পালিয়ে বিয়ে করলেন শায়না , এটা এখন মিডিয়ার অন্যতম আলোচিত ঘটনা। শায়না মূলত মিডিয়ায় ব্যপক পরিচিতি পায় বিতর্কিত "মেহেরজান" ছবির মাধ্যমে। মেয়ের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণে মুষড়ে পড়েছেন বাবা-মা। মেয়েকে নিয়েই অনেক স্বপ্ন দেখতেন বাবা। মেয়ে একদিন অনেক বড় অভিনেত্রী হবে। জয় করবে চারদিক। বাবা হিসেবে তখন গর্ববোধ হবে। আর মা সবসময়ই যেন শায়নার বন্ধু। মেয়ের সব বিষয়েই তিনি জানেন, বোঝেন। মেয়ে কোন পোশাক পরবে, কার নাটকে, কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করবে, বিজ্ঞাপন কোনটি করবে। বাবা-মা সবসময়ই এসব বিষয়ে শায়নার পাশে ছিলেন। তার বাবার ভাষায়, এসবের বিনিময়ে আমাদের এত ভালবাসার প্রতিদান স্বরূপ শায়না আজ দিয়েছে শুধুই দুঃখ, যন্ত্রণা এবং কান্না। বেশ দুঃখ নিয়ে শায়নার বাবা আরও বলেন, মেয়ের মিডিয়ার প্রতি ছিল অনেক ভালবাসা। তাইতো আজ প্রায় পাঁচ-ছয় বছর ধরে এ অঙ্গনেই ওকে নিয়ে ঘুরেছি। ওর হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছবি জমা দিয়েছি, কথা বলেছি বিজ্ঞাপন নির্মাতা-এজেন্টদের সঙ্গে। সেখানে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাও করেছি। সবসময় ভয় হতো মেয়ে মিডিয়ায় যেন কোন মুখরোচক কাণ্ড করে না বসে। আর সে মেয়েই কিনা! যাই হোক আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারবো না। ওর বুদ্ধিতেই ও বিয়ে করেছে। যা জিজ্ঞেস করার ওকেই জিজ্ঞেস করুন। তবে আসল ঘটনা হলো- পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছেন মেহেরজান খ্যাত নায়িকা শায়না আমিন।(মানবজমিন)
ঠিক এমন পরিনিতি হবে ভেবে আমার এক কাজিনকে ওর আত্নহত্যার হুমকির পরেও আমরা মিডিয়ায় যেতে দেয়নি। তবে সে কাজিন প্রভার ঘটনার পর এমনিতেই চুপসে গিয়েছিল। যাহোক শায়ানা এক্ষেত্রে নতুন নয়। এর আগে তারিন সোহেল আরমানকে নিয়ে, আঞ্জাম মাসুদ রুমানাকে নিয়ে সহ আরো প্রচুর পালিয়ে যাওয়া বিয়ের ঘটনা মিডিয়া জগতে হয়েছে। আর সংসার ছাড়াছাড়িতে আমাদের শোবিজ তারকারা রীতিমত হলিউড এর সাথে পাল্লা দিচ্ছে। প্রাচীন সুবর্না থেকে হালের অপি করিম পিছিয়ে নেই কেউ। আগে বলা হত টেলিভিশন মিডিয়া তুলনামুলক অনেক পরিচ্ছন্ন। কিন্তু এখন বলা যায় সিনেমা মিডিয়া বরং টেলিভিশন থেকে পরিচ্ছন্ন।
বলা হয় মিডিয়া জাতীর দর্পন। তাদের থেকে মানুষ অনেক কিছু শিখে। অনেকে তাদের মধ্য কাউকে আবার নিজের আইকন বানান। কিন্তু আমাদের মিডিয়ার বর্তমান এই নোংরামি থেকে আমাদের প্রজন্ম কি শিখছে? অবশ্যই নেতিবাচক শিক্ষা পাচ্ছে। আমি আরো কিছু লেখায় বোধহয় আমার কাজিনের ব্যাপারটা বলেছি। সে যথেষ্ট প্রতিশ্রুতিশীল এবং মেধাবী ছিল মিডিয়া জগতের জন্য। কিন্তু আমরা খুব ভাল করে জানতাম এখানে শত চেষ্টা করেও কাউকে রক্ষা করা যাবেনা। তাই আমরা শায়ানার বাবা-মার পথে যায়নি। শুরুতে তাকে থামিয়েছি। সুতারাং আসুন মিডিয়ায় নিজের এবং সন্তানের পরিচয় লাভের থেকেও নিজেদের মর্যাদার কথা ভেবে এ জগত থেকে নিজেদের সন্তান এবং রিলেটিভদের বিরত রাখুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭