পিতা তার সন্তানকে অ, আ, ক, খ বর্ণ শেখান কিন্তু কখনও জ্যোৎস্না দেখা শেখান না ! ‘লেখাপড়া করে যে, গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে’ এই বাক্যটি শেখান কিন্তু বৃষ্টিতে ভেজা শেখান না! ছেলে কিংবা মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে গেলেই ‘ঠান্ডা লাগবে’ বলে ঘরে আবদ্ধ করে রাখেন। ছেলে-মেয়ের আশেপাশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আনন্দের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন না। বরং তাকে সবসময় শেখান পাশের বাড়ির ছেলেটার মতো তাকে পরীক্ষায় ফার্স্ট হতে হবে। নীচতলার ভাইয়াটা কিংবা আপুটির মতো তাকে মেডিকেলে পড়তে হবে ! শুধু প্রতিযোগিতা আর প্রতিযোগিতা!! কি সেল্যুক্যাস ! কি প্যাথেটিক ! কতো বাবা-মা’র ওপর সন্তানেরা চাপা অভিমান রাখে তার খবর কি তারা রাখেন? হয়তো অনেকেই রাখেন না।
বাবা-মায়েরা বরং তার সন্তানকে টাকা-পয়সার সাখে পরিচয় না করিয়ে সুখ-আনন্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দিক! তাদের সন্তানকে নিয়ে জ্যোৎস্না দেখুক, বৃষ্টিতে ভিজুক! এতোটুকু শিখিয়ে দিক তিন চাকার রিক্সাওয়ালাটা চার চাকার গাড়িতে বসে থাকা মানুষের চেয়ে সুখে থাকতে পারে ! নদীর ধারে খালি পায়ে দাঁড়িয়ে গায়ে বাতাস লাগানোতে যে আনন্দ আছে, এসি ঘরে বসে সে আনন্দ পাওয়া যাবে না! এতোটুকু শিখিয়ে দিক-জীবনে টাকা-পয়সা-ই সবকিছু না ! সুখে থাকটাই বড়ো কথা! বরং টাকা-পয়সা, প্রতিযোগিতার পেছনে ছুটলে সুখেরা জীবন থেকে দূরে সরে যাবে অনেক! এই সন্তানেরা সুখী হবে! জীবনে যদি কিছু করতে না-ও পারে তবুও একটা কবিতা লিখে সে সুখে থাকবে! বাবা-মায়ের প্রতি চাপা অভিমান আর ক্ষোভ জন্মাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৪৫