ভাবতে খারাপ লাগে মুসলমানের কতটা অবনতি হয়েছে । আজ একটি পবিত্র রাত, এই পবিত্র রাতে কত যে অপবিত্র কাজ হচ্ছে ভাবতে ভয় লাগে। মসজিদে নয় মাজারগুলিতে গিয়ে দেখেন আজ কি অবস্থা ? ভন্ডামি কাকে বলে কত প্রকার উদহারন সহ পেয়ে যাবেন। ব্যাঙের ছাতার মত ছড়িয়ে আছে মাজার , পীরের দরবার, পীরে পীরে পীরায়িত হয়ে গেছে বাংলাদেশ।
ইহুদী নাসারারা না যতটা ভয়ংকর এই পীর নামধারী ভন্ডগুলি ইসলামের জন্য আরো ভয়ংকর । এই পীরেরা নাকি ইবাদত করতে করতে আল্লাহর সাথে মিশে যায় তখন আর তাদের ইবাদত করতে হয় না, এর পর যদি ইবাদত করে সেইটা নাকি কুফর। এদেশের একজন নামকরা পীর তার বই্তে লিখেছেন ( দো পীর দো ডানা পাকারকে বেহেশতে মে লে যায়েগা) । পীর একজন ধরতেই হবে দুইজন হইলেও অসুবিধা নাই দুই পীর দুই হাত ধইরা বেহেশতে নিয়ে যাবে
ফার্মগেটের নিকটে আছে কুতববাগী পাঠা । পাঠায় বলে জীবরাইল নাকি অর কাছে কাবা নিয়া আসে সে বইসা বইসা তাওয়াফ করে। চিন্তা করেন কতবড় ভন্ড। খাইতে খাইতে খাশি হইয়া গেছে শরির নারাতে পারেনা এ নাকি পীর। আটরশির পীর গুলশানে আলিশান বাড়ি । দাড়ি নাই নবীর সুন্ণতের লেশমাত্র নাই হে নাকি আবার পীর ? মানুষ আবার এই পীরের দরবারে যাইয়া বায়াত নেয় হাজার হাজার খাশি বরকি দিয়া আসে। হায়রে মানুষ !
বায়াতের কথা কোরআণে আছে , নবীজি সাহাবাদের বায়াত নিয়েছেন এই বলে তারাও বায়াত নেয় । নবিদের স্বপ্ন ছিলো সত্য আর পীরে্রা দেখে স্বপ্নে দোষ, হেরা আইছে বায়াত নিতে। হ্যা নবীজি বায়াত নিয়েছিলেন কেন নিয়েছিলেন কি বায়াত নিয়েছিলেন তা বলে না। সাহাবারা যে বায়াত করেছিলো সে বায়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন খুশি হয়ে আয়াত নাজিল করছেন। বায়াতের কারন ছিলো নবীজি দীর্ঘদিন হলো হিজরত করে মদিনায় আসছেন। বহুদিন মাতৃভুমিকে দেখেন না । তিনি একদিন স্বপ্নে দেখলেন তিনি সাহাবিদের সাথে নিয়ে কাবা তাওয়াফ করছেন। সকালে তিনি সাহাবাদের তৈরি হতে বললেন । ১৪০০ সাহাবিকে নবিজী রওনা হলেন এসে থামলেন হুদাইবিয়ার প্রান্তরে। মক্কাবাসিরা উসমান (রাঃ) খুব ভালো বাসতো তাই নবিজী তাকে পাঠালেন মক্কাতে কুরাইশদের সাথে আলোচনা করতে ওমরার অনুমতির বিষয়ে। কিন্তু কোরাইশরা তাকে বন্দি করে এবং খবর ছড়িয়ে দেয় উসমানকে হত্যা করা হয়েছে। নবিজির কানে এই সংবাদে পৌছলে তিনি তাবু থেকে বের হলেন , সাহাবিরা তখন গাছের নিচে বিশ্রাম নিছ্ছিলো । নবিজী ডাক দিলেন হে গাছের নিচে অবস্থানরত সাহাবিরা আমার উসমানকে হত্যা করা হয়েছে তুমরা আস বায়াত করো আমরা এর প্রতিশোধ না নিয়ে মদিনা ফিরে যাবো না প্রয়োজনে শহিদ হয়ে যাবো। এই ছিলো নবির বায়াত।
আর এখনএ এই ভন্ড পীরেরা বায়াত দেয় বায়াত দিলে বাড়ি , গাড়ি পাইবা সুন্দরি বউ পাই মন্ত্রী মিনিস্টার হইবা আরো কত কি। মুশকিলে আহসান সেন্টার । সবমুশকিল আহসান।
আমাদের দেশে খাজা বাবার অনেক ভক্ত আছে । বাবা কইয়া এক চিল্লানি দেয় পুরা আসমান জমিন এক কইরা ফেলায়। কলকি টানে আর বাব বাবা করে। খাজার দরবারে উর্দুতে একটা কবিতা আছে আছে যার বাংলা এমন।
আল্লাহর ধন নবিরে দিয়ে আল্লাহ গেছে খালি হয়ে
নবির ধন খাজারে দিয়ে নবি গেছে খালি হয়ে
হায় খাজা আজমিরি গেলে তোমার দরবারে
কেউ ফেরে না খালি হাতে।
চিন্তা করে আল্লাহ নাকি খালি হয়ে গেছে । আমাদের দেশে আবার তরিকা আছে কাদেরিয়া, চিশ্তিয়া, সাবেরিয়া, নকশিবন্দি, মোজাদ্দেদিয়া । একেক তরিকার একেক পীর হায়রে ভন্ডামি। গিয়ে দেখনে গোলাপশার মাজারে শিরক কাকে বলে । না জেনে না বুঝে পীরের ধোকায় পড়ে শয়তানকেও হার মানিয়ে দেয়। শয়তান মনে হয় মনে মনে হাসে আর বলে আমি আর কি শয়তান মানুস শয়তান বড় শয়তান। সকল মুসলমান ভাইদের কাছে আবেদন এইসব ভন্ডদের বিরুদ্ধে দারাতে হবে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে এদের ভন্ডামি। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন।