PRO-ভা অতীত কৃতকর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে, যেখানে সানি লি-ON পরিবর্তনের স্বপ্ন দ্যাখে...
যেই বাচ্চা কণকণে শীতের রাতে ডায়পার পাল্টানোর জন্য কখন সকাল হবে ওয়েট করে.... সেখানে তো আমরা এক কাঁপ চায়ের ভিতরে ৫ মিনিটের আলোচনা সব সমাধান করতে পারি !
একটা গল্প সংযোজন করিঃ একদিন এক নামকরা রাজনীতিবিদ বের হলেন হাঁস শিকারে।
অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরির পর তিনি একটা হাঁস শিকার করলেন।
কিন্তু হাঁসটা গিয়ে পড়ল বেড়া দেওয়া ক্ষেতের ভেতর।
বেড়া টপকে ভেতরে ঢুকতে যাবেন এমন সময় হাজির জমির মালিক।
সব শুনে মালিক বললেন: ‘হাসটা যেহেতু আমার ক্ষেতে পড়েছে সেহেতু হাঁসের অর্ধেকটা আমার।’
ক্ষেপে গিয়ে রাজনীতিবিদ বললেন: ‘হাঁসটা আমাকে না দিলে দুদিনের মধ্যে তোমার ক্ষেতের সবকিছু আমি নিলামে ওঠাব।’
জমির মালিক বললেন: ‘তাহলে ব্যাপারটা আমাদের এলাকার নিয়ম অনুযায়ী তিন থাপ্পড়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হোক। আমরা একজন আরেকজনকে তিনটা করে থাপ্পড় দেব। শেষ পর্যন্ত যে হার মানবে সে হাঁসটা পাবে না।’
রাজনীতিবিদ ভাবলেন, বেয়াদপ কৃষককে কষে তিনটা থাপ্পড় মারা যাবে, হাঁসটাও পাওয়া যাবে। তিনি রাজি হয়ে গেলেন। দুজন হাঁসটা নিয়ে গ্রামের মোড়লের কাছে গেলেন। কৃষকের কাছ থেকে সব শোনার পর থাপ্পড় পর্ব শুরু হলো।
প্রথমে কৃষক তাঁর সর্বশক্তি দিয়ে রাজনীতিবিদের গালে কষে তিনটা থাপড় দিলেন। অনেক কষ্টে সহ্য করে এরপর রাজনীতিবিদ প্রস্তুতি নিলেন কৃষকের গালে থাপ্পড় মারার জন্য।
তখন কৃষক বলে উঠলেন: ‘আমি হার মানছি। হাঁসটা নেতা সাহেবকেই দেওয়া হোক।’
আর তা না হলে এভাবেই, একাদশ নির্বচনের আয়োজন ও ভোটের মাধ্যমে কৃষকরাই এর সমুচিত জবাব দেবে ! সকলদলের অংশগ্রহণে চাই গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সচ্ছতা ।
আর আমাদের তথা কথিত আবুল মালের কথায় রাবিশ ও চায়ের দোকানের এক গার্ড ( তারাও আজকাল টক শো শুনে রাজনীতি নিয়ে ভালোই মাথা উত্তেজ করে তোলে..।
তাদের ভাষ্যমতে, " অযথা সুজন/ নাগরিক সমাজ/ সিপিডি / আইন শালিস কেন্দ্র/ মানবাধিকার কমিশন/ প্রমুখ...
( অবসর প্রাপ্ত সরকারী ভাঁড় যারা অতীতে সরকারী চাকুরি করে নিজে ও নিজের আখের গোছ গুছিয়ে নিয়েছে, গলা অব্দি দুর্নীতিতে যুক্ত , এখন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করছে .... দলকানা হয়ে, একটা দলের এজেনডা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর ! আম জনতাকে সাধা সিধে বাটপারি বোঝানো যাবে না। আম জনতা এখন গুগল করতে জানে । "
এমন কি নিরপেক্ষতা থাকা টিআইবি- ও আজ প্রশ্নের সম্মুখীন ... আর এদের যোগসাজশের প্রথম আলো অন্যতম পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে । ( ইউটিউব ভিডিও কেলেঙ্কারি তাই বলে )
দেশ বিভক্ত হল শাহবাগ আর শাপলা জলে আর ঘাপলা তৈরি করে গেল একই ভাতৃত্ববোধের গভীরে । এদের ভিতর কেউ কেউ বলে আমারাই একাত্তরের পক্ষের শক্তি , কেউ কেউ বলে আমারাই দেশ রক্ষার পক্ষের শক্তি । কথাগুলো খুবই সহজ হলেও এর তর্জমা কিন্তু অনেক সূক্ষ্ম আর গভীর !
আর আমাদের ভাতৃত্ববোধের ব্যবধান তৈরি করতে অযথা সুজন/ নাগরিক সমাজ/ সিপিডি / আইন শালিস কেন্দ্র/ মানবাধিকার কমিশন/ প্রমুখ...অবসর প্রাপ্ত সরকারী দুর্নীতিবাজ ভাঁড়রাই যথেষ্ট। যারা এখন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে ভং ধরেছে ....তারা নিজেরা দলকানা হয়ে আমাদেরকে অন্ধের মত তাদের অনুসরন করতে অচেতন করছে । অন্ধের মত নয় প্রকৃত মানুষের মত বিশ্লেষণ করা বাংলাদেশিরা শিখছে । কারণ বাঙ্গালিরা আমাদের থেকে অনেক বিশ্লেষনিক যা আমরা এখনও হতে পারি নি ।
এই সব ভাঁড় লোকদের কথা কান দেওয়া উচিত না , এদেরকে প্রাধান্য দেওয়াও উচিৎ নয়। এরা সমস্যাকে সম্প্রসারিত করে তোলে.... এমনকি কোন সমাধান তো দেই না বরং দুই দলের মধ্য দৌরাত্ম্য তৈরি করে রাখে।
তাই আসুন, দু দলকে বলছি, সম্মিলিত ভাবে- দশের বোঝা ও দেশের উন্নয়ন করার লক্ষ্য কেন একা বইবেন..... বোঝা ভাগ করে নিন ,অন্ধ ক্ষমতার মোহ পরিহার করুন । দেশের উন্নয়নে সকল দল মিলেমিশে অংশ নিন ! আসন কিংবা ক্ষমতা যে চিরস্থায়ী নয়, তা আপনাদের বলা আমার ক্ষমতার বাইরে !
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




