somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহানবীর পরিবার ! আহলে বায়্‌তে রসুল ! কিশ্‌তিয়ে নুহ্‌ ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হযরত আবূ যর রদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত , তিনি পবিত্র কা'বা ঘরের দরজা হাত দিয়ে ধরা অবস্থায় বলেন , আমি নবীয়ে পাঁক সাল্লাল্লাহু তা'আলা আলাইহিস সালাম কে বলতে শুনেছি , তোমাদের মধ্যে আমার আহ্‌লে বায়তের দৃষ্টান্ত হযরত নূহ আলাহিস সালামের জাহাজের মত । যে এতে আরোহন করেছে সে মুক্তি পেয়েছে, আর যে এটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে , সে ধ্বংস হয়েছে ।
[ মুসনাদে ইমাম আহমদ : সুত্র : মিশকাত শরীফ ৫৭০ পৃষ্ঠা ]

বর্ণনা কারীর নাম জুনদুব ইবনে জুনাদা । উপনাম 'আবু যর' সমাধিক পরিচিত । গিফার গোত্রের লোক হিসেবে তাকে আল গিফারী বলা হত । ইসলামের সুচনালগ্নেই তিনি ইসলাম গ্রহন করেন । সিরাতের কিতাব সমুহে তাঁকে পঞ্চম সনে তিনি মদীনা মুনাওয়ারায় আগমন করার পর সর্বক্ষন রাসুলে পাকের সহচর্যে থাকতেন । যাতুর রিক্বা যুদ্ধে যাত্রাকালে নবী করিম তাকে মদিনা শরিফের আমির নিযুক্ত করেন । একজন সাধক , পন্ডিত পাশাপাশি মিতব্যয়ী ও সংযমী হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল ।তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিতে পুঁজিবাদী অর্থনীতির চরম বিরোধীতা পরিলক্ষিত হয় । তিনি রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম থেকে সর্বমোট ২৮১ টি হাদীস বর্ণনা করেন ।তিনি ইসলামের বহু খিদমত আনজাম দিয়ে পরিশেষে হযরত উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহূর খিলাফত আমলে হিজরি ৩২ সনে ৮ যিলহজ্ব ইনতেকাল করেন ।


প্রসংঙ্গিক আলোচনা
হযরত নূহ আলাইহিস সালাম 'র যামানার তুফান ইতিহাস বিখ্যাত এক ঘটনা । নূহ আলাইহিস সালাম'র প্রতি অবাধ্য লোকেদের কে শান্তি প্রদানের লক্ষে মহান রাব্বুল আলামীন সেই তুফান রূপী আযাবের ব্যবস্থা করেছিলেন । পাশাপাশি অনুগত উম্মতকে পরিত্রান প্রদানের লক্ষে একটি জাহাজ নির্মানের নির্দেশ দিয়েছিলেন ।স্বীয় নবীকে । যথারীতি জাহাজ তৈরি শেষ হলে রজব মাসের দুই তারিখে প্লাবণ আরম্ভ হয় । অনুগত উম্মত আর দুনিয়ার যাবতীয় পশু-পাখীর এক জোড়া করে এবং বিভিন্ন প্রকার ফল-মুলের গাছের চারা ঐ জাহাজে উঠান হলো। সে দিন যারা হযরত নূহ আলাইহিস সালামের সেই জাহাজে আরোহন করেছিলেন বা করার সুযোগ পেয়েছিলে তারা মুক্তি পেয়েছিল পক্ষান্তরে যারা এতে আরোহন করেনি তারা জ্বলোচ্ছাসে ডুবে মরেছিল । এমন কি ঐ ডুবন্তদের মধ্যে হযরত নূহ আলাইহিস সালাম'র এক স্ত্রী ও পুত্র কোনানাও ছিল । কারন তাদেরকে বারবার বলার পরও জাহাজে আরোহন করেনি ।দীর্ঘ ছয়'মাস পর তুফান শেষ হল আর অবাধ্যরা ধ্বংস হয়ে গেল ।

হযরত নূহ আলাইহিস সালাম'র উম্মত যেমন তুফান এসেছিল শেষ যামানার উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম এর উপর তুফান আসতে পারে এটা নিশ্চিত জানতেন রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম ।তবে হযরত নূহ আলাইহিস সালামের উম্মতের তুফানটা ছিল বাহ্যিক তথা প্রকাশ্য ; কিন্তূ উম্মতে মুহাম্মদী উপর তুফানটা হবে অপ্রকাশ্য । তাদের ঈমান আক্বিদার উপর বয়ে যাবে সেই মহাপ্লাবন । সে প্লাবনের শ্রোতে হরিয়ে যাবে অনেকের মুল্যবান ঈমান । তাই আনেক আগেই পবিত্র হাদীস শরীফের বানীতে উম্মতে মুহাম্মদীর ধ্বংসাত্বাক তুফান হতে মুক্তির ঠিকানা ও দেখিয়ে গেছেন দয়ালনবী রহমাতুল্লিল আলামীন সরকারে দু'আলম মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ষাল্লাম ।নবী করীম ইরশাদ করেন । প্লাবন হতে রক্ষা কল্পে হযরত নূহ আলাইহিস সালাম যেমন মুক্তির জাহাজ নির্মান করেছিলেন তেমনি আমি আমার বিপদগ্রস্ত উম্মতের জন্য মুক্তির জাহাজ তথা আমার আহলে বাইতকে রেখে গেলাম। আমার আহলে বাইতের সাথে যাদের সম্পর্ক থাকবে তারা মুক্তি পাবে ।

আহলে বায়্‌তের সংক্ষিত পরিচিতি

প্রখ্যাত সাহাবী আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এবং তাবে'ঈ হযরত মুজাহিদ , হযরত ক্বাতাদাশ অন্যান্য মুফাস্‌সিরের মতে আহলে বায়ত বলতে 'আলে আবা'( চাদরাবৃত) কে বুঝানো হয়েছে । এখন প্রশ্ন 'চাদর আবৃত 'কারা ? তার বর্নণা অন্য একটি হাদীস শরীফে এসেছে -উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ননা করেন , একদা রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম ভোর বেলায় তাঁর হুজরার প্রবেস করলেন । ঐ সময় তর দেহ মোবারকে কলো নকশা বিশিষ্ট চাদর ছিল । কিছুক্ষন পর ফাতিমা আসলে নবীজি তাঁকে চাদরের ভেতরে অন্তর্ভুক্ত করে নেন । এরপর আসলেন আলী । নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম তাকেও চাদরের ভিতর প্রবেশ করালেন । অতঃপর হাসান-হুসাঈন উভয়ে আসলে তাঁদেরও চাদরে আবৃত করে নিলেন আর পবিত্র কোরআনের আয়াত তিলাওয়াত করলেন ।

এই আয়াতের দ্বিতীয় অংশ ইন্না মা উরিদুদুল্লাহ থেকে --

অর্থাৎ হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। অতঃপর দো'আ করলেন -

''আল্লাহুম্মাহুয়া আহলুল বাইতে ওয়া খাস্সাতি ফাঝিব আনহুম রিজছা ওয়া তাহহির হুম তাহি রা ''
অর্থাৎ হে আল্লাহ ! এরাই আমার আহলে বাইত এবং ঘনিষ্ঠজন । আপনি এডের থেকে অপবিত্রতা দুরীভুত করূন আর এদেরকে পরিপুর্নভাবে পবিত্র করূন । কেউ কেউ বলেন এই দো'আ করার পরই উল্লেখিত আয়াত অবতির্ন হয়েছিল ।

আহলে বায়তের মুহাব্বত নবীজীর সুন্নত
হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহূ হতে বর্নিত , উল্লেখিত আয়াত নাযিল হবার পর হতে নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম হযরত খাতুনে জান্নাতে মা ফাতেমাতুয যাহরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার ঘহরের পাশ দিয়ে যাবার সময় বলতেন আস্‌সালামু এয়া আহলাল বাইটি ওয়া ইউত্বাহহিরুকুম তাতহীরা । হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মতে এই আমল সাতদিন পর্যন্ত জারি ছিল ।

আহলে বায়তের প্রতি মহব্বত মুক্তির পথ
হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন , আমি বিদায় হজ্বে আরাফাতের দিন হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু তাআলা আলাইহিস সালাম কে ' ক্বাসওয়া নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহনরত অবস্থা বলতে শুনেছি -
হে লোকেরা ! আমি তোমাদের মধ্যে যা রেখে যাচ্ছি যদি তোমরা তা দৃঢভাবে ধারন কর তাহমে পথভ্রষ্ট হবে না । তা হল আল্লাহর কিতাব এবং আমার বংশধর তথা আহলে বায়ত।
[ তোরমিযী শরীফ , মিশকাত শরীফ -৫৬৫ পৃষ্ঠা ]

হযরত আবু বকর সিদ্দিক্ব রাদ্বিয়াল্লাহউ আনহু বলেন -ঐ সত্ত্বার ক্বসম ! যাঁর হাতে আমার প্রান । আমার নিকট আমার আত্বীয় অপেক্ষা নবী-ই-কিমের আত্বীয় অধিক প্রিয় ।
[বুখারি শরীফ ]
এভাবে আরো ব হু রেওয়ায়াত আছে । যে গুলো দ্বারা প্রমানিত হয় যে হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মার অন্তরে আহলে বাইতের প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেন ।

একদা হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাঁর চাদরের আঁচল দ্বারা ইমাম হুসাইন রাদ্বোয়াল্লাহু তা'আলা আনহু'র চরণ যুগল হতে ধুলাবালি মুছে পরিস্কার করে দিচ্ছিলেন , এতে একটু বিচলিত হয়ে হযরত ইমাম হোসাঈন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন , ওহে আবু হুরায়রা আপনি একি করছেন ? হযরত আবু হোরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন , হে সাহেবজাদা ! আমাকে ক্ষমা করূন । আপনার পদমর্যাদা সম্পর্কে আমি জানি লোকেরা যদি তা জানতো তাহলে তারা আপনাকে কাঁধে নিয়ে ঘুরাফেরা করত।
এভাবে নবী বংশের সদস্যদের মর্যাদা যুগে যুগে মহামনিষীদের নিকট স্বিকৃত ছিল । বড় বড় মুহাদ্দিস , ফক্বীহ , মুফাসসির, কবি-সাহিত্যিক আর ইতিহাসবিদগন তাঁদের ক্ষুরধার লেখনীতে তার নমুনা উপস্থাপন করেছেন স্ব -স্ব গ্রন্থে ।
ইতিহাসবেত্তাগন লিখেছেন , খলিফা হিশাম ইবনে আবদুল মালেক যখন হজ্বে গমন করলেন , তখন তিনি আসওয়াদ চুম্বনের জন্য প্রানপন চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন মানুষের প্রচন্ড ভিড়ের করণে । মনে মনে কিছু ক্ষোভ আর অভিমানে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন । আর তার সাথে ছিল সিরিয়ার একদল মানুষ । এমন সময় আওলাদে রাসুল ইমাম জুনুল আবেদিন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাওয়াফ এর জন্য যেই মাত্র হাজরে আসওয়াদের দিকে আসলেন তাওয়াফ কারী মানুষরা আপনা আপনিতে জায়গা খালি করে দিলেন আর তিনি সহজেই হজরে আসওয়াদ চুম্বন দিলেন । এ অবস্থা দেকে জনৈক সিরিয়াবাসী বলল , তিনি কে ? যাকে মানুষ এতো সম্মান করছে । অথচ খলিফার প্রতি এতটুকু কেউ শ্রদ্ধা দেখাচ্ছে না ? খলিফা চেনার পরও বললেন , আমি টাকে চিনি না । তখন ঐ জায়গায় আরবের একজন প্রসিদ্ধ কবি ফরযদক্ব হাযির ছিলেন । তিনি অনেকটা প্রতিবাদী কন্ঠে কাব্যকারে বলে ওঠলেন --

হাজাল্লাজি তাআরিফু বাতাহাউ ওয়া তৌআত
ওয়াল বাইতু ইয়ারিফাহ ওয়াল হিল্লু ওয়াল হারাম ।
অর্থাৎ তিনিতো ঐ ব্যাক্তিত্ব , যাকে মক্কার উপত্যকা এবং তার ধুলাবালি চিনে ।
বাইতুল্লাহর হিল্ল এবং হেরেম শরীফও যাকে চিনে ।

এরপর আরেকটা পংক্ত্তিতে বলেন , তিনিই ফাতেমাতুয যাহরার পুত্র যদি জান তাহলে জেনে নাও তাননর মাতা মহ খাটামুন নবীয়্যীন ( শেষ নবী)
পবিত্র ক্বোরআন-সুন্নাহর অসংখ্য দলিল দ্বারা প্রমানিত রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম -এর নিকটাত্বিয়দের ভালবাসা উম্মতের ওপর ওয়াজিব । এ পর্যায়ে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে ।
'' কুল লা আসআলুকুম আলাইহে আজরান ইল্লাল মুয়াদ্দাতা ফিল ক্বুরবা ""
আল্লাহ তা'য়ালা বলেন হে রাসুল ! আপনি বলুন হে মানুষ আমি তোমাদেরকে ( পথ প্রদর্শন ও ধর্মপ্রচার)-এর বিনিম্যে তোমাদের নিকট হতে আমার আত্বীয় (বংশধরদের প্রতি মুহাব্নত ছাড়া ) অন্য কোন প্রতিদান চাই না ।
এই আয়াতে করিমা নাযিল হবার পর সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন , এয়া রাসুলাল্লাহ ! আপনার আত্বীয় কারা , যাদের প্রতি ভালবাসা , সৌহার্দ্য আমাদের উপর ফরয করা হয়েছে? নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করলেন । তারা হল আলী, ফাতেমা, আর তাদের সন্তানদ্বয় ।
[যারক্বানী আলাল মাওয়াইক্বে মুহরিক্বা ]
হযরত আল্লামা কাযী সানা উল্লাহ পানীপতি রাহমাতুল্লাহ আলাইহির উস্তাদ মির্যা মাযহার জানে জাঁনা রাহমাতুল্লাহে আলাইহি বলতেন । আহলে বায়তের প্রতি ভালবাসা ঈমানের ভিত্তি । ঐ মহাত্বাগণের ভালবাসা ব্যতিত আমার কোন আমলই নাজাতের উসিলা নয় ।
তিনি আহলুল বায়তের প্রতি মুহাব্বতের কারনে সৈয়দজাদাদের প্রতিও অগাধ সম্মান প্রদর্শন করতেন । এমনকি পাঠদানের সময় যদি আশ-পাশে আওলাদে রাসুলের কোন ছোট শিশুকে খেলাধুলা করতে দেখতেন সাথে সাথে তিনি দাড়িয়ে তাদেরকে সম্মান করতেন এবং যতক্সন তাঁকে দেখা যেত ততক্ষন দাড়িয়ে থাকতেন ।
(আখবারূর আখতার পৃষ্ঠা ২৪১)

যুগশ্রেষ্ট ইমাম ও মুফাসসিরগন যদি আওলাদে রাসুলকে এভাবে সম্মান করেন তাহলে আমাদের কি করা উচিত টা ভেবে দেখা দরকার । অধিকন্ত ফিৎনা-ফ্যাসাদের এই সময়ে আমাদের ইমান-আক্বিদাকে মজবুত করার জন্য এবং গোমরাহী থেকে বেচে থাকার অন্যতম ওসীলা হল আওলাদেগন দ্বীন ও মাযহাবের দায়িত্ব নিয়ে মানবজাতিকে হিদায়তের নিরলস খিদমত আনজাম দিয়ে যাচ্ছেন । তাদের সান্নিধ্য যারা অর্জন করতে পারবে নিঃসন্দেহে তারা সৌভাগ্যবান । পক্ষান্তরে যারা সুযোগ পাওয়ার পরও এ নিয়ামত হাতছাড়া করে ফেলেছে তারা হতভাগা । অবশ্য, যদি কেউ নিজেকে আওলাদ-ই-রাসুল বলে দাবি করে , অথচ বাতিল আক্বিদার অনুসারী এবং শরীয়তের বিধি-বিধান মেনে চলে না , তাকে সংশোধন করাই হবে তার পতি সম্মান দেখানো । তাকে নির্বিচারে সম্মানের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরী । যদি তারা সংশোধন না হয় তবে 'আহলে বায়ত' এর ব্যক্তিবহির্ভুত বলে বিবেচনা হবে । আল্লাহ্‌ পাঁক রাব্বুল আলামীন আমাদের সবাইকে আওলাদে রাসুলের সাথে সম্পর্ক রেখে জাগতিক ও পরলৌকিক নুক্তি অর্জনের তাওফিক দান করূন । আ'মিন ।


৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×