভরশীল (নাউযুবিল্লাহ) - সেই ইংগিত কি বহন করে না? তাই এ ধরনের বক্তব্যের সাথে আমি সম্পূর্ণরূপে একমত নই। তথাকথিত 'দাসপ্রথা' ও ইসলামের 'ডান হাতের অধিকারভুক্ত সংক্রান্ত বিধান' এক বিষয় নয়। ক্ষেত্র বিশেষে আল-কোরআনের এই আইন কিয়ামত পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি। আর তাই বর্তমানে বা ভবিষ্যতে কখনো এই বিধানটি প্রয়োগের প্রয়োজন হলে তার জন্য মানব রচিত international laws (জাতিসংঘের জেনেভা কনভেনশান) এর উপর নির্ভর করার কোন প্রয়োজন নেই। বরং আল-কোরআনে নাজিলকৃত আল্লাহতায়ালার দিক নির্দেশনাই যথেষ্ট বলে আমি বিশ্বাস করি। আশাকরি আমার বক্তব্যটা একটু বুঝতে চেষ্টা করবেন।

ইসলাম দাস প্রথাকে একদমই প্রমোট করেনি। কিন্তু হাদিছ গ্রন্থে হাদিছ বাদেও জুড়ে দেয়া কিছু খাপছাড়া বক্তব্য আমার খুবই খারাপ লাগে। প্লিজ! আমাকে ভুল বুঝবেন না। এ বিষয়ে আল-কোরআনে প্রাথমিক পর্যায়ে নাযিলকৃত মক্কি-সূরার সাথে পরবর্তীতে মদীনায় নাযিলকৃত সূরার বক্তব্যকে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন না করার কারনে সাধারন পাঠকগণ প্রায়ই বিষয়টি বুঝতে পারেন না। তাই যুদ্ধবন্দী সম্পর্কিত আল-কোরআনে নাজিলকৃত সূরাগুলোর সাথে সহী হাদিছগুলো ধারাবাহিকভাবে পেশ করলে আসল বক্তব্য স্পষ্ট হবে এবং সবারই বুঝতে সুবিধা হবে।
………………………………………

(i) জনৈক পাঠকের মন্তব্য ও প্রশ্ন - ভাই, দাসপ্রথার ব্যাপারে আপনার এবং আমার মতের অনেক মিল আছে। তবে কিছূ অমিল অবশ্যই আছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কুরআনকে সেভাবে বুঝা যেভাবে কুরআন আমাদের বুঝাতে চায়। কুরআন বুঝার জন্য কিছুটা আরবী জ্ঞান অবশ্যই জরুরি। ৪:২৩ এবং ৪:২৪ এ আসলে কী বুঝানো হয়েছে?
কুরআনের কোন আয়াত বুঝতে হলে সেই আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট বুঝাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪:২৩
Prohibited to you [for marriage] are your mothers, your daughters, your sisters, your father’s sisters, your mother’s sisters, your brother’s daughters, your sister’s daughters, your [milk] mothers who nursed you, your sisters through nursing, your wives’ mothers, and your step-daughters under your guardianship [born] of your wives unto whom you have gone in. But if you have not gone in unto them, there is no sin upon you. And [also prohibited are] the wives of your sons who are from your [own] loins, and that you take [in marriage] two sisters simultaneously, except for what has already occurred. Indeed, Allah is ever Forgiving and Merciful.

৪:২৩ এ আল্লাহপাক যাদের Prohibit করলেন ধরে নিই তারা হচ্ছেন ক্যাটাগরি-১।
৪:২৪
And [also prohibited to you are all] married women except those your right hands possess. [This is] the decree of Allah upon you. And lawful to you are [all others] beyond these, [provided] that you seek them [in marriage] with [gifts from] your property, desiring chastity, not unlawful sexual intercourse. So for whatever you enjoy [of marriage] from them, give them their due compensation as an obligation. And there is no blame upon you for what you mutually agree to beyond the obligation. Indeed, Allah is ever Knowing and Wise.

—————-
“And [also prohibited to you are all] married women except those your right hands possess.”
এর আরবী

وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ

এই আয়াত খুবই সুস্পষ্ট যে except those your right hands possess (إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ) বলতে married women ( وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء) এর একটা অংশকে বুঝাচ্ছে।

এই আয়াতের বক্তব্য হচ্ছে:
১. বিবাহিত মহিলারাও prohibited.
২. কিন্তু যেসব বিবাহিত মহিলা your right hands possess করে তারা prohibited নয়।

আপনার যেটা ভূল হচ্ছে, বাংলা অনুবাদ দেখে ৪:২৩ এর সাথে ৪:২৪ এর বিবাহিত মহিলাদের এক ক্যাটাগরিতে ফেলছেন।

وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاء إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ
এই আয়াতের অনুবাদ সরল অনুবাদ:
এবং তোমাদের ডান হাতে যারা আছে তারা ব্যতীত মুহছানাত (বিবাহিত) নারীগণ

এবার আসুন এই আয়াতের শানে-নুযুলটা দেখি:
Imam Ahmad recorded that Abu Sa`id Al-Khudri said, “We captured some women from the area of Awtas who were already married, and we disliked having sexual relations with them because they already had husbands. So, we asked the Prophet about this matter, and this Ayah was revealed,

[وَالْمُحْصَنَـتُ مِنَ النِّسَآءِ إِلاَّ مَا مَلَكْتَ أَيْمَـنُكُمْ]
(Also (forbidden are) women already married, except those whom your right hands possess). Consequently, we had sexual relations with these women.” This is the wording collected by At-Tirmidhi An-Nasa’i, Ibn Jarir and Muslim in his Sahih.

Forbidding Women Already Married, Except for Female Slaves

এতক্ষণ যা বললাম তা যদি বুঝে থাকেন, তাহলে,
“সুতরাং এই আয়াত নাজিলের পর একজন মুসলমানের জন্য এই নির্দেশের বাহিরে বিবাহ বহির্ভূত যে কোন প্রকার যৌণ সম্পর্কই ব্যাভিচার নয় কি?” প্রশ্নটাকেই কি অনাকাঙ্ক্ষিত মনে হচ্ছে না?

আপনি যদি এই আয়াতের অন্য কোন শানে নুযুল জেনে থাকেন, দয়া করে জানান।
.............................................................

লেখক বলেছেন: ভাই, আপনার প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ। আমার বক্তব্য আপনার বুঝতে বোধ হয় একটু ভুল হচ্ছে।

আমি তো স্পষ্টভাবেই ৪:২৩ ও ৪:২৪ নং আয়াত থেকে বিবাহিত মহিলাদের পার্থক্যটা তুলে ধরেছি-

মদীনায় অবতীর্ণ সূরা নিসার (৪:২৪) নং আয়াতে (বিশ্বাসী/ অবিশ্বাসী হোক) সকল স্বাধীন সধবা নারীদের বিবাহ করা হারাম/নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ডান হাতের অধিকারভুক্ত হলে সধবা নারীদের বিয়ে করার পারমিশন দেয়া হয়েছে। এখানে مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ/ ma malakat aymanukum/ মা- মালাকাত আইমানুকুম বলতে ডান হাতের অধিকারভুক্ত সেই সব সধবাদের বোঝানো হয়েছে যাদেরকে তাদের দলের পক্ষ থেকে মুক্ত করার কোনরূপ ব্যবস্থা না নেয়া হলে বা তাদের স্বামীরা যদি তাদের সাথে যুদ্ধবন্দী না হয়ে থাকেন বা ইমান এনে পূর্ব ধর্ম/পক্ষ ত্যাগ কোরে তাদের সাথে হিজরত করে না এসে থাকেন, তাহলে একটি নির্দিষ্ট সময় পর তাদের পূর্বের বিয়ে কার্যকর থাকবেনা বলেই ইংগিত দেয়া হয়েছে এবং তারা অন্তঃসত্ত্বা নয় এরূপ নিশ্চিত হলে শর্ত সাপেক্ষে তাদেরকে বিয়ে করা সর্বকালের জন্যই বৈধ রাখা হয়েছে। একই সাথে ইসলাম পূর্ব সেইসব দাসীদেরও 'মা- মালাকাত আইমানুকুম' অর্থাৎ 'ডান হাতের অধিকারভুক্তদের' অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যারা আল-কোরআনে দাসপ্রথা সম্পর্কিত নির্দেশনা আসার আগে থেকেই তাদের মালিকদের অধীনে ছিল। আবার (৪:২৫) নং আয়াতে এই ডান হাতের অধিকারভুক্তদের মধ্যে কাদেরকে বিয়ে করতে পারবে সে কথাও বলা হয়েছে। এখানে 'ডান হাতের অধিকারভুক্ত বিশ্বাসী' বলতে ইসলাম পূর্ব দাসীদের মধ্যে যারা ইমান এনেছে এবং যুদ্ধবন্দীনিদের মধ্যে যারা পরবর্তীতে ইমান এনেছে তাদেরকে বুঝানো হয়েছে, যেমন সাফিয়া (রাঃ), জোহাইরা (রাঃ)। এছাড়াও ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসী ও আনুগত্যশীল নারীরা সর্বস্ব ত্যাগ করে আসলে অর্থাৎ হিজরত করার কারণে ডান হাতের অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে গণ্য হবে, তাই (০৪:২৪- নং আয়াত অনুসারে) সধবা হওয়া সত্বেও তাদেরকে বিয়ে করার বৈধতা দেয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে, অভিভাবক তার অধিকারভুক্ত বিশ্বাসী 'ইসলামপূর্ব দাসী এবং যুদ্ধ-বন্দিনীকে' (মা- মালাকাত আইমানুকুম) যেমন বিয়ে করতে পারবে, তেমনি অভিভাবক যদি না করে তাহলে মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে অন্য মুসলমানও তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবে। ইমানদার ডান হাতের অন্তর্ভুক্তদেরকে শিক্ষা দীক্ষা দিয়ে তাকে বিয়ে করলে যে একসাথে দুটো সোয়াবের অধিকারী হওয়া যায়- রাসূল (সাঃ) এর হাদিছ থেকে তো সেই দিকনির্দেশনাই পাওয়া যায়।

আপনার দেয়া বক্তব্য- (Also (forbidden are) women already married, except those whom your right hands possess).

এখানে forbidden বলতে কিসের জন্য হারাম/নিষিদ্ধ বোঝাতে চেয়েছেন? ৪:২২ - ২৫ নং আয়াতে স্পষ্টভাবে কাদেরকে বিবাহ করা যাবে বা যাবেনা সে বিষয়ে বিধান দেয়া হয়েছে। সুতরাং যাদেরকে বিবাহ করা জায়েজ তাদের সাথে illegal sexual relation এর তো প্রশ্নই আসেনা এবং এ ধরনের কোন ইংগিতই সেখানে নেই, বরং বিবাহ করার জন্যই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ‘ডান হাতের অধিকারভূক্তদের’ জন্যও এখানে একই নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে- 'বৈধ করা হয়েছে স্বীয় ধন-দৌলতের বিনিময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য- ব্যভিচারের জন্য নয় '। বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী স্বাধীন সধবা নারীকে বিয়ে করা বৈধ নয়। তবে ‘ডান হাতের অধিকারভুক্ত’ হলে বিশ্বাসী সধবা নারীকে একটা নির্দিষ্ট সময় পর বিয়ে করা যাবে (যদি তার স্বামী তার সাথে যুদ্ধবন্দী না হয়ে থাকেন বা হিজরত করে না এসে থাকেন।)। এখানে নিশ্চয় ‘ডান হাতের অধিকারভুক্ত’ বলেই তাদের সাথে ব্যাভিচার (illegal sexual relation) কিংবা তাদেরকে রক্ষিতা রূপে গ্রহণ করার জন্য আলাদাভাবে কোন কেটাগরি কোরে দেয়া হয়নি- তাইনা?
…………………………………………………..……
(ii) জনৈক পাঠকের মন্তব্য ও প্রশ্ন-
forbidden মানে হারাম।

আপনি একটু বলেন:

নিচের শানে নুযুলটা আপনি পড়েছেন? পড়ে আপনি কী বুঝেছেন? কিংবা এই আয়াতের অন্য কোন শানে নুযুল আপনি জানেন কিনা?
Imam Ahmad recorded that Abu Sa`id Al-Khudri said, “We captured some women from the area of Awtas who were already married, and we disliked having sexual relations with them because they already had husbands. So, we asked the Prophet about this matter, and this Ayah was revealed,

[وَالْمُحْصَنَـتُ مِنَ النِّسَآءِ إِلاَّ مَا مَلَكْتَ أَيْمَـنُكُمْ]
(Also (forbidden are) women already married, except those whom your right hands possess). Consequently, we had sexual relations with these women.” This is the wording collected by At-Tirmidhi An-Nasa’i, Ibn Jarir and Muslim in his Sahih.

Forbidding Women Already Married, Except for Female Slaves-
..............................................................

লেখক বলেছেন: আপনি তো ভাই শানে নুযুলটা খণ্ডিতভাবে পেশ করলেন। আমি বিস্তারিত দিলাম। আশাকরি এর সাথে দেয়া আমার বক্তব্য ভালভাবে লক্ষ্য করলে সত্য বুঝতে পারবেন।

Tafsir Ibn Kathir - Quran Tafsir (Home)
Forbidding Women Already Married, Except for Female Slaves-

(Also (forbidden are) women already married, except those whom your right hands possess.) The Ayah means, you are prohibited from marrying women who are already married,
[إِلاَّ مَا مَلَكْتَ أَيْمَـنُكُمْ]

(except those whom your right hands possess) except those whom you acquire through war, for you are allowed such women after making sure they are not pregnant. Imam Ahmad recorded that Abu Sa`id Al-Khudri said, “We captured some women from the area of Awtas who were already married, and we disliked having sexual relations with them because they already had husbands. So, we asked the Prophet about this matter, and this Ayah was revealed, e

[وَالْمُحْصَنَـتُ مِنَ النِّسَآءِ إِلاَّ مَا مَلَكْتَ أَيْمَـنُكُمْ]
(Also (forbidden are) women already married, except those whom your right hands possess). Consequently, we had sexual relations with these women.” This is the wording collected by At-Tirmidhi An-Nasa’i, Ibn Jarir and Muslim in his Sahih. Allah’s statement,
[كِتَـبَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ]

(Thus has Allah ordained for you) means, this prohibition was ordained for you by Allah. Therefore, adhere to Allah’s Book, do not transgress His set limits, and adhere to His legislation and decrees.

আমি আগেই বলেছি যে, প্রথম প্যারার এই (you are prohibited from marrying women who are already married,) বাক্যটি দ্বারা বিবাহ সংক্রান্ত বিধানের বিষয়েই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।।

২য় প্যারার এই বাক্যটি (except those whom you acquire through war, for you are allowed such women after making sure they are not pregnant.) এবং ৩য় প্যারার এই বাক্যটি (Consequently, we had sexual relations with these women.) দ্বারা নিশ্চয়ই যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ধরে এনে বিবাহিত যুদ্ধবন্দীনিরা অন্তঃসত্বা না হলেই 'ডান হাতের অধিকারভুক্ত' হিসেবে যে যাকে কাছে পাবে তাদের সাথেই illegal sexual relation শুরু করার ইংগিত বহন করেনা। এক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালার নাম নিয়ে স্বয়ং রসূল (সাঃ) এর উপস্থিতিতে এবং তাঁর অনুমতি ও কিছু শর্ত সাপেক্ষেই সম্পর্ক করার ব্যবস্থা ছিল।

(Imam Ahmad recorded that Abu Sa`id Al-Khudri said, “We captured some women from the area of Awtas who were already married, and we disliked having sexual relations with them because they already had husbands. So, we asked the Prophet about this matter, and this Ayah was revealed,)

৪:২২ - ২৪ নং আয়াত নাজিলের আগে যাদেরকে বিবাহ করা নিষিদ্ধ তাদেরকেও স্ত্রী রূপে গ্রহণ করার রেওয়াজ ছিল এবং আমি আগেই বলেছি যে, ইসলাম পূর্ব সমাজব্যবস্থায় দাসপ্রথার ব্যপক প্রচলন ছিল। ইসলামের প্রাথমিক পর্যায়ে নাজিলকৃত মক্কি সূরাগুলোতে ইসলাম পূর্ব দাসীদের সাথে তাদের মালিক/ অভিভাবকদের যৌন সম্পর্কের বিষয়টি কিছু সময়ের জন্য বহাল রাখা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে আল-কোরআনে তখনও এ সম্পর্কে কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা না আসায় সেই সময় বিশেষ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ও অনুমতি সাপেক্ষে ডান হাতের অধিকারভুক্তদের ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে ইসলাম পূর্ব রীতিকে অনুসরন করা হত। অতঃপর ৪:২৩ নং আয়াত নাজিলের পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেল যে, যাদের সাথে বিয়ের অনুমতি আছে তাদেরকে বিয়ে করেই যৌণ সম্পর্ক করতে হবে- বিয়ে না কোরে sexual relation করা জায়েজ না।

(০৪:২৪), (৬০:১০ - ১‌৩), (০৫:০৫) নং আয়াতে আরও পরিষ্কার কোরে বলা হলো- স্বাধীন সধবা নারীকে বিয়ে করা চলবে না, তবে ডান হাতের অধিভুক্তরা সধবা হলে শর্ত সাপেক্ষে বিয়ে করায় কোন বাধা নেই- কিন্তু তাদের সাথে ব্যাভিচার করা বা রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার করা আর চলবে না।

(Thus has Allah ordained for you) means, this prohibition was ordained for you by Allah. Therefore, adhere to Allah’s Book, do not transgress His set limits, and adhere to His legislation and decrees.

সুতরাং এরপর থেকে সধবা স্বাধীন নারীদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ডান হাতের অধিকারভুক্তরা সধবা হলেও শর্ত সাপেক্ষে বিবাহ করায় কোন নিষেধাজ্ঞা/বাঁধা রইল না। সর্বোপরি কারও মতামত নয়, বরং আল্লাহতায়ালা প্রেরিত ঐশী-গ্রন্থের বিধানের প্রতি অনুগত থাকারই নির্দেশ দেয়া হলো।

ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল-
.............................................................

(iii) জনৈক পাঠকের মন্তব্য ও প্রশ্ন-
With due respect. দাসপ্রথা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু করার বা ইসলামী গবেষণার কি প্রয়োজন দেখা দিল?
দাস ব্যবস্থা মানব ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায় । ইসলাম যতটুকু সম্ভব সে যুগের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ভিত্তিতে তার সমাধান করার চেষ্টা করেছে এবং এ ব্যবস্থাকে যতটুকু সম্ভব মানবতা পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে। এই মাত্র একশ বছর আগে ইউরোপিয়ানরা পাগলের মত দাসপ্রথার ব্যবসায় লিপ্ত ছিল। এখন পশ্চিমা দেশের লাইব্রেরিতে পুরনো পত্রিকার আরকাইভ মেটেরিয়াল দেখলে দেখা যায় জাহাজ ভর্তি স্লেইব কন্টেইনার নিলামে বিক্রি হত । ছবি সহ সে তথ্য এখনও আছে। আমদের সময়কে যে সমস্যা সামনে আসছে তা নিয়ে বেশী চিন্তা করা উচিত মনে করি।
............................................................

লেখক বলেছেন:
আপনি ঠিকই বলেছেন- দাস ব্যবস্থা মানব ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়।

আপনি প্রশ্ন করেছেন- দাসপ্রথা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু করার বা ইসলামী গবেষণার কি প্রয়োজন দেখা দিল?

যদি কোন প্রয়োজনই না থাকে তাহলে আপনি আমাকে বলুন-
দাসপ্রথা সম্পর্কিত হাদিছ ছাড়া এসব বক্তব্য হাদিছ-গ্রন্থে (বুখারী শরীফ -ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ৪র্থ খন্ড- পৃষ্ঠা-৯১, ১৩৮৬ নং পরিচ্ছেদ) সংযোজন করে রাখার কোন প্রয়োজন আছে কি?

খুব দূরের নয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবারই জানা আছে। আমি শুনেছি সে সময় ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে বেশ কিছু নেতা/ আলেম নামধারী ছদ্মবেশী জালেম নাকি পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর সৈন্যদের জন্য বাঙালী নারীদের সাথে বিবাহ বহির্ভূত যৌণ সম্পর্ক করা জায়েজ হিসেবে ফতোয়া দিয়েছিল!!?? আমি খুব ভাল কোরেই জানি যে, এর সাথে প্রকৃত ইসলামের আদৌ কোন সম্পর্ক নেই। কিন্তু ইসলামের নামে চালানো এসব বিচ্ছিন্ন বক্তব্যের খেই ধরেই হয়ত তারা এ ধরনের মিথ্যা অপপ্রচারের সুযোগে অনেককে বিভ্রান্ত করেছিল।

ধরে নিলাম একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে কোন ছদ্মবেশী বিভ্রান্ত আলেম এমন ফতোয়া দিয়েছিল কিনা তার লিপিবদ্ধ কোন প্রমাণ- আমার বা আপনার কাছে নাই। কিন্তু বাংলার নিরীহ নারী, পুরুষ ও শিশুদের উপর মুসলমান সৈন্যদের এবং তাদের সহযোগীদের দ্বারাই যে অত্যাচার ও হত্যাকান্ড চালানো হয়েছিল তা তো সত্য এবং অনেক প্রমান আছে। কিন্তু তখন ইসলামের নামধারী কতিপয় দল, বিশেষ কোরে রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা স্বক্রিয় ছিলেন, তারা কেন তা মুখ বুজে সহ্য করলেন? কিসের স্বার্থে কোন প্রতিবাদ পর্যন্ত করলেন না? এই মহাপাপের বিরোধীতা না করে বরং নীরব সম্মতি জানালেন!! অন্যায়কে অন্যায় বলার মত সিদ্ধান্ত নিতেও তারা গড়িমসি করলেন! আওয়ামীলিগের সাথে রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা থাকাতে পারে। প্রকৃত ইসলামের অনুসারী হলে তো এই অন্যায়কে মুখ বুজে মেনে নেয়ার কথা না। পৃথক প্লাটফর্মে থেকেও তো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ও ন্যায়ের পথ অবলম্বন করা যেত। তখন পাকিস্থানের রাজনীতিকরা কি আল-কোরআন ও সুন্নাহর আইনকে রাষ্ট্র পরিচালনায় ১০০% বাস্তবায়ন করার পক্ষপাতি ছিল? না, তারা শুধু রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য মুসলমানদের সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করেছে এবং এখনও করছে। সেই সময় মহান আল্লাহতায়ালার নিরীহ বান্দাদের উপর চোখের সামনে এত বড় অন্যায় ও অনাচার হতে দেখেও আল্লাহর দলের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে ঘোষণাকৃত ইসলামি দলের নেতারা এর প্রতিবাদ পর্যন্ত করেনি। আমার মনে হয় এ কারনে তাদেরকে এখনও খেসারত দিতে হচ্ছে এবং আরও কতদিন দিতে হবে তা আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের এ ভুল স্বীকার কোরে আল্লাহতায়ালা ও জনগনের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

একই কারনে পৃথিবীর আর কোথাও বর্তমানে বা ভবিষ্যতে কখনও এরূপ অমানবিক পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটছে না বা ঘটবে না- তা কি বলা যায়? তাই ইসলামের সামনে আরও অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও এ বিষয়টিকে আমি মোটেই খাঁট কোরে দেখার পক্ষপাতি নই।

জাহেলি যুগের দাসপ্রথার মত ইসলামে দাসপ্রথা বলে কিছু নেই। ডান হাতের অধিকারভুক্ত যুদ্ধবন্দী/ বন্দীনিদের অধিকার অর্থাৎ তাদের সাথে কিরূপ আচরন করতে হবে সেই সম্পর্কিত আল-কোরআনের আয়াত গুলো কিন্তু বাতিল করা হয় নাই। জেহাদ করা ফরজ। ইসলামের পক্ষে যুদ্ধ অর্থাৎ ‘জেহাদ’ এর সর্বোচ্য পর্যায়ে 'কেতাল' সংঘটিত হলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে সব সময়ই যুদ্ধ-বন্দী হতে পারে এবং অমুসলিমরাই যুদ্ধবন্দী হয়। তাছাড়া ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেবার জন্য অমুসলিমদের পক্ষ থেকে সধবা নারীরা স্বামী ও সর্বস্ব ত্যাগ করে আসতেই পারে। তাই আমি বিশ্বাস করি বর্তমানে শুধুমাত্র ক্ষেত্র বিশেষে (প্রকৃত জিহাদ সংঘটিত হলে বা অনাকাঙ্খিত বিশেষ কোন পরিস্থিতির উদ্ভব হলেই কেবল) রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুসারে খলিফা বা নেতার নির্দেশে ও সার্বিক তত্বাবধানে ডান হাতের অধিভুক্তদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আল-কোরআনের বিধান কিয়ামত পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

আল-কোরআনে যুদ্ধবন্দীদেরকে ‘ডান হাতের অধিকারভুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত অর্থে ইসলাম মানুষকে দাস বানিয়ে রাখাকে নিরুৎসাহিত কারার সাথে সাথে তাদের মুক্তির কথাই বলে। তাই বর্তমান অর্থনৈতিক ও পারিপার্শিক অবস্থার পরিপেক্ষিতে যদি ইসলামী রাষ্ট্রের খলিফা তাদেরকে মুক্ত করে দেয়ার মত সামর্থ রাখেন বা প্রয়োজনে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বন্দী কোরে রাখার সুব্যবস্থা করতে পারেন, তাহলে প্রথমত সেরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করাই কর্তব্য। যদি তা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে ‘ডান হাতের অধিকারভুক্ত’ হিসেবে সর্দার/ নেতা/ অভিভাকদের দায়িত্বে দিয়ে দিতে পারেন। ডান হাতের অধিকারভুক্ত যুদ্ধ-বন্দিনীদের সাথে তার অভিভাবকরা যে এখন আর বিবাহ ছাড়া যৌন সম্পর্ক করতে পারবেনা এবং এই সম্পর্কের দিকে ইংগিত কোরে পরবর্তীতে আল-কোরআনে তাদেরকে রক্ষিতা হিসেবে ব্যবহার না করার জন্য স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়েছে- সেই বিষয়টিই আমি তুলে ধরতে চেয়েছি।
............................................................

(iv) জনৈক পাঠকের মন্তব্য ও প্রশ্ন- ভাই, আপনি একটি জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করে প্রচুর সময় ও শ্রম ব্যায় করছেন বুঝতে পারছি। কিন্তু আমার মনে হয় বর্তমান সময়ের প্রক্ষাপটে এই বিষয়ের গুরুত্ব খুব একটা বেশী নয়। বাংলাদেশে কবে জিহাদ হবে সেখানে যুদ্ধবন্দিনী থাকবে আর তাদের ব্যাপারে সেই যুদ্ধের নেতৃস্থানীয়রা কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা নিয়ে এত অগ্রিম চিন্তার কোন কারণ দেখি না। জিহাদে বিজয়ী হয়ে যুদ্ধবন্দিনী হস্তগত করার মত শক্তি যার হবে সে এই বিষয়গুলিও বুঝবে বলে আশা করা যায়।

বর্তমান বিশ্বের অনেক অঞ্চলেই মুসলিমরা যুদ্ধ করছে - যেমন আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, ফিলিস্তিন - সেখানে কি মুসলমানদের হাতে কোন নারী বন্দিনী হচ্ছে না? তাদের সাথে সেই মুসলিম নেতৃত্ব কী আচরণ করছে? যদিও এ'ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানি না - তবে যদি তারা কোন যুদ্ধবন্দী নারীকে দাস বানাত বা বিবাহ বহির্ভুত ভাবে ভোগ করত - তাহলে সেটা যে বিশ্বমিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হত তাতে কোন সন্দেহ নাই।

কিন্তু আফগান যুদ্ধে মার্কিন সৈন্য কর্তৃক তার নিজ বাহিনীর নারী যোদ্ধাদের যৌন নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হলেও তালেবানদের হাতে বন্দী কোন নারীর উপর সেধরনের নির্যাতনের কোন খবর প্রচারিত হয়নি। এমনকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আফগানদের দীর্ঘদিনের যুদ্ধের সময়ও এ'ধরনের কোন খবর বিশ্ব মিডিয়ায় আসেনি। তার মানে ইসলামের যে শিক্ষার কথা আপনি এখানে বলছেন সেটা তালেবানদের মত আধুনিক শিক্ষা বঞ্চিত আফগান যোদ্ধারাও জানে।

আর একাত্তরে ফতোয়া দেয়া বা হাদীস গ্রন্থে বিচ্ছিন্নভাবে কার কার মন্তব্য সংযোজনের যে উদাহরণ দিয়েছেন তার গ্রহনযোগ্যতাইবা কতটুকু? এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার অর্থ হবে ঐসব দুস্কৃতিকারীকেই অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া এবং তাদের পাবলিসিটি করা। আমাদের সামনে দৈনন্দিন জীবন ও অধিকাংশ মুসলমানের জন্য প্রযোজ্য অনেক গুরুত্বপুর্ণ ও মৌলিক বিষয় রয়েছে চিন্তাভাবনা/গবেষণা করার জন্য। আশা করি আপনি সে ব্যাপারেই বেশী মনোযোগী হবেন।

ধন্যবাদ
……………………………………
লেখক বলেছেন: না ভাই, আমি শুধু এই বাংলাদেশের কথা ভাবছিনা। পৃথিবীর যেখানে মুসলিম আছে, সেখানে জিহাদও আছে। আর কিতালও অনেক দেশে হয়েছে এবং চলছে। আল-কোরআনের বিধান যেহেতু গোটা বিশ্বের জন্য প্রেরিত হয়েছে। তাই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াসকে শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করলে ভুলই হবে।

মার্কিন সৈন্য কর্তৃক তার নিজ বাহিনীর নারী যোদ্ধাদের যৌন নির্যাতনের খবর কিংবা অন্য কোন বিধর্মী দ্বারা মুসলিম নারী ধর্ষনের খবর প্রকাশিত হবার সাথে আমার এই টপিক্সের কোন সম্পর্ক নেই। কারণ আল-কোরআনের বিধান মানা বা না মানার সাথে সরাসরি বিধর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই। একজন মুসলিম তা ঠিকমত মানছে কিনা এটাই মুখ্য বিষয়।

আপনি কি আদৌ সব মিডিয়ার সব খবরই রাখেন!?

আধুনিক শিক্ষা বঞ্চিত আফগান যোদ্ধাদের নিয়ে আমার কোন মাথাব্যথা নেই।

প্রকৃত ইসলামের যে শিক্ষার কথা আমি বলছি, সে বিষয়ে যারা ওয়াকিবহাল আমি তাদেরকে নিয়েও ভাবছিনা।

যারা প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা অর্জনে বঞ্চিত বা ব্যর্থ হয়েছে এবং যাদেরকে ভুল বোঝানো হচ্ছে, আমি তাদের সামনে সত্যকে তুলে ধরতে চেয়েছি মাত্র।

একাত্তরে ফতোয়া দেয়ার সাথে হাদীস গ্রন্থে বিচ্ছিন্নভাবে সংযোজিত মন্তব্যের যে কোন সংযোগ নেই- তা কি হলফ করে বলা যায়? এই অগ্রহণযোগ্য মন্তব্যগুলোকে হাইলাইট করে ও ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে যে এদেশের মাটিতে পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞ ও নিপীড়ন চালানো হয়েছিল - তা কি সম্পূর্ণ মিথ্যা?

তাছাড়া এ ধরনের ভুল ব্যাখ্যার উপর ভর করে মুসলিম সমাজের মধ্যে সুযোগ-সন্ধানী ও কাম-লিপ্সু স্বভাবের লোকেরা নানা অযুহাতে অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। অনেকে তো খাওয়া-পড়া ও মাসোহারার বিনিময়ে গৃহকর্মে নিয়োজিত নারীদেরকে ইসলাম পূর্ব দাসী/বাঁদীদের মতন মেনে নিয়ে তাদের সাথে ব্যভিচার এমনকি জোরপূর্বক ধর্ষণ করাকে জায়েজ ভাবছে (নাউযুবিল্লাহ)। বিশেষ করে আরব মুসলিম দেশগুলোতে এগুলো যেন পান্তাভাত হয়ে গেছে।

গত ৩১-০৩-২০১৩ ইং তারিখে প্রথম আলো পত্রিকার ৫-পৃষ্ঠায় জর্ডান ফেরত দুই নারীর ঘটনা সেই সাক্ষ্য বহন করছে-
//বাংলাদেশ থেকে সরকারী ব্যবস্থাপনায় গৃহপরিচারিকার কাজে জর্ডান পাঠানো হলে একজন মহিলাকে গৃহকর্তা ধর্ষন করে। তিনি এ ঘটনা গৃহকর্তার স্ত্রী ও কন্যাকে জানিয়ে দিলে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। সেখানে কাজ করতে আপত্তি জানালে অফিস থেকে তাকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বাড়িতে পাঠানো হয় এবং সেই দুই বাড়িতেও তিনি ধর্ষনের শিকার হন। এরপর আত্মহত্যার ভয় দেখালে তাকে খলি হাতে ফেরত পাঠানো হয়। জর্ডান ফেরত রাজশাহীর অপর এক নারীও একইভাবে নির্যাতনের শিকার হন।//

এর পূর্বেও এ ধরনের আরও কত ঘটনাই যে ঘটেছে এবং অপ্রকাশিত থেকে যাচ্ছে তার খবর কে রাখে। বিপথগামীদের এরূপ নাজায়েজ আচরণ পরিবার তথা সমাজকে শুধু কলুষিতই করছে না, ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ সাধারণ মুসলিম এবং অন্য ধর্মের অনুসারীদের মনে ইসলাম সম্পর্কে খটকা ও বৈরি মনোভাবেরও জন্ম দিচ্ছে।

ভবিষ্যতে যেন পৃথিবীর কোন প্রান্তে মুসলিমদের দ্বারা এই ভুলের পুনরাবৃত্তি না হয় এবং এ ধরনের অনৈতিক ও পাশবিক ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে অবশ্যই সচেতন থাকা চাই। কাজেই কোন দুস্কৃতিকারীকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেয়া এবং তাদের পাবলিসিটি করা আমার উদ্দেশ্য নয় বরং আমি যে তাদের মুখোশ খুলে দিতে চাই- তা নিশ্চয় আপনারা বুঝতে সচেষ্ট হবেন।

চিন্তাভাবনা/গবেষণা করার বিষয় নির্ধারণ করার ব্যাপারে আপনার প্রতিও একই আহ্বান রইল।

আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। (ক্রমশ চলবে.....)

২/ ইসলাম কি দাসপ্রথাকে আদৌ সমর্থন করে? (২য়- পর্ব)
........................................
কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য মুছে ফেলা হবে। প্রয়োজনে ব্লক করতে বাধ্য হব-
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৯
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×