somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অলীক

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৬:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

( আধাঁরির গল্প )

একটি দেশের প্রতিটি নাগরীকের তথ্য জানার অধীকার আছে, অধীকার আছে কি কি অধীকার আছে নাগরীক হিসেবে । অথচ দেশের বেশির ভাগ মানুষই তা জানে না । আজ ন্যাশন্যাশ মিউজ্যামে দেখলাম একটি ছাপা কারখানা -যেটাতে প্রথম সংবিধান ছাপা হয়েছিল ! এটি দেখে হাসিই পেল ! আমার প্রয়োজন ছিল প্রথম সংবিধানের বই , বা তার কাগজ যেটা আমাদের প্রয়োজন সেটা না দিয়ে আমাদের ভিন্নতা সেখাচ্ছে এতে লাভবান হচ্ছে ক্ষমতায় টিকে থাকা ব্যক্তিরা তারা জানে যত আমাকে শিক্ষিত করতে ততই অন্ধকারদুর হবে আর আমি আমার অধীকার বিষয়ে সচেতন হবো আমি কমেন্টস করতে পারবো , এটা তাদের জন্য বিপদজনক হবে তাই মেস পিপলদের কাছে অন্ধকারকে এমন ভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে যেটার কোন মূল্য নেই যেটা দিয়ে আপনার সাংসার চালাতে পারবেন না । বেসিক যে law বা সংবিধান তাও পাচ্ছে না মানুষ । একটি কথায় বার বার ফিরে আসি আপনি ক্ষমতার প্রয়োজনে যা শোষন করছেন তার চেয়ে বেশি খেসরাত দিতে হবে কোন সামাজ্যই ২০০ বছরের উপর টিকে থাকে না । আমাদের দেশের মানুষের পার কেপিটা ইনকাম প্রায় ১৩ শত মার্কিন ডলারের মত এটার কুয়াটার যদি একটি পরিবারের সব মানুষ কাজের মধ্যপায় তাহলে এ দেশে দারিদ্রতা থাকবে না । আজ যখন দেখি মাস্ট্রাস কমপ্লিট করা কোন ছেলে চাকুরীর জন্য দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে তখন ভাবী যারা অবস্থার কারনে পড়াশুনা শেষ করতে পারেনি তাদের কি অবস্থা তাদের মাথা নিয়ে তো বেশি করে খেলা যায় , তার সাথে ইচ্ছেমত মগজধুলাই । এখন অপরাধগুলোও অমানবিক মনে হয় না সবই সমাজ বা ক্ষমতার করণে তৈরী হয় বা বাধ্য হয়ে । ভোলাতে কিছু গ্রাম আছে মানুষ এত দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে যে পুষ্টির অভাবে মরে যাবার অবস্থা অথচ আজ আমি আপনি প্রতিদিন শিল্প ভাবচ্ছি । মুক্তির আনন্দ কোন কোন সময় অপরাধ তৈরী করে -আর অপরাধী হয়ে যারা পার পেয়ে যাচ্ছে তারা জানেও না কি কঠিন শাস্তি তার পাপ্য ছিল । একজন প্রাইভেট কলেজ বা ভার্সটিটির ছাত্র তার শিক্ষা শেষ করে সরকারী জব করতে পারে না , অথচ সে সরকারকে ভেট দিয়ে পড়ছে আর যে ভেট দিয়ে পড়ছে না অথাৎ সরকারী কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় তার জব দ্রুত হচ্ছে ! আমি এটা বলবো সবাইকে তার কর্মক্ষেত্র্রের যোগ্যতা প্রমানের সুযোগ দেয়া হোক । সরকারের এ কাজ সামাজ্যবাদীতার চেয়ে কোন অংশে কম নয় ! আপনি যার থেকে খাচ্ছেন তাকেই মূল্যায়ন করছেন না আপনার চেয়ে বেইমান আর কে আছে, বলুন? একই দেশে থেকে যখন দেখবেন আপনি নামে মাত্র নাগরীক তখন আর ভাষা আন্দোলনের উল্লাস কি বা স্বাধীনতা দিবসই কি -এমন বিজয় কোন দিন চাইনি হয়তো । টাকশালের কবলে পড়ছে মানুষ, শিক্ষা ,বিবেক আর কবিতারা বরীন্দ্রনাথের মত সাজাহান কে নিয়ে যখন মমতাজ মহল নিয়ে কবিতাটা ! অপরাধ করে টিকে গেলেই সে বিজয়ী -আর না টিকতে পারলে দেশদ্রোহী । সবই আজ সুদ্ধ চর্চার ফসল -, আমাদের শেখাচ্ছে বাবা সুন্দর হও টিসু ব্যাবহার করো , টুথপেস্ট ব্যাবহার করো আর আইপিএল ম্যাচ দেখ ওখানে সাকিব খেলছে ! বাবা আরবী পড়ো,দর্শন পড়ো,আইনট্রান পড়ো,পিথাঘুরাস পড়ো,ইংরেজি পড়ো এই যে এত এত পড়া তাতে কোনটায় মুক্তি ? শিক্ষাতে হল বানিজ্য, দূর্নীতি,প্রশ্ন পত্রফাস এটা ক্ষমতাবানদের জন্য পজেটিব ! তার কারণ আপনাকে যতটা মানুষিকভাবে অসুস্থ রাখতে পারবে ততক্ষন আপনি স্বামীন চিন্তে করবেন ,সুন্দর চিন্তে করতে পারবেন না মনের মধ্য সব সময় একটা ক্ষত বিষের মত বাজতে থাকবে । তবুও ভালো শিক্ষার দায়বার আমাদের পরিবার পুড়োপুরি নিয়েছে সরকার নেয়নি সরকার নিয়েছে বিষেশ বিষেশ দিন উৎযাপনের দায়িত্ব যেদিন বন্ধ থাকে আর সবাই বাসায় নাক ঢেকে ঘুমায় আর তারা পতাকা নিয়ে লাফায় । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ চিন্তে করবেন --শুভরাত্রি ।

লেখক: মানুষ আজিজ,ধানমন্ডী ।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য

লিখেছেন মিশু মিলন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৩৪

আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×