somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"অন্ধকার রাতের হন্টন"

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


চিত্র: গুগল হতে ডাউনলোডকৃত

অন্ধকারে হাঁটতে আমি পছন্দ করি। অন্ধকারে হাঁটলে আমার অসাধারন একটা অনুভুতি কাজ করে। এর একটা মজার দিক আছে। আমি যখন আলোতে হাঁটব তখন আমি আমার চোখ তথা দৃষ্টি শক্তির উপর কনফিডেন্স থাকব, এবং ভুলে যাব এই দৃষ্টিশক্তির মালিক আসলে আমি নই। তারমানে মনে হবে আরে আমি সব কিছু স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কোন দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাই নেই। আসলেই কি তাই ঘটে? এর উত্তরে পরে আসি।

এবার আসা যাক অন্ধকারে হাঁটার মধ্যে কি লুকিয়ে আছে? আমি যখন অন্ধকারে হাঁটি তখন একমাত্র ভরসা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা। আর এই ভরসাটা অটোমেটিকালি চলে আসে। কারন আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। অর্থাৎ গর্তে হোঁচট খাওয়া কিংবা কোন দুর্ঘটনা ঘটার উপর গণিতের ভাষায় দৈব প্রভাব কাজ করবে। প্রোবাবিলিটি থিওরীতে চলে যাবে। যেমন এভাবে অন্ধকারে হাঁটার ফলে দুর্ঘটনা ঘটা এবং না ঘটার সম্ভাবনার সমষ্টি ১। অর্থাৎ ৫০% সম্ভাবনা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং ৫০% সম্ভাবনা দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে। আলোতে হাঁটলে দুর্ঘটনা না ঘটার সম্ভাবনাকে আমি আরও ২০-৩০%-এ বাড়িয়ে নিতে পারছি। অর্থাৎ মাত্র ৩০-২০% সম্ভাবনা থাকছে দুর্ঘটনা ঘটার। অবাক করা বিষয় হলেও সত্য আমি দীর্ঘ সাড়ে চার বছর টিউশনি থেকে আসার সময় হেঁটে হেঁটে আসি তাও মোবাইলের ফ্ল্যাশ না জ্বালিয়ে। মজার বিষয় হল আমি যে কয়বার অন্ধকারে হেঁটেছি একবারও আলহামদুলিল্লাহ তেমন কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। অথচ আমার বেশ কয়েকজন ফ্রেন্ড আমাদের হলের রাস্তায় আলো কম থাকার কারনে হোচট খেয়েছে। আমাদের হলের আশেপাশে প্রচুর সাপ দেখতে পাওয়া যায়। এই সাড়ে চার বছরে আমার চোখে কখনও কোন সাপ পড়েনি। অথচ আমার ফ্রেন্ডরা বেশ কয়েকবার সাপ দেখেছে। আমি এখন কিভাবে প্রোবাবিলিটি থিওরীর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে পারি বুঝতে পারছি না। আমাকে কি স্বীকার করতে হচ্ছে না যে, কেউ একজন আছেন যিঁনি দুর্ঘটনা ঘটার প্রোবাবিলিটিকে প্রায় শুন্যের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছেন?

বি:দ্র: প্রোবাবিলিটি নিয়ে আমার বুঝ এতটুকুই। ভুল ধারনা থাকলে অবশ্যই শুধরে দেওয়ার অনুরোধ থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৮
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×