এই কথার কি আসলেই কোনো ভিত্তি আছে নাকি এটা শুধু মুজিব সমালোচকদের বিরুদ্ধে একটা নিকৃষ্ট অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় এ কে ৪৭ এর মতো? ইতিহাস জোর করে গেলানোর কোনো বস্তু নয় তা জানা সত্ত্বেও যখন জোর করে মুখে গুজিয়ে দিবেন তখন তা বের হয়ে আসবে একসময় এটা চিরন্তন সত্য. যারা শেখ মুজিব কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার একক স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মরিয়া হয়ে পড়েছিল তারা ফিরতিতে কি পেলো? একবুক ঘৃনা ছাড়া তাদের থলিতে আর কিছু জুটেনি, উল্টো যদি তাদের কে সে সময়কার নৌবাহিনীর লেফটেনেন্ট মোয়াজ্জেমের নাম বলি সবাই হা করে চেয়ে থাকবে এবং সেটাই সাভাবিক।
আমি ইতিহাস আলোচনা করতে আসিনি শুধু বলতে এসেছি শুধুমাত্র মুজিব কে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিচার করতে আসবেন না এতে আপনারা আরো তলানিতে যেয়ে পৌঁছাবেন। এক মুজিবকে জেনে যদি বাংলাদেশ কে জানা যেত তবে কি আপনারা জাতির অন্যান্য সূর্য সন্তানদের সাথে চরম বিশ্বাস ঘাতকতা করে নিজেদের পেট চালিয়েছেন এতদিন? যেই মুক্তিযুদ্ধের সাথে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষের সর্বাত্মক চেষ্টা জড়িয়ে রয়েছে তাদের অবদানগুলো সামনে আসার সুযোগ পায়নি একক মুজিবকে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করার জন্য।
শেষমেশ একটা চরম সত্য তিতা কথা বলি, দেশ রক্ষার জন্য শেখ মুজিব জীবন দেয়নি, দেশ রক্ষার তাগিদে তার জীবন নেওয়া হয়েছিল এবং তা ছাড়া কোন উপায় ছিলো না। তার জীবন যুদ্ধের ৯ মাস একদম সুরক্ষিত ছিল পাকিস্তানে। দেশে ফিরে তার প্রথম আবদার ছিল প্রধানমন্ত্রী হওয়ার, এটা আমার কথা নয় তাজউদ্দীনের কথা। এমন কি তিনি শুনতেও চায়নি এই নয়মাস কি করে কি হলো, ক্ষমতা চেয়েছিলেন এবং পেয়েও ছিলেন, হয়ে উঠেছিলেন ভয়ংকর স্বৈরাচার এবং এর পরিণতিতে পেয়েছিলেন মৃত্যু।
মানুষ একবার স্বাধীনতার সাধ পেয়ে গেলে তাকে আবার পরাধীন করা বেশ কষ্টকর, তাই হয়তো মুজিবের মৃত্যু হয়েছিল।
মুজিবকে মুজিবের জায়গায় রাখেন মুক্তিযুদ্ধকে মুক্তিযুদ্ধের মতো থাকতে দেন, মুক্তিযুদ্ধের হাজার উপাদানগুলোর মধ্যে মুজিব একটি উপাদান মাত্র।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৩:৪৪