প্রকৃত সত্য যে, আমার সংগ্রহ সামান্য।
মাত্র দুইটা মুখোস,
একটা মুখোস পড়ে দেবীদের সাথে বিছানায় যাই
গল্প করি এক পরিত্যাক্ত ট্রেনের
দেবী ফালাফালা করে দেয় আমাকে,
সে এক আশ্চর্য ক্ষন,
ফের গল্প করি এক বেনামী স্টেশনের।
বাকি এবং শেষ মুখোস পড়ে যাই বেশ্যার সাথে বিছানায়,
তখন অবশ্য গল্প মনে পড়েনা,
মনে পড়ে যে - "মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কি দিব্যি বেচেছিলাম "শিরোনামের কবিতা,
অবশ্যই মুখোসের বাইরে যাইনা আমি।
এইখানে সঙ্গম যতটুকু উপভোগ করি, তার থেকে বেশী উপভোগ ২০০৬ এ দেখা কলেজ ছাত্রীর থেতলানো স্তনের গল্প,
পরে জেনেছিলাম, কলেজ ছাত্রী মানেই বিশুদ্ধ কেউনা, ধর্ষিতা বেশ্যা ছিলেন তিনি।
অপ্রিয় সত্য যে আমি আমার বাবা কে হিংসা করি,
বেজায় বড়লোক বলে,
ওনার সংগ্রহে আছে এক চল্লিশ টা মুখোস।
অফিসে যাবার আগে একটা ভারী মুখোস,
বন্ধুদের আড্ডায় একটা হালকা মুখোস,
আত্মীয়সভায় একটা মহৎপ্রাণ মুখোস
বাজার করতে গিয়ে একটা হিসেবী মুখোস
কেউ মারা গেলে বেদনা মুখোস
দ্বিতীয় বিবাহের দিনে আনন্দ মুখোস
বাংলা মদের আড্ডায় ঝলমলে মুখোস
ব্যাস্ত তরলে ভালো মানুষ বাবা।
রাত ভোরে প্রার্থনা মুখোস
খুব দুপুরে
খুব রাতে
অন্য মুখোস
প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুবার্ষিকী তে শোক মুখোস।
আমার মাঝে মাঝে মনে পড়ে যায় অতিরিক্ত গরীব মা কে!
যিনি মারা গেছেন মুখোসহীন,
যার আজন্ম সংগ্রহে ছিলনা কোন মুখোস
যাকে দেখলেই বাবা পড়ে নিতেন লজ্জা মুখোস আর ভাবতেন "একজন মহিলা এত গরিব অর্থাৎ মুখোসহীন কিভাবে হয়? "
যেহেতু মগজের অভ্যন্তরে ঘুমিয়ে আছে এক প্রাচীন রাধাচূড়া বন,
আমিও প্রায়ই ভ্যানে বসে চলে যাই সেই অরন্যের অন্তিম গভীরে,
তাই আমার ও আফসোস হয়,
আফসোস হয় এইভেবে,
আমার মাত্র দুইটা মুখোস কেন?
তাও শুধু বিছানায়
আফসোস হয় এইভেবে,
মা এত গরীব কেন? কেন মুখোসহীন?
মুখোস থাকলে কি আর বিশ্বাসী আম কাষ্ঠে চাপা দিয়ে চিতায় তুলতাম এত সকালেই তাকে? (চন্দন কাঠের দাম বেশি বিধায়, মায়ের মৃত্যুদিনে বাবা পড়েছিলেন অসহায় অভাবী মুখোস)
আফসোস হয় এইভেবে,
বাবা কে কেন দেখেনা কেউ মুখোসহীন?
অন্তত ঈশ্বর বা দ্বিতীয় মা!