শ্রদ্ধেয় অমর আত্মার মৃত্যু তখন ই ঘটে, যখন দেশ,দেশের মর্যাদা, দেশের মানুষ ও এক এক ধর্মের সাথে অন্য ধর্মের পার্থক্য যারা তৈরি করেন !
-------------------------------------------------------------------------------------------------
- গিয়েছিলাম ব*লটা কাটতে এমন কাটা দিলাম, এমন কাটা দিলাম ধনটাই কেটে দিলাম !
- লে হালুয়া !
- চমৎকার করেছো উৎপল শুভ্র !
- তোমাকে দেশের বাইরে আরও কয়েকটা ম্যাচের এসাইনমেনট দিলাম !
- ( ইনটারমিশন )
- মতি দা ! পাবলিক তো আমাকে গণ চো* দিচ্ছে !
- আরে বাছা ! এ আর এমন কি ! আজ্ঞে বলি সুনীল ভাটিয়া তো আমাদের পত্রিকা উন্নয়ন ও কলবর বৃদ্ধির জন্য বেশ ! বেশ ভাল দিয়েছে । বলি! কিছু দিন ওপার বাংলায় থেকে এসো ! সব ঠিক হয়ে যাবে । পাবলিক সেন্টিমেনট ।
- জাফর (ইকবাল) আর আনিসুল (হক) আছে না , সম্পাদকীয় তে দুটা ক্লমে লেখে দেবে ! নে বাবা , প্রথম আলোর পুঙ্গি বাজাতে কেউ আসবে না ! পাঠকদের মজনু বানায়া দিবে ! আরে! আমরা বদলে দেই না ! শুভ্র ! এটা কোন ব্যাপার ই না।
- কিন্তু মতি দা !
- আরে, দেখেলে না, আনিস ( উল হক ) কোরআন এর আয়াত বিক্রিত করে কলাম লিখেছিল । পরপরই, দিলাম, ঘাচাং করে ছেপে দিলাম “ হাসনাতের ( হাসনাত আব্দুল হাই) “সেই মেয়েটি” শাহবাগের সেই অগ্নি কন্যা ! পরের দিন দুঃখিত বলে দিলাম ! মানুষ খুব সহজ ভাবে নিল ! আর এতো “মিনোজ বাংলাদেশ ক্রিকেটের আশরাফুল”
- কিন্তু, আজ্ঞে মাননীয় কৃষি মন্ত্রী মতিয়া আপা তো বলে বসল, “ প্রথম আলুর, কাজ ই এটা- আজকে খুব বড় করে ছাপিয়ে পরের দিন দুঃখিত বলবে !
-
( ভাবনা কাল্পনিক ! কারো মনে দুঃখ পেলে আমার কোন ক্ষতি নেই । একটা তদন্তানাধীন রিপোর্ট ছাপার সাহস পায় কৈ ? পেইজ মেকার ই বা কি করে প্রথম পেইজে এই নিউজ টি দেয় অতি মনোরঞ্জন করে । এই প্যাপারে প্রতি ক্ষোভ কেন ই বা থাকবে না, সে ১৯৯৯ সালে, সেহেরি খেয়ে মসজিদ থেকে নামাজ পরে আব্বার সাথে বাসায় না গিয়ে, অনেক দূর হেটে সূর্যের আলো ফোঁটার আগে কিনতে যেতাম ( আলপিনের জন্য), খেলার খবরের জন্য, কিন্তু তারা একের পর এক যা করছে আর মেনে নিতে পারছি না । দৃষ্টি কিন্তু স্লো পয়জনের মত মনে হচ্ছে )
আচ্ছা, শুনেন কিছু কিচ্ছার কথা !
- শেন ওয়ার্ন ম্যাচ পাতানোর দায়ে কোথায় ধরা পড়েছিলেন ? - মুম্বাইতে
- হার্শেল গিবস কোথায় ম্যাচ পাতিয়ে ধরা পড়েছিলেন ? –মুম্বাইতে
- ওয়াসিম আকরাম এর সাথে কোন বুকির যোগাযোগ ধরা পড়েছিলো ? - মুম্বাই ভিত্তিক ডন ছোটা শাকিলের সাথে।
- আযহারউদ্দিন , জাদেজা এর সাথে কোন দেশী বুকিদের যোগাযোগ ছিলো ? - ভারতীয় বুকিদের
- আইপিএল , বিপিএল , শ্রীলংকার এসএসপিওএল এ কোন দেশী বুকিরা জড়িত ? - ভারতীয়
আইসিসি , এইসব বালছাল তদন্ত - শাস্তি এইসব বাদ দিয়ে ভারত নামক দেশটাকে ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করুক, দেখবেন সব ঠিক হয়ে যাবে। ক্রিকেট আবার কলঙ্কমুক্ত হবে। যত নষ্টের গোড়া এই ইন্ডিয়া।
সমাজের সর্বর্ত্র দুর্নীতি, অসততা ছড়িয়ে পরছে ... দেশের টপ টু বটম কে দুনীতি করে না?... আজ যে আশরাফুলদের গুষ্টি আমার উদ্ধার করতেছি পারলে মিয়ারা সব করাপটেদ পারসনদের ওপেন গালি দেন তো, দেখি মিয়া আপনাগো হেডম কত!!... যেই খানে দেশের সব জায়গায় অসততা কান্সারে রূপ
নিছে ঐখানে এক দুই জন ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সবসময় সততার দেবতা থাকাটা আসা করেন কামনে?... আজাইরা ...
কিছু গল্প মনে করিয়ে দেই??
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে । বিপক্ষ দলে আছেন মুরালিধরন , চামিন্দা ভাসের মতন বাঘা বাঘা বোলার । তরুণের বয়স মাত্র ১৬ । একে তো "মিনোজ" বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় , তার ওপর অভিষেক ম্যাচ । যেকোনও পাকা জুয়াড়ি এই নিয়ে বাজি ধরতে রাজি হবেন যে তরুন ২০ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরবেন ।এই তরুন আশরাফুল করেছিল ১১৬ রান ।
২০০৫ কার্ডিফ । ট্রাই নেশন সিরিজে বাংলাদেশ বনাম অস্টেলিয়ার খেলা চলছে । কমেন্ট্রিবক্সে ইতিহাসের বিরলতম এক দৃশ্যর অবতারনা হল । এক কমেন্টেটর আরেক কমেন্টরের মাথায় ফাইল দিয়ে বাতাস করছেন , আর সেই কমেন্টেটর ঘামতে ঘামতে সুরা কালাম পড়ছেন !যে বাতাস খাওয়া কমেন্টেটরের নাম আতাহার আলি খান ।অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে এতটাই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি যে এরকম অবস্থাই হয়েছিল ।সেই অবস্থাটুকু বানানোর মুল কারিগর মোহাম্মদ আশরাফুল ।
চট্টগ্রাম , প্রতিপক্ষ ভারত । জহির খান , হরভাজন দের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপ তখন থর থর করে কাপছে । এমন সময় এক দেবদুত হাজির হলেন । ভুল হল । এমন সময় এক দেবদূত একজন মানুষের উপর ভর করলেন । সেই মানুষটি জহির - ভজন দের স্রেফ উড়িয়ে দিয়ে খেললেন ১৫৮ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল ।
এই সেই আশরাফুল , যার ব্যাটের দিকে একসময় ১৬ কোটি বাঙালি তাকিয়ে থাকত - কিছু একটা দেখবে বলে ।
একটা প্রবাদই চালু হয়ে গিয়েছিল , "আশরাফুল ভালো খেললে বাংলাদেশ জিতে । " সাকিব-তামিম পুর্ব যুগে যিনি বাংলাদেশের সবচে বড় তারকা । তার সমালোচকরাও স্বীকার করতে বাধ্য হবেন যে কার্ডিফে করা তার অসাধারন সেঞ্চুরিই ওই সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আনে লাইমলাইটে । মিনোজ প্রবাদ ঘোচাতে ।
এই লোকের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে স্পট ফিক্সিং এর অভিযোগ ,তোরা এত অকৃতজ্ঞ ক্যামনে হসরে???
প্রথম বিপিএলে জুয়াড়িদের পাছায় লাত্থি মেরে সব ফাস করে দেয়া। -এই আমাদের আশু।প্রিমিয়ার লিগে ৩২ লক্ষ টাকার প্রস্তাব ছুড়ে ফেলে জাতীয় দলের হয়ে মাঝপথে খেলতে যাওয়া। -এই আমাদের আশু।
আমি আশরাফুলকে ডিফেন্ড করছিনা । কিন্তু আইসিএল থেকে যখন কোটি পাচেক টাকার অফার এসেছিল তখন কিন্তু অনেকেই ওখানে গিয়েছিলেন । আশরাফুল যান নাই । তাই খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এরকম ব্যাপারে জড়াবেন আশরাফুল - এটা আমি বিশ্বাস করিনা ।তার খেলায় ফিরে আসার অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । অবশ্যই কোন ভুল্ হচ্ছে । বড় কোন ভুল ।
বিঃদ্রঃ আমি প্রথমে আমার ভারতীয় বন্ধুদের বলছি, সত্য যেটা টাই বললাম। আমার উপর বিরাগ ভাজন হন আর যাই হন। যেকোনো অপরাধ এর বিচার হয়া দরকার। কিন্তু সমসস্য এর মুলে না গিয়া এই চুনোপুঁটি এর বিচার করলেই খেলাধুলায় ফিক্সিং বন্ধ হবে না।
আর একটা বিচারাধীন বিষয় কি করে রিপোর্ট হতে পারে, তাও ফাল করে ?
বুকি প্রথম আলোর, উৎপল শুভ্র নাকি ক্রিকেটার আশরাফুল, ক্রিকেট প্রেমীরা জানতে চায়