
রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় যখন বাড়ির সদর দরজা দেখিয়ে বলেছিলো ওই পথেই তোমার গন্তব্য,
সেদিন কাঁপা আবেগে মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল।
পথটা দূর্গম দুর্ভেদ্য হলেও শেষ অব্দি বেঁচে থাকার ঠিকানা হারিয়ে যায় নি।
জিপিএ কম বলে ক্লাসের ভালো ছাত্ররা প্লাস্টিক হাসি দিয়ে যখন বলেছিলো ওই পেছনের বেঞ্চেটাই তোমার ভবিষ্যৎ,
সেদিন বোবা আক্ষেপে হ্নদয় ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়েছিল।
অনাদর অবহেলায় পেছনের বেঞ্চে স্থান হলেও শেষ অব্দি ভবিষ্যৎটা পিছিয়ে যায় নি।
জাঁদরেল প্রকাশক মহোদয় যখন দাঁত খিচিয়ে বলেছিলো তোমার কবিতার যোগ্য জায়গা মোড়ের ওই ডাস্টবিনটাই,
সেদিন নীরব বিলাপে পা দুটো পাথর হয়ে পড়েছিল।
বিরক্তি বিদ্রুপে জাঁদরেল মহোদয় ফিরিয়ে দিলেও শেষ অব্দি প্রাণের কবিতারা মরে যায় নি।
২২ বছর বিবাহিত জীবনে অর্ধাঙ্গিনী যখন ভালোবাসার হাতটা সরিয়ে নিয়ে পাশের বাড়ির দালান দেখিয়ে বলেছিলো তোমার সোহাগ চাই না আমার ওই দালান চাই,
সেদিন চোখের ভারী বর্ষণে আসমান জমিন এক সমুদ্র হয়ে পড়েছিল।
ক্ষোভ দুঃখে অর্ধাঙ্গিনী ছেড়ে গেলেও শেষ অব্দি মনে পুষে রাখা ভালোবাসাটা ছেড়ে যায় নি…
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৪৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



