ঘুঘু পাখিটি পবিত্র জলে নারীর বিভিন্ন অঙ্গ মন্ত্র দিয়ে ধুয়ে দিচ্ছে।
ডানহাতে বৃদ্ধা ও কনিষ্ঠা আঙুল ভাজ করে পরবর্তী তিন আঙুল দন্ডায়মান রেখে মৈথুন করে যাচ্ছে যৌনাঙ্গ মন্ত্র আবৃত্তি সহ।
কামরস বেরিয়ে এলে ঘুঘু জ্বেলে দেয় একটি প্রদীপ নারীর যোনি বরাবর,
নারী, তখন থাকে পবিত্রতম, মূলত নিস্তেজ।
বাকি ঘুঘুরা মৈথুনের ইচ্ছা গিলে নারীকে প্রনাম করে যায় ফুল চন্দনে, পরম ভক্তিতে।
মন্ত্রপাঠ চলে আরো কিছুকাল।
এমনিভাবেই একদিন,
মটরশুঁটি, কাচাঁ দুধ আর আতপ চালের চরণামৃত
এক এক করে খুলে যায় বন্ধ জানাগুলো।
এমনিভাবেই একদিন নারী বা দেবী ভুলে যায়,
নেকানো উঠানে খেজুর চাটাই পেতে পুতুল খেলতো সে।
এমনিভাবেই একদিন নারী বা মা ভুলে যায়,
একরাশ ঘন অন্ধকার চুলে আলোর চন্দন,
আচঁল দিয়ে ঝরে পড়ছে টুপ টুপিয়ে বসন্তের উত্তাপ।
এমনিভাবেই একদিন নারী বা প্রেমিকা ভুলে যায়,
সমগ্র জাহান উঠে আসে তার ভিজে শরীরের জল হতে।
দিনের প্রথম নরম সূর্যঘড়ির মতন।
তাই ঘুঘু ব্যাস্ত থাকে।
আমাকে সেকেঁ নিতে হয় সারা অঙ্গ, শীতের সন্ধ্যায় বেগুন পোড়ার মতন।
তারপর, বাড়ি ফিরে যখন দাড়াই আয়নার সামনে
সমস্ত অঙ্গজুড়ে প্রিয় নারীদের মানচিত্র।