কাশু বাটপার ও দু ,ভাইয়ের গল্প ( পাড়ার গল্প)
কাশুরা তিন ভাই সবাই বাটপার । বাটপার ভালো বাংলা হলো লোক ঠকিয়ে যারা চলে। আগে ওদের বাবাও বাটপার ছিল। ওরা সব সময় মিত্ তা কথা বলে। পাড়ায় পাড়ায় ঝগড়া লাগানোই ছিল ওদের কাজ। পাড়ার মানুষজন ওদেরকে এড়িয়ে চলতো , যার কারনে এদের অতিষ্টতাও এক সময় কমে এলো । ওরা তিন ভাই দুপুর থেকে সন্ধেঅব্ধি এ পাড়া,ও পাড়া ঘুরতো ঝগড়া বাধানোর jonno । এমন হলো ওদের দেখলেই সাধারন মানুষ দৌড়ে পালাতো আর বলতো ঐ দেখ বাটপার আসচ্ছে ঝগড়া বাধাতে । ওদের কারণে এলাকায় বিয়ে হতে পারতো না, বিয়ের jonno কেউ এলে মন্দকথা বলে বিয়ে ভেস্তে দিত যেহেতু onno এলাকার লোক ওদের সম্পকে ধারনা নেই । বা কারো বিয়ে হলে , আঁশে পাশে তিন ভাই ওঁত পেতে থাকতো, নতুন বউ বা বরকে বলে দিত তোমাকে ওরা ঠকিয়েছে ,তুমি যাকে বিয়ে করছো ওর আগে বিয়ে হয়েছে বা চরিত্র ভালো না ।
বাটপার তিন ভাই বড় ভাই আদম আলী, মেঝো জন কাশেম আলী(কাশু) ছোট ভাই হাশেম আলী। এদের এইসব কাজের protibad করতে পারতো না, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান ওদের ফুপা ছিল । এক সময় ওদের কারণে বিয়ের আয়োজন onno জায়গায় হতো। বড় jatri বা কনেদের আগেই সাবধান করে দিত ওরা জীবন্ত পিশাচ ওদের কথা বিশ্বাস না করতে।
এরপর অনেকদিন গেলো , একদিন আমি স্কুলে যাচ্ছিলাম । এক লোককে দেখি ওরা তিন ভাই আটকিয়ে রাখছে । ঐ লোকের অপরাধ ঐ লোক ওদের ফাকা জমির ওপর দিয়ে হেটে যাচ্ছিলো ।লোক কে দেখে মনে হলো onno এলাকার লোক। ওদের ফাঁকা জমি দিয়ে হাঠার অপরাধে ঐ লোকের কাছে দু,হাজার টাকা দাবী করলো ।
এমন অনেক গল্প আছে ওদের । আমিও এলাকা ছাড়লাম। অনেকদিন পর যেয়ে দেখি ওরা তিন ভাই পরিবর্তন হয়েছে , পরিবর্তন ওদের পোষাকেও । ওদের মুখ দাড়ি, কপালে নামাজের কালো দাগ, সাদা লম্বা পান্জাবি। একটা মসজিদ ও এতিম খানা করেছে ওরা এ নাম করে নানা জায়গায় সাহায্য তুলে। মানুষের একটু শস্তী হলো , কতটা ভয়ানক ছিল ওরা ।