প্রখ্যাত শিশু সাইন্স ফিকসন লেখক ও অধ্যপক মুহাম্মদ জাফরইকবাল কে নিয়ে প্রায়ই ব্লগে ঝড় উঠে। এদেশে দুই ধরণের লেখক দের নিয়ে বেশি আলোচনা ও সমালোচনা হয়। একটি হলো ইসলাম বিদ্বেষী লেকক ও আরেক টি হলো অতিব সত্যভাষী লেখক। এই বিভাজনের প্রথম কাতারের উল্লেখ যোগ্য উদাহরণ হলো মু.জা.ইকবাল। আর ২য় কাতারের লেখকের উদাহরণ হলো মাহামুদুর রহমান।
আমরা জানি জাফর ইকবালের ইসলাম বিষয়ে মারাতœক এলার্জি আছে। সে জন্য তিনি সকল ইসলামীক দল গুলোকে অপছন্দ করেন। সকল দাড়িটুপি পরিধান কারিকে বাকা চোখে দেখেন। বোরকা পড়াকে নারী মুক্তির অন্তরায় মনে করেন। ডারউইনবাদকে সমর্থন করেন।
আমরা জানি তিনি এদেশে বাঙগালী সংস্কৃতির সামে কোন সংস্কৃতি চালু করতে চান।
সমালোচকেরা বলেন মুক্তিযুদ্ধের সয়ম তিনি তরুন হলেও কেন তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন নি?
কেন তিনি ছাত্রলীগের সীমাহীন অপকর্মের বিরুদ্ধে কলম ধরেন না। কেন তিনি সীমান্তে পাখির মতো গুলি করে মারা বিএসএফ এর বিরুদ্ধে লেখেন না। কেন তিনি সরকারের অসহনীয় দুর্নীতি, পিএসসির দলীয়করণ,অর্থনীতির বেহাল অবস্থা সহ ট্রানজিটের নামে তিতাস নদী হত্যা ও সর্বশেষ টিপাইমুখ নিয়ে কলম ধরেন না? তাহলে কি তিনি ভারতের এদেশীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন?
প্রচন্ড সমালোচনার মুখে হোক আর তার জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য হোক বা লোখ দেখানোর জন্য হোক অবশেষে তিনি টিপাইমুখ নিয়ে একটি ছোট্ট অথচ সহজ সুন্দর কলাম লিখেছেন গত ৫ জানুয়ারী ২০১২ প্রথম আলোতে। টিপাইমুখঃএকটি প্রতিক্রিয়া নামের শিরোনামে তিনি তার প্রচলিত সহজ সাবলিল ভাষায় জনগনের কথাটাই বলেছেন।
এর আগে টিপাই মুখ নিয়ে অনেক লেখক লিখেছেন। তার থেকে অনেক ভাল মানের লেখাও দেখেছি। অনেক ব্লগারও তার থেকে অনেক অনেক ভাল ভাবে সাজিয়ে গুজিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে লিখেছেন। কিন্তু জাফর ইকবালের লেখা কই? তিনি এতো বড় দেশ প্রেমিক আর তিনি কিনা ভারত কর্তৃক এই এতো বড় দেশের ক্ষতিকারক কর্মযগ্মের ব্যাপারে নিশ্চুপ?
অনেক দেরিতে হলেও তিনি মুখ খুলেছেন। আর যথার্থ কথাই বলেছেন। তিনি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না হলেও যে কথাটা বলেছে তা অতিব সঠিক।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি কোর্স আছে নদী বিষয়ে। সেখানে আমরা পড়েছিলাম নদীতে বাধ দিলে কি হয়? বিখ্যাত নদী বিশেষজ্ঞ রুয়েটের শিক্ষক ইকবাল মতিন স্যার আমাদের সেদিন ক্লাসে বুঝিয়েছিলেন নদীতে বাধ দিলে তাই হয় যা হয় একটি বিষধর সাপের মাথায় পা দিয়ে দাড়িয়ে থাকলে। সাপটি যেমন সামনে না এগুতে পেড়ে লেজ কে আশে পাশে প্রচন্ড শক্তিতে নড়াতে থাকে এবং আশে পাশে কিছু থাকলে তা তার আঘাত থেকে রক্ষা পায় না একটি নদীতে বাধ দিলে নদীও তেমনি সাপের মতো আচরন করে। এর ফলে বাধ দেবার উজানে সে অনেক ক্ষয় ক্ষতি করে। উদাহরণ স্বরুপ ভারতের ফারাক্কার কুফল শুধু বাংলাদেশই পাচ্ছে না। ভারত ও ভোগ করছে। এর ক্ষতি উভয় দেশের জন্যই ভয়াবহ। টিপাই মুখে বাধ হলেও তাই হবে। আসলে একটা বাধ এটম বোমার থেকেও ক্ষতিকর।
“প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রক করতে নেই, আর তা করাও যায় না। প্রকৃতির সাথে সহবস্থান করতে হয়।”
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।