১/
ঝড়ো হাওয়ার সন্ধ্যায় আমার নেভীগেটের বাসায় তোমার এক চোখের ইশারায় শতকাল ধরে আমার তৈরী সাম্রাজ্য অন্ধকারে ঢেকে যায়।
এই অন্ধকারে সাতরে আমি আলোকের প্রানবিন্দু খুজে মরি।
কে যেন আড়াল থেকে বলে "সত্য এখন ও বহুদূরে "।
তাও আমি আলো খুজি।
দিবস খুজি।
আধারের গভীরে দেখা মেলে রক্তাত এক বৃদ্ধের সাথে।
যার বুকে লোহার দাগ বসে আছে।
আধারের গভীরে দুরের গতিছন্দ ধীর হয়ে আসে।
বৃদ্ধশুনায় পোল্যান্ডের দুর্দশা।
ফ্রান্সের শিল্প রাজনৈতিক গল্প।
ঢাকার মৃত্যু কাহিনী।
ইচ্ছাসুখে ঝড়িয়ে বাক্য বৃদ্ধ আমায় সঙ্গ দেয়।
স্তব্ধ আমি ফের ডুবি আলোর সন্ধানে।
মস্তিকে নৃত্য করে নি:শব্দ যন্ত্রনা।
এইবার দেখা মেলে আধারের আরো গভীরের ক্ষুধিত মাকড়সার দলের সাথে।
আমায় নকশা আকা পেয়ালায় বিষপানে স্বাগত জানিয়ে শয়তানের গল্পে মজে তারা।
ভারী বাতাসে মাতে নেশার উৎসবে।
বিপুল রহস্যময় তাদের নগ্ন চাহনিতে আলোর দেখা নেই।
আমি আর ও আধারে যাই।
যে আধারে আলো জন্ম নেয়।
এদিকে আধার ভেদে সুয্যি আসে।
তুমি পাও শৃঙ্খলহারা এক নতুন ভাব।
শুন্য স্মৃতিটুকু নিয়ে আমি আটকে থাকি বাড়ির উত্তরকোনের ফনীমনসা বাগানের অন্ধকারে।
তুমি আলো খেয়ে নাও অভাবী।
তুমি আলো মেখে নাও মানবী।
আমি আধারে ডুবি এবং ডুবি।
আধারে গভীরে আমি বৃদ্ধ আর মাকড়সা দলের সাথে বেশ আছি।
নৈরাশ্য আর পীড়নের গল্প ভুলে আমরা এখানে নীরব কোমল গল্প করি।
বৃদ্ধ শুনায় বুড়িগঙ্গার রঙ চুরির গল্প।
কখনো বা আন্ধামান এর একলা বারান্দায় ঝুলে থাকা টবের নি:সঙ্গ এক পাতার কীটের গল্প।
প্রায়ই যা বলে, তাহল আধার থেকে মুক্তি পাওয়া এক ঘাসের গল্প, যে কিনা নাইতে গেছে পান্তুমাই এর ঝর্নাজলে।
তুমি আলো খাও মানবী।
উপচে পড়লে দলবল নিয়ে আলো খাও
২
ঝড়ো হাওয়ার সন্ধ্যায় আমার নেভীগেটের বাসায় তোমার এক চোখের ইশারায় শতকাল ধরে আমার তৈরী সাম্রাজ্য অন্ধকারে ঢেকে যায়।
এই অন্ধকারে সাতরে আমি আলোকের প্রানবিন্দু খুজে মরি।
কে যেন আড়াল থেকে বলে "সত্য এখন ও বহুদূরে "।
তাও আমি আলো খুজি।
দিবস খুজি।
আধারের গভীরে দেখা মেলে রক্তাত এক বৃদ্ধের সাথে।
যার বুকে লোহার দাগ বসে আছে।
আধারের গভীরে দুরের গতিছন্দ ধীর হয়ে আসে।
বৃদ্ধশুনায় পোল্যান্ডের দুর্দশা।
ফ্রান্সের শিল্প রাজনৈতিক গল্প।
ঢাকার মৃত্যু কাহিনী।
ইচ্ছাসুখে ঝড়িয়ে বাক্য বৃদ্ধ আমায় সঙ্গ দেয়।
স্তব্ধ আমি ফের ডুবি আলোর সন্ধানে।
মস্তিকে নৃত্য করে নি:শব্দ যন্ত্রনা।
এইবার দেখা মেলে আধারের আরো গভীরের ক্ষুধিত মাকড়সার দলের সাথে।
আমায় নকশা আকা পেয়ালায় বিষপানে স্বাগত জানিয়ে শয়তানের গল্পে মজে তারা।
ভারী বাতাসে মাতে নেশার উৎসবে।
বিপুল রহস্যময় তাদের নগ্ন চাহনিতে আলোর দেখা নেই।
আমি আর ও আধারে যাই।
যে আধারে আলো জন্ম নেয়।
এদিকে আধার ভেদে সুয্যি আসে।
তুমি পাও শৃঙ্খলহারা এক নতুন ভাব।
শুন্য স্মৃতিটুকু নিয়ে আমি আটকে থাকি বাড়ির উত্তরকোনের ফনীমনসা বাগানের অন্ধকারে।
তুমি আলো খেয়ে নাও অভাবী।
তুমি আলো মেখে নাও মানবী।
আমি আধারে ডুবি এবং ডুবি।
আধারে গভীরে আমি বৃদ্ধ আর মাকড়সা দলের সাথে বেশ আছি।
নৈরাশ্য আর পীড়নের গল্প ভুলে আমরা এখানে নীরব কোমল গল্প করি।
বৃদ্ধ শুনায় বুড়িগঙ্গার রঙ চুরির গল্প।
কখনো বা আন্ধামান এর একলা বারান্দায় ঝুলে থাকা টবের নি:সঙ্গ এক পাতার কীটের গল্প।
প্রায়ই যা বলে, তাহল আধার থেকে মুক্তি পাওয়া এক ঘাসের গল্প, যে কিনা নাইতে গেছে পান্তুমাই এর ঝর্নাজলে।
তুমি আলো খাও মানবী।
উপচে পড়লে দলবল নিয়ে আলো খাও।
৩
আমি আমার না।
তুমিও তোমার না।
আমি তোমার না।
তুমিও আমার না।
মাতাল বাতাসে গুনগুনিয়ে ওঠা একরাশ ভালবাসা আমার না।
ভালবাসার মাতাল বাতাসে কফির উষ্ণতা তোমার না।
মাঝরাতের তোমার বস্ত্রহীন শরীরের দেশে আমার চলাচল নেই।
পড়ন্ত বিকেলে প্রিয় রেস্তরায় তীব্র পিপাসায় ফেটে পড়া চুম্বনে আমার অস্তিত্ব বিলীন।
অঘোর ঘুমে তোমার বালিশে জেগে ওঠা শোকে আমার অধিকার কই?
আমার তোমার সম্পর্ক এই যে, ঘুনে ধরা কিছু ইচ্ছে জমা রেখেছি তোমাতে।
ইচ্ছেগুলো জমাই থাক।
বৃষ্টি যদি কখনো হয় তোমার মনের শহরে একখানি কাগজের নৌকায় ইচ্ছেগুলো ভাসিয়ে দিও।
তোমায় ঘিরে বাচার স্বপ্ন গুলো পুড়িয়ে ফেল তুমি মায়াবীনি।
সন্ধ্যাগমে আকাশের পাখির উড়ে যাওয়ায় তুমি মায়া খুজে ক্লান্ত হও।
আমি আমার।
তুমি তোমার।
আমরা শুধু কারো ব্যাক্তিগত নই।