আজকাল বাড়িতেই থিতু হয়েছি।
প্রতিবেশীদের চিনে নেওয়া দরকার।
মনোহরার কাছে শুনেছি,
ডানের বাড়িতে ফুলের গন্ধ নিবিড়,
আছে সবুজ নরম কাচা চারা।
যদিও আমি নিজে গন্ধ পাইনি।
মনোহরা, তোমার নাক ভালো।
মনোহরা,
এও বললো
বামের বাড়িতে ঘরের পাশ দিয়ে ওপরে ওঠার মাটির সিড়ি,
অচেনার স্ত্রোতপাঠ শোনা যায় স্পষ্ট।
যদিও আমি দেখিনি বা শুনিনি এসকল।
মনোহরা,
তোমার চোখ সুন্দর।
মনোহরা জানালো,
দু বাড়ি পিছনেই এক বৈষ্ণবী থাকে,
টিকলো নাখ, টানা চোখ,
মনোহরার সমবয়সী,
যার ছাদে যমদেবতা পায়চারি করে আর পাথর প্রসঙ্গে ভাবে।
মনোহরা,
আমার নিজেরি নিজেকে স্বীকার করতে লজ্জা হচ্ছে, একদম আধমরা সবুজের মতন।
আজ সকালে দেখা হলো জীবনের সাথে।
হেসে বললো, ক্যামন আছেন?
আমিতো আপনার পাশের বাড়িতেই থাকি, আসুন না একদিন?
মনোহরা শুনছো, জীবন আমার পাশের বাড়িতেই থাকে।
মনোহরা,
এখন তুমি কার সাথে শুয়ে আছো?
আধখানা চাঁদ ঠোটে কে বোলাচ্ছে হাত?
ঘন পাতার আবডালে কে কইছে কথা?
আমার বুক ছিড়ে বের হওয়া নিশ্বাস কার দেয়ালে বাধা পায়?
জানো, আজ বিকেলে ভীমের চায়ের দোকানে দেখা হোল মৃত্যুর সাথে।
হেসে বললো, ক্যামন আছেন?
আমিতো আপনার বা পাশের বাড়িতেই আছি, আসুন না একদিন?
মনোহরা,
বিছানায় তুমি বেশ আকো অপেক্ষার আলপনা,
মধ্যাহ্নের বৃষ্টি অরন্য ও একে ফেলো জানি,
আজ কি তোমার সময় হবে?
আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময়
বা পাশের ভদ্দরলোকের বাড়ি,
মৃত্যুর বাড়িতে
ঘরের পাশ দিয়ে যে মাটির সিড়ি উঠে গ্যাছে উপরে, সেই সিড়িতে হাত ধরে ওঠাবার?
বহুদিনের উত্তাপ মাখামাখির শশ্মান জীবন হতে হাত ধরে নিয়ে আমাকে দিয়ে মৃত্যুর বাড়ি।
দিয়ে এসো মনোহরা।
এই গোপনতা কেউ জানবেনা।
মনোহরা, বলো ঈশ্বর মঙ্গলময়।