চট্টগ্রাম মানববন্ধন, ১৩.০১.২০১১
অনেক ব্লগার ব্লগে গত কিছুদিন চিল্লাচিল্লি করছে যে বিএসএফ'র হত্যাকান্ড নিয়ে মানববন্ধন করে কি লাভ। মানববন্ধনে কি হবে। এ জাতীয় অনেক কথা। এছাড়া মানববন্ধনকে একটি বিশেষ দলের ট্যাগ লাগানোর জন্য আপনারা যে পরিমান কি বোড থাপড়াইছেন বাংলাদেশী তরুনরা তা ভুলে গেলেও ইন্ডিয়া আপনাদের অবদান কোনদিন ভুলবেনা।
যাক ক্যাচালীয় কথা। মানববন্ধনে কি হয়। কিছুই হয়না আবার অনেক কিছুই হয়। আমাদের মানববন্ধন বৃথা যায়নি। আমাদের চট্টগ্রামের বিপ্লবী ভাইয়েরা ১০ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ১৫-২০ জন ব্যানারসহ চট্টগ্রামের খুলশীর ইন্ডিয়ান দূতাবাসের সামনে দাড়িয়ে যে আন্দোলনের সুচনা করেন সেটা ২১ তারিখ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে চুড়ান্ত রুপ পায়। এর আগে ১৩ জানুয়ারী চট্টগ্রামের মানববন্ধনের পর সরকারের টনক নড়ে। তারা মানববন্ধনের ঠিক ৪ দিন পরে ১৭ তারিখ ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনার রজিত মিত্রকে ডেকে ফেলানি হত্যার কড়া প্রতিবাদ জানায়। আমাদের প্রথম সফলতা। আমরা সেই সফলতায় থেমে যায়নি। দোষী বিএসএফ'র সদস্যদের শাস্তি এবং ভবিষ্যতে যাতে হত্যাকান্ড ন ঘটে সেজন্য ২১ তারিখ ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে আবারো প্রতিবাদী মানববন্ধনের ডাক দিই। আর সে মানববন্ধনের ঠিক ২ দিন পর আজকে ভারত সরকার ফেলানী হত্যার ঘটনায় দোষী ২ বিএসএফ সদস্যকে সাসপেন্ড এবং ওই সীমান্তে সব সদস্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
ঢাকার মানববন্ধন(২১.০১.২০১১)
আমরা কোন ক্রেডিটের জন্য বা বাহবা কুড়ানোর জন্য এই আন্দোলনের ডাক দিই নাই। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রধানত ২ টি। জাতীয় এই ক্রন্তিকালে সব মত পথের তরুনদের মধ্য বিভক্তি ভুলিয়ে সকল তরুনকে একই কাতারে সামিল করে আগ্রাসী অপশক্তিকে চ্যালেন্জ করা এবং সকল প্রকার অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে তরুন সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করা।
আমরা যে সফলতা এই আন্দোলন থেকে পেয়েছি তার সার্টিফিকেট বা স্বিকৃতি ব্লগের কিছু সুশীল লোকজন না দিলেও প্রখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ব্র্যাড অ্যাডামস ঠিকই আমাদেরকে তার কথায় সাপোর্ট করেছেন। তিনি আজকে বলেন, বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটবে সেখানে মানুষ সোচ্চার হলে তার কিছুটা হলেও প্রতিকার পাওয়া যাবে।
মি: অ্যাডামস আমরা সামান্য হলেও প্রতিকার পেয়েছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


